রিমা উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। বাবা এজি অফিসের ডাইরেক্টর মা বাংলাদেশ ব্যাংকে অফিসার পদে কর্মরত। রিমা ছিলো প্রচন্ড মেধাবী। লেখাপড়া থেকে শুরু করে খেলাধুলা এক্সট্রা সব কারিকুলামে মেধার স্বাক্ষর রেখেছে।এইজন্য রিমার বাবা মা ওর উপর অনেক ভরসা করতো। ওর ছোটো জমজ দুই ভাই ছিলো। রিমাদের পরিবারটা খুব সুখী পরিবার ছিলো। ঐ সুখী পরিবারের আকাশে হঠাৎ কালো মেঘের ঘনঘটা দেখা যায়। সেসময় রিমার বয়ঃসন্ধিকাল। ও অকস্মাৎ একজন ভুলমানুষকে ভালবাসলো । ওর ভালবাসার মানুষটা সেসময় ওর সাথে প্রতারণা করে ওকে বিয়ে করে। ওর জীবনটা সেসময় নরক হয়ে গিয়েছিলো। রিমার বাবা মা ওর কারণে আত্মীয় স্বজনের নিকট অনেক অপমানিত হয়। এই চাপ সামলাতে না পেরে ওর বাবা স্ট্রোক করে। রিমাও একসময় এই পরিবেশে অনেক ডিপ্রেশনে চলে যায়। অতঃপর ওর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। এর মাঝে ওর ডিভোর্স হয়ে যায়। পরবর্তীতে ঐ অনাকাঙ্খিত ভুল থেকে বের হয়ে আবার লেখাপড়া শুরু করেছে। এরমধ্যে রিমার বাবা মায়ের ইচ্ছাতেই ওদের পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করেছে। শ্বশুর বাড়িতে প্রথমে রিমার পরিবেশ বেশ প্রতিকূলে ছিলো। ওর চরিত্র নিয়ে শাশুড়ি জায়ের অনেক কটু কথা ওকে হজম করতে হয়েছে। এমনকি ও যখন কনসিভ করে তখন ওর সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। জীবন যুদ্ধের সংগ্রামে রিমার পাশে ওর স্বামী শাহেদ সবসময় সহযোগিতা করে পাশে থেকেছে। শাহেদের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে রিমা শাহেদকে ভালবেসেছে। পরবর্তীতে শাহেদের মার অন্যায় অত্যাচারকে রিমা ক্ষমা করে দিয়েছে। কারণ ও একটা সুস্থ স্বাভাবিক জীবন চেয়েছে। স্বামী সন্তান নিয়ে সুখী হতে চেয়েছে। জীবনের সুখ পাখিটার জন্য ওকে অনেক ত্যাগ ও ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়েছে। লড়াইয়ের ময়দানে কখনও রিমা ভেঙ্গে পড়েনি। এর মাঝে লেখাপড়া শেষ করে চাকরিতে জয়েন করেছে। শেষ পর্যন্ত ও সুখ নামক পাখিটার দেখা ও পেয়েছে।
এই লেখিকার প্রতিটি গল্পই সমাজের অন্ধকার দিকগুল এত সহজ সাবলিল ভাবে তুলে ধরেন যা খুবই শিক্ষনীয়। ভুল করে তা বুঝতে পারলে তার প্রতিকার করা উচিৎ এই মেসেজটি খুব সুন্দর ভাবে দিয়েছেন। ধন্যবাদ লেখিকাকে।
Read all reviews on the Boitoi app
অসাধারণ লেখা। এক বসায় পড়ে উঠলাম। বরাবরের মতো এবারো আপু একটি শিক্ষনীয় গল্প দিয়েছেন। আমাদের একটি ছোট্ট ভুলে আমাদের জীবনের গতি সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। তাই, খুব সাবধান! বাবা মার চেয়ে আপন এই পৃথিবীতে আর কেউ হতে পারে না। আর বাবা মা কেও সন্তানের বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে সন্তানের দিকে সঠিক ভাবে খেয়াল রাখা উচিৎ। ধন্যবাদ আপু, এই অনবদ্য গল্পটির জন্য। মোসাঃ শামীমা খান।