নাফিসার সঙ্গে তার রসায়নের সমীকরণ মেলাতে মেলাতে কখন যে ল্যাপটপ খোলা রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছিল অভি বলতে পারবে না। হঠাৎ মোবাইলের টুংটাং শব্দে তার ঘুম চটে যায়। শব্দটা তার মোবাইল থেকে আসেনি সেটা সহজেই বুঝতে পারে অভি। কেননা মোবাইল তার বুক পকেটেই রয়েছে। শব্দটা খুব সম্ভবত শফির মোবাইলের। অভি আড়চোখে হাত ঘড়িতে দেখে, ভোর চারটা। এত সকালে শফিকে মেসেজ করবে কে? খুব ধীরে ধীরে শফি নিজের শরীরটাকে টেনে তুলে বালিশে হেলান দিয়ে বসে মোবাইল হাতে নিয়ে সেটা অন করে দেখে। মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ধীরে ধীরে তার মুখের অভিব্যক্তি বদলে যায়। বিশ্রাম নেয়া শান্ত মুখখানা ভয় কিংবা বেদনায় কুঁচকে যায়। হঠাৎ স্ক্রিন থেকে চোখ তুলে অভির দিকে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করে সে ঘুমিয়ে আছে কিনা। অভি অবশ্য শফিকে উঠতে দেখেই আধ বোজা চোখে ঘুমের ভান ধরে শুয়ে ছিল। ঘরের অল্প আলোয় তাই শফি বুঝতে পারে না যে অভি জেগে আছে। সে আবারও স্ক্রিনের দিকে তাকায়, আঙ্গুল দিয়ে উপরে নিচে স্ক্রল করে। তারপর মোবাইলটা আবার বন্ধ করে বিছানাতে প্রায় ছুঁড়ে ফেলে। শুকনো মুখে জানাল দয় বাইরে তাকিয়ে থাকে অন্ধকারের দিকে। শফির এমন আচরণে মনের ভেতর অসম্ভব সব সম্ভাবনা উঁকি দেয় অভিরূপের। আচ্ছা শফি কোন অনৈতিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েনি তো? কিংবা অন্য কোন ঝামেলায়... যার কারণে তার বিবাহিত সম্পর্ককে তুচ্ছ করতে হচ্ছে। কারণ ছাড়াই রুচিতার সঙ্গে সে দুর্ব্যবহার করে তাকে দূরে সরিয়ে দিতে চাইছে। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও শফির মতো সহজ সরল ছেলেকে পরকীয়ায় আসক্ত কোন পুরুষের আসনে বসাতে পারে না অভি। নিজের উপর খানিকটা রাগ হয় তার। কেন যে কাল সে তার ভাইকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক করে দিল মোবাইলে! তা না করে যদি প্যাটার্ন লকটা শিখিয়ে দিত তাহলে গোপনে হলেও সে শফির মোবাইলটা চেক দিয়ে দেখতে পারতো ঘটনা কি। শফি মোবাইল যেভাবে আগলে রাখছে তাতে বোঝাই যাচ্ছে সেখানে কোন ঘাপলা আছে। আগে সন্দেহ হলেও আজ এমন দৃশ্য দেখার পর ব্যাপারটা তার কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়, নিশ্চয়ই এই মোবাইলেই সমস্ত ঝামেলার চাবিকাঠি রয়েছে। অভি মনে মনে ঠিক করে যেভাবেই হোক তাকে জানতে হবে ব্যাপারটা কি।
দারুণ একটি গল্প। গুন্ডি নাফিসা আর ওর পরিবারটিকে সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে। চমৎকার সময় কেটেছে বইটির সাথে।
Read all reviews on the Boitoi app
দারুণ এক কথায়।আপুর লেখা খুব প্রিয়
অসাধারণ