খেয়ালি মেয়ে শীলা এ গল্পের ছোটো বোন। বড়ো বোন মিলার হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি। একদিন তাদের বাসায় তাদেরই নিচের তলায় নতুন ভাড়াটিয়া ওঠার সময় শীলার সাথে দেখা হয়ে যায় শাওনের। খানিকটা বয়সের, খানিকটা স্বভাবের চপলতায় শীলা চেয়েছিল শাওনকে নিজের জীবনে পেতে। কিছুতেই তাকে কব্জা করতে না পেরে অর্থহীন রাগে একসময় সে ভেঙে ফেলে শাওনের ক্যামেরা। আর এর পর থেকেই পরিবর্তন ঘটে তার। এক পর্যায়ে তীব্র অনুশোচনায় ভুগতে থাকে শীলা। শীলা কি পেয়েছিল শাওনকে? কী হয়েছিল মিলার হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সির? শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল শাওনের? সব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে “এমন করে হয় না” নামক রোমান্টিক উপন্যাসিকা।
ভালো লেগেছে শাওনকে। শীলা আসলেই ইমম্যচিওর্ড অনেক। -এমি
Read all reviews on the Boitoi app
গল্পটা সত্যিই মন ছুঁয়ে গেছে। লেখিকার লেখায় যে আবেগ আর বাস্তবতার ছোঁয়া, তা পড়ে মুগ্ধ না হয়ে থাকা যায় না। চরিত্রগুলোর প্রকাশ এত বাস্তব যে মনে হচ্ছিল সবকিছু চোখের সামনে ঘটছে। শেষটা এতটা আবেগঘন ছিল, পড়া শেষ হওয়ার পরেও অনেকক্ষণ স্থির হয়ে বসে ছিলাম... মুগ্ধতায়, বিষাদে, আর ভালোবাসায়। লেখিকাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর শুভকামনা।
এই গল্পটা এত চমৎকার। আমি এর দ্বিতীয় খন্ড চাই। হ্যাপি এন্ডিং দিয়ে
ভালো লাগলো বইটা। চিরাচরিত রোমান্টিক গল্প না, একটু ভিন্ন।
খুব সুন্দর গল্প। মিলা, শীলা, শাওন, আসিফ সবকটা চরিত্রই যায় যার মতো সুন্দর!
ছোট গল্পের মতো শেষ হয়েও শেষ হলো না! জীবনে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে শুধু নিজের কথাই ভাবলে অনেক বিপদ চলে আসে আপনা আপনি। আপনার লেখনী সাবলীল বরাবরের মতো। শুভেচ্ছা রইলো আপু।
চমৎকার একটা রোমান্টিক বই। খুব ভালো লেগেছে।
আমিও শাওনের মতো শিলার ম্যাচুরিটির অপেক্ষা করবো। আর লেখিকার চমৎকার সব সৃষ্টির অপেক্ষায় থাকবো।
এই পৃথিবীতে কিছু গল্প থাকে তার নামের মতো করে । যেন বলে, তুমি তোমার নামের মতোই আলগোছে । নামের মতো হয়েই পৃথিবীতে কিছু একটা ছড়াও । নামের সাথে সাদৃশ্য রাখার এই খেলায় পৃথিবীতে এক নতুন মাতামাতি হয় । এই গল্পটা যেন ঠিক সেরকমই । কারণ গল্পের নামের সাথে এই গল্পটির কাহিনীর অদ্ভুত এক মিল । বেশ অন্যরকম এক পটভূমি । কেমন একটা যেন দ্বিধায় দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ার মতো পটভূমি । কেউ যেন কোথাও অদ্ভুত কিছু করে এক সুর ছড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে বলে মনে হয় যেন । এই পটভূমিতে আসলে খুবই দ্বিধা এবং ধোঁয়াশা থাকা এই পটভূমিতে একটু গভীরতার ছাপ থাকলেও সেই গভীরতা আলোর মুখ দেখে না কখনো । নিজের সংক্ষিপ্ততার জেরে কোথাও একটা আলগোছে এলোমেলো করে দেয়ার মতো করে পটভূমি । এই গল্পের প্রেক্ষাপটেও যেন সেরকমই এক ছাপ । প্রেক্ষাপটে যেন দ্বিধা কাজ করেছে কোথাও একটা । কোথাও ধোঁয়াশা । জীবন বোধহয় এরকমই । কোথা থেকে যে কোথায় চলে যায় তার কোনো ইশারা পাওয়া যায় না । যায় না কোনো ধাঁচের ধারাবাহিকতা । এই গল্পের দৃশ্যপটে সংক্ষিপ্ত এই মুহূর্তগুলোতে তাই আরেকটু সময় দেয়া যেতে পারতো । কারণ গল্পটা প্রচুর দ্বিধায় আটকে থাকার মতো । কেনো যেন এই গল্পের প্রেক্ষাপট এবং তা ঘিরে রাখা দৃশ্যপটের জন্যেই এই গল্পটির নামের সাথে দারুণ সাদৃশ্য । সত্যিই আসলে, এমন করে হয় না । পৃথিবীতে এমন করে কোনো অনুভূতিই হয় না । গল্পের চরিত্র গঠনে প্রেক্ষাপট এবং দৃশ্যপটের জন্যেই খানিকটা কম কাজ করা হয়েছে । এটা আরেকটু সময় নিয়ে করা যেতে পারতো । এরকম ধোঁয়াশায় থাকা অবস্থায় কোনো চরিত্র গঠন এবং উপস্থিতি আনতে গেলে আবহের জায়গাটিতেও নড়বড়ে হতে হয় । ঠিক যেন সেভাবেই শীলা, মিলা, শাওন, আসিফ এমনকি ছোট করে থাকা সুমাইয়া চরিত্রটি পর্যন্ত সবগুলো চরিত্রের মাঝেই এক ধরনের নিঃসঙ্গতা । এই অদ্ভুত নিঃসঙ্গতাটুকুই আমার এই গল্পের একমাত্র ভালো লাগার জায়গা । এমন করে হয় না! এমন করে কোনো ঘটনাপ্রবাহেই বিশেষণে অনুভূতি আসে না । কার্যত কোনো অনুভূতিই যেন ঠিকভাবে ফুটে উঠে না । কোথাও একটা মন হারানোর ভয় । কোথাও যেন আপেক্ষিকতার রেশ কাউকে টেনে আটকে রাখে । হয়তো কখনও এই পৃথিবীতে এই চরিত্রগুলোর আবার দেখা হলে এই গল্পটায় যে ভেসে থাকা নিঃসঙ্গতা তা অসাধারণ এক রূপ নিবে । সেই রূপ নেয়াটা যদি সফল ভাবে হতে পারে তাহলে এই ছোট করে রাখা প্রতিটি দৃশ্যপটে হয়ে থাকা ধোঁয়াশা গুলো সুখের মতো করে জ্বলজ্বল হতে থাকবে । হয়তো তখন প্রতিটি জলছাপে আলাদা আলাদা লাগার মতো করে প্রেক্ষাপট গুলো এক হয়ে একটা অদ্ভুত মূর্ছনা তৈরি করবে । লেখক মৌলী আখন্দ এর লিখনশৈলীর সাথে আমার সেভাবে পরিচয় নেই । অনেকদিন আগে একটা উপন্যাস পড়েছিলাম তার । তার লিখনশৈলীতে সবার আগে যে বিষয়টি মনে হলো, তার লেখার গভীরতা থাকার জন্য যতটুকু চেষ্টা, তা বেশ ভালো । এভাবে পটভূমিতে গভীরতা নিয়ে আসার ব্যাপারটি যথেষ্ট আশাজাগানিয়া । তবে গল্পে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য পটভূমিতে প্রেক্ষাপটের দিকে নজর দেয়া খুবই জরুরি । নিজের কাছে কিভাবে গল্পটা সাজানো হবে, কিভাবে ফুটিয়ে তুলে বর্ণনা করা হবে সেভাবেই প্রেক্ষাপট এর প্রতিটি সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয়গুলোতে নজর দেয়া জরুরি । গল্পটি যেন সেভাবেই বয়ে চলে যায় তাড়াহুড়ো না করে । যাহোক গল্পের আরেকটি ভালো দিক হলো, তেমন একটা বানান ভুল বা টাইপিং মিস্টেক নেই । যে কারণে পড়ার সময়ে এটি বেশ ভালো ব্যাপার ছিল । লেখকের লিখনশৈলীর জন্য শুভকামনা রইলো । রেটিংঃ ৩.৯/৫
অসাধারণ একটা গল্প ছিল। একটানা পড়ে শেষ করেছি