অস্পষ্ট শূণ্যে ভাসে ক্রমশ শিখরে ওঠার বাসনা। তমা, প্রিতু, রাইসা বা আসমারা কেউ তার ব্যতিক্রম নয়৷ সিন স্টোরিজ পড়তে গিয়ে একবার দর্পনে তাকালে দেখতে পাওয়া যায়, অদৃশ্য পাপেরা কেমন এক ঘেরাটোপে আবদ্ধ করে ফেলছে আপাত ' সাধু' আমাদের!
শ্রদ্ধেয় লেখিকা সুরভী হাসনিন যেভাবে কিছু নষ্টা ও লোভী নারীর কাহিনী বর্ণনা করেছেন, তা অতুলনীয়। বর্তমান যুগে তো নারীদেরকে নষ্টা বা চরিত্রহীনা ইত্যাদি আখ্যা দেওয়া এক 'মহা অপরাধ' হিসেবে গণ্য হয়। বর্তমান প্রগতিশীল সমান অধিকারের যুগে পুরুষরা কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছেন। তাই কোনো পুরুষ লেখক এই ধরনের কাহিনী লিখতে এখন আর সাহস পান না। সুলেখিকা সুরভী হাসনিন এই দুঃসাহসিক রচনা দিয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন । বইটি কতিপয় নারীদের কাছে ভালো লাগবে না জানি। কিন্তু সকল যুক্তিবাদী মানুষই নিঃসন্দেহে এই বইটির আকণ্ঠ প্রশংসা করবে। বইটিতে সুনিপুণ চাতুর্যের সাথে নারী-পুরুষের আদিম যৌনতা ও সঙ্গমের এমন নাটকীয় 'পরিশীলিত' বর্ণনা আছে, যা এক কথায় অভিনব। জয়তু সুরভী হাসনিন!
Read all reviews on the Boitoi app
পাঁচ তারকা দিলাম! খুব নগ্নভাবে সমাজের অপ্রিয় অধ্যায় উঠে এসেছে! লেখক লিখেছেন - কিছু কিছু জ্ঞান নগ্নতার মতই কলুষিত ও জারজ। অতি সৌন্দর্যের ছিটেফোঁটা অবশিষ্ট স্বোপার্জনে মাহাত্ম্য থাকে। অশুদ্ধ সিদ্ধিলাভে সাধুসঙ্গেও অভিশাপ লাগে। সংসারের জোয়াল টেনে নারি বৃদ্ধ হয় পুরুষ বৃদ্ধ হয় না। এই সমাজে নারীদের কষ্ট নিয়ে গল্প লেখা হয় পুরুষের শ্রম ও সততার মূল্যায়ন খোদ ঘরেই মা,স্ত্রী দিতে চায় না। এ জগতের লালচে আগুনের শিখার পেছনে প্রতীক্ষারত প্রিয়জনদের মুখ ছাপিয়ে যায় নীলচে আলোর বৃত্তবন্দি লালসার টান। পৃথিবীতে নারী ও পুরুষের সম্পর্ককে চিরায়ত নিয়মে সামাজিক মানুষ কেবল প্রেম ও যৌনতার রূপ দিতে চায় অথচ এর বাহিরে ও জীবনে আরও বহু সংযোগ থাকে। সুস্থ বন্ধুত্বের মাঝে যে আনন্দ তা অনুভব করার ক্ষমতা মানুষের সীমিত। বিশ্বপিতা তার কাছে সমর্পিত হতে চাওয়া মানুষদের শূন্য হাতে কখনো ফিরিয়ে দেন না। আসুন সকলে সুস্থ জীবন যাপনের মাধ্যমে স্রষ্টার স্নেহভাজন হয়ে উঠি।
বইটি পড়ে যা মনে হলো, অবাধ স্বাধীনতা কোনো ক্ষেত্রেই ভালো নয়। এখানে এক "তমা" বাদে সকল মেয়ে গুলোই কঠোর শাস্তি পেয়েছে। মাইশাকে আসলেও ক্ষমা করা যেতো না। তবে ওর পরিনতি এতোটা ভয়ংকর না দেখালেও চলতো। আমরা একটি সমাজে বসবাস করলেও আমাদের সমাজ কিন্তু আসলেও হাজারো ভাগে বিভক্ত। যত ভাগেই বিভক্ত হোক না কেনো সমাজ,শুদ্ধতা সকল সমাজেই পরিমাপ করে অন্তত সে নিজে কেমন সেটার বিচার তো সে করবেই। নিজের চরিত্র কে যারা এমন ভয়াবহ খেলায় মিলিয়ে দেয় তারা কি কখনো স্বপ্ন দেখেনা একটা নোংরামি মুক্ত জীবনের? আমরা আসলেই একটা সুন্দর সমাজ চাই। তাই এই ধরনের জীবনযাত্রার ছবি চোখে চলে আসলে চমকে উঠি। বইটি ১৮+ হলেও শিক্ষনীয়।
অনেক সমসাময়িক বিষয় উঠে এসেছে এই গল্পের মধ্যে চমৎকার লেখনী
ঘুণে ধরা অন্ধকার সমাজের কিছু চিত্র সাবলীলভাবে লেখিকা তুলে ধরেছেন। ভীষণ ভালো লেগেছে একটা ভিন্নধারার গল্প পড়ে 💛