একটা জামদানী শাড়ি। সঙ্গে ছোট্ট চিরকুট। দুটোতে কী মিশে ছিল জানে না দুপুর। কিন্তু ওর চোখে অশ্রু জমল। বুকের ভেতরটা তীব্র সুখে বিগলিত। নিজের জন্মদিন তো ভুলেই গিয়েছিল দুপুর। শেষ কবে কে তাকে জন্মদিনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে খেয়াল নেই। যে মা জন্ম দিয়েছে সে মাও তার ভুলের শাস্তি সরূপ জন্মদিন মনে রাখা দূর মাথাতেও রাখেনি। বছরের একটা দিন নিয়ম করে পায়েস রেঁধে সামনে ধরেনি। নওয়াব বেরিয়ে গেছে। দুপুর শাড়ি আর চিরকুটটা জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদল। শুনেছিল, নওয়াব খুব কিপটে। হিসাব করে চলে খুব। নিজের পরনের কাপড়ও কেনে হিসাব করে। বিয়ের পর থেকে দুটো শার্ট, দুটো প্যান্ট, দুটো গেঞ্জি আর একটা পাঞ্জাবি পরতেই দেখছে। আলমারিতে এসব আরো দুটোই দেখেছে। টের পেয়েছে তার স্বামী সত্যিই কিপটে মানুষ। ননদ সতর্ক করে দিয়েছিল এমন কিপটে বরের থেকে যেন ম্যারেজ ডে উপলক্ষে গিফটের আশা করে মন খারাপ না করে। এদিকে কিপটে বর বিয়ের মাস গড়াতে না গড়াতেই তাকে বার্থডে গিফট দিয়ে দিলো। দুপুর কাঁদতে কাঁদতে হেসে ফেলল আচমকা। এরপর উঠে গিয়ে মুখে পানি দিয়ে ঘরে এলো। তারপর নিজেকে খুব সুন্দর, পরিপাটি করে সাজালো। একদম নতুন বউদের মতো সুন্দর লাগছে৷ ভাবতেই তক্ষুনি মনে পড়ল সে তো সত্যিই নতুন বউ। কিপটে মাস্টার নওয়াব শিকদারের বউ৷
গল্পটা ভালো ছিলো।
Read all reviews on the Boitoi app
মাঝে মাঝে ঝামেলা হীন গল্প ভালো লাগে। স্বচ্ছ ভালোবাসা ❤️❤️❤️❤️
ভালো লেগেছে।
জোস আর উনিক একটা ই-বুক ভালো লেগেছে