ভালোবাসার একটা ঘ্রাণ আছে জানেন কি? ভালবাসার সৌরভটা বড়ো মনোরম। সেই সৌরভে জীবনটা সুন্দর লাগে। অপ্রাপ্তিগুলোও আপন লাগে। নিজের প্রিয়মানুষদের সংস্পর্শে সেই ঘ্রাণ বেড়ে যায় বহুগুণ। আর যখন উল্টোটা হয়? রক্তের সম্পর্ক হোক কী বৈবাহিক সম্পর্ক। ভালোবাসার জায়গাটা যখন মন্দবাসা নিয়ে নেয়। তখন তার ঘ্রাণ হয়ে যায় প্রাণঘাতী। সেই কুৎসিত ঘ্রাণ কখন কার জীবন নিবে কেউ জানে না। মন্দবাসার ঘ্রাণ রহস্যময় অতিপ্রাকৃত গল্প। তবে কোনো রক্তারক্তি, বীভৎস গা রি রি করা বর্ণনা নেই। আমার পছন্দ না। আমি গল্প বলতে ভালোবাসি। তাই রহস্য আর অতিপ্রাকৃতিক আবহেও একটা গল্প আছে। একটা মেয়ের গল্প। শ্যাম বর্ণের, মায়া কাড়া চোখ সেই মেয়ের। সেই চোখে ঘর বেঁধেছে বিষাদ। সেখানে ভালোবাসার জায়গা নিয়েছে মন্দবাসা। ভালোবাসা সুন্দর। আর মন্দবাসা?
মন্দবাসার ঘ্রাণ বেশ ভালো ছিলো। বর্তমান যুগে এমন অহরহ কাহিনি চোখের সামনে ঘটে যায়, সেটাই আপু গল্পে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। লর্ড অফ রিভেঞ্জ আমার বেশি ভালো লেগেছে। থ্রিলার এমনিতেই পছন্দ আমার তার মধ্যে সাবলীল এমন লিখা পড়তেও ভালো লেগেছে।
Read all reviews on the Boitoi app
মন্দবাসার ঘ্রাণ, নামটা গল্পের সাথে দারুণ খাপ খেয়েছে।এই একটি গল্পে আপু বেশ কয়েকটি ভিন্ন মানুষের ভিন্ন গল্প তুলে ধরেছেন।একেবারেই নিষ্ঠুর বাস্তবতা, তবে পার্থক্য এটুকুই যে বাস্তব জীবনে হয় কি ঊর্মিলারা আর কখনো ফিরে আসেনা প্রতিশোধ নিতে।কিন্তু গল্পে ঊর্মিলা ফিরে এসেছিল নিজের আর মায়ের সাথে হওয়া চরম অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে।যদিও এটা আপু হরর ভাবে প্রতিশোধ নেওয়াটা দেখিয়েছেন। আসলে এখানে আমাদের জন্য শিক্ষাটা হচ্ছে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিবাদ করাটা শিখতে হবে, আত্মবিশ্বাসের সাথে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে হতে হবে চূড়ান্ত রকমের আপোষহীন। এই গল্পের রেটিং দিব ১০/১০ দ্বিতীয় গল্পটা কিছুটা সাইকো এবং মনস্তাত্ত্বিক। আসলে কখনো কখনো এই ফালতু সমাজ আর সমাজের মানুষ এমন ভয়াবহ অপরাধীদের জন্ম দেয় আর এজন্যই সব দোষ রাহাতকে দিতে পারছিনা।আর সিমির কথা কি বলবো। মেয়েটার আসলে মন্দ কপাল।তাইতো অন্যের শাস্তি নিজে পেয়েছে।আমার আসলে দুজনের জন্যই শুধুই আক্ষেপ হয়েছে।তবে সিমি মিমির প্রতিবাদী পদক্ষেপ কে আমি খুব এপ্রেশিয়েট করছি। শুধু এজন্যই এই গল্পের রেটিং দিচ্ছি ১০/১০
অসম্ভব সুন্দর হয়েছে দুইটা গল্পই। এত্ত ন্যাচারাল লেখা আর এত্ত প্রানবন্ত। দুইটা বড় গল্প আছে এতে। একটা হরর আরেকটা থ্রিলার।প্রথম বড়গল্প মন্দবাসার ঘ্রান। এর প্রতিটা পর্বে পর্বে লুকিয়ে আছে রহস্য।দ্বিতীয় টি হলো লর্ড অফ রিভেঞ্জ। এটা থ্রিলার। গল্প দুইটাই অসাধারণ। এত সুন্দর এত সাবলীল একটা লেখা বলার মতো না। পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে রহস্য। আমার খুব ভালো লেগেছে। কোন অতিরঞ্জিত কিছু নেই একদম সহজ সরল করে লিখেও যে হরর থ্রিলার লেখা যায় এই লেখা তার একটা উদাহরণ ।
চমৎকার লাগলো গল্প দুইটা
দুটো গল্পই খুবভালো লেগেছে।
মন্দবাসার ঘ্রাণ নামটাই চমৎকার সেই সাথে দুইটি গল্প নিয়ে সাজানো এই ইবুকটি। দুইটি গল্পই চমৎকার হয়েছে তবে লড অব রিভেঞ্জ বেশি ভালো লেগেছে আমার। পড়ার সময় টানটান উত্তেজনা কাজ করছে। এমন থ্রিলার গল্প পড়ার সময় উত্তেজনা কাজ করে। খুব খুব ভালো লেগেছে দুটি গল্প।
খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে প্রথম গল্পটা বেশী ভালো লেগেছে। লেখকের কাছে থ্রিলার জনরার গল্পের প্রত্যাশা রইল।
গল্প দুইটা ভালো লেগেছে। "মন্দবাসার ঘ্রাণ" বেশ সুন্দর, তবে গল্পটা আরেকটু বড় হলে ভালো হতো। "লর্ড অব রিভেঞ্জ" এককথায় দারুণ!
দুটি গল্পের সমন্বয়ে গঠিত বইটি বেশ ভালো লেগেছে। দুটো গল্প দুই ধরণের থ্রিলিং ছিল। মন্দবাসার ঘ্রাণ পড়ে ভয় ভয় লেগেছে। লর্ড অব রিভেঞ্জ গল্পটা অসাধারণ লেগেছে।
দুইটি গল্পের সমন্বয়ে সাজানো 'মন্দবাসার ঘ্রাণ।' প্রথম গল্পটি হরর থ্রিলার, আর ২য় গল্পটি সাইকো সিরিয়াল কিলার নিয়ে; যদিও রিভেঞ্জ থ্রিলারও বলা যায়। টানটান উত্তেজনার দুটো গল্প পড়ে পরিপূর্ণ থ্রিলারের তৃপ্তি পেয়েছি। ১ম গল্পটায় কিছুটা ভয় ভয়ও লেগেছে। প্লট, লেখনশৈলী, ক্লাইম্যাক্স সবকিছুই ভীষণ উপভোগ্য। এক বসায় পড়ার মতো বই।