যে বেলায় সূর্য্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ে তখন রোদের উত্তাপ থাকে না বললেই চলে। সন্ধ্যার ঠিক আগমুহূর্তের এ সময়কে বলে গোধূলি। কেউ কেউ তো এমন বলেন, গরু ধুলা উড়িয়ে গোয়ালে ফেরার বেলা হলো গোধূলি। যে যেভাবেই এর ব্যাখ্যা দিক না কেন সবাই গোধূলি বেলা উপভোগ করতে চায়। সারা দিন সূর্য্যের উপস্থিতির পর এই সময়ের প্রকৃতির রূপ যে কাউকে আনমনা করে তুলতে পারে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাই তো বলেছেন, ‘ওই সন্ধ্যা আসে, যেন কি শঙ্কা সন্দেহে, ধূসর উত্তরীখানি আবরিয়া দেহে।’---- লেখাটা আমার নয়, সংবাদপত্রের। তবে গোধূলি রাঙা আলোয় উপন্যাসটা আমার লেখা। গোধূলির নরম আলোর মতোই একটা সময় কিন্তু আমাদের জীবনেও আসে। যে বয়সটা তেজোদ্দীপ্ত সূর্যের মতো প্রখর নয়, আবার শেষ বয়সে আলো মিলেয়ে যাওয়া রাতও নয়। কেমন জানি মন কেমন করা মধ্যবয়স। কেমন হয় এই বয়সী নরনারীর ভালোবাসা? ভালোবাসার কি আসলেই কোনো বয়স আছে?
"চমৎকার একটা বাস্তবধর্মী গল্প যেটা খুব সাবলীলভাবে লেখিকা উপস্থাপন করেছেন। আমাদের সমাজে আতিয়া এবং মেজবাহ'র মতন অনেক সন্তান আছে যারা এমন বৈষম্যের শিকার হয়। সবাই হয়তো দিনশেষে নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারে না পরিবারের জন্য। আর যদি গুছিয়ে নিতেও চাই তাহলে হয় পরিবার ছাড়তে হয় নাহলে গুছিয়ে নেওয়ার ইচ্ছে ছাড়তে হয়। লেখিকা খুব নিপুনভাবে তার লেখনী দ্বারা পারিবারিক টানাপোড়োন ফুটিয়ে তুলেছেন। ভীষণ সুন্দর হয়েছে গল্পটা এবং মনেই হয়নি অবাস্তব কোনকিছু তুলে ধরেছেন,বরং পড়তে গিয়ে বারবার মনে হয়েছে আরে এগুলো তো আমাদের আশেপাশেই হয়ে থাকে। সবকিছু মিলিয়ে গল্পটা ভীষণ ভীষণ ভালো লেগেছে। এটা আমি ফেসবুকে পড়েছিলাম তারপরও ই-বুক দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না দ্বিতীয়বার পড়ার জন্য।"
চমৎকার একটা বাস্তবধর্মী গল্প যেটা খুব সাবলীলভাবে লেখিকা উপস্থাপন করেছেন। আমাদের সমাজে আতিয়া এবং মেজবাহ'র মতন অনেক সন্তান আছে যারা এমন বৈষম্যের শিকার হয়। সবাই হয়তো দিনশেষে নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারে না পরিবারের জন্য। আর যদি গুছিয়ে নিতেও চাই তাহলে হয় পরিবার ছাড়তে হয় নাহলে গুছিয়ে নেওয়ার ইচ্ছে ছাড়তে হয়। লেখিকা খুব নিপুনভাবে তার লেখনী দ্বারা পারিবারিক টানাপোড়োন ফুটিয়ে তুলেছেন। ভীষণ সুন্দর হয়েছে গল্পটা এবং মনেই হয়নি অবাস্তব কোনকিছু তুলে ধরেছেন,বরং পড়তে গিয়ে বারবার মনে হয়েছে আরে এগুলো তো আমাদের আশেপাশেই হয়ে থাকে। সবকিছু মিলিয়ে গল্পটা ভীষণ ভীষণ ভালো লেগেছে। এটা আমি ফেসবুকে পড়েছিলাম তারপরও ই-বুক দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না দ্বিতীয়বার পড়ার জন্য।
Read all reviews on the Boitoi app
খুব সুন্দর হয়েছে।এক বসাতেই পড়ে শেষ করলাম। লেখিকার জন্য শুভ কামনা।
প্রিয় রুকসাত আপু, আমি জানি আপনি অবাক বোধ করছেন,কিন্তু ইবুক পড়ে টেক্সটে মনের অনুভূতি প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো না।মনে হলো একটা চিঠি লিখি।আজকে আপনার বইটইয়ে লেখা দুটি উপন্যাস পড়লাম,দুটি উপন্যাস পড়ে দুটি ভিন্ন অনুভূতি। ধূসর কাবিন রঙিন প্রণয় এই গল্পের বেশ কিছু অংশ অনলাইনে দেবার কারণে তিনটি প্রাণের যে লড়াইয়ের গল্প শুরু হয়েছিলো তা কোথায় শেষ হবে তা জানার তীব্র আকুলতা নিয়ে বইটি পড়তে শুরু করা।চৈতালির সাথে সবার করা অন্যায়ে যখন পাঠক হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে তখন আপনি চন্দ্রিমার জীবনের নানা ঘটনা সামনে দাঁড় করিয়ে দিলেন।পাঠকের হাতে দুটি মেয়ের দুটি গল্পকে শেষ পরিণতি দেবার ভার দিলেন,এখন পাঠক বিবেকের আয়নায় যদি মাহিম চৈতালিকে দেখে তাহলে চন্দ্রিমার কাছে দোষী আবার যদি চন্দ্রিমার এত অন্যায়ের পর ও তার সাথে মাহিমের জুটি বেঁধে দেয় তাহলে চৈতালিকে বলি দেয়া হয়।এই ধর্ম সংকটে যে বেচারা মাহিমের অন্তর ও পিষ্ট হচ্ছে তা ভুলে গেলে চলবে না।আর এর শেষটা আপনি যেন লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির বিখ্যাত চিত্রকর্ম মোনালিসার মতোই আঁকলেন।সৌন্দর্যের মাঝে এক রাশ বিষন্নতা গল্পটিকে দিলো পূর্ণতা।পার্সোনালি আমার বুদ্ধদেব গুহর বাবলি পড়ে যে অনুভূতি হয়েছিলো সেই অনুভূতি এই গল্পের শেষে হয়েছে।না থেকেও সে রয়ে গেলো দুজনের দাম্পত্যে। এবার আসি আজকের পড়া দ্বিতীয় ইবুকে গোধূলি রাঙা আলোয়। দুটি মানুষের জীবন থেকে নেয়া দ্বিতীয় একটা সুযোগের।পরিবারের জন্য যারা নি:স্বার্থভাবে চিন্তা করে তারা যেন সবার ইচ্ছের কথা ভাবতে গিয়ে নিজেদের জন্য বাঁচতে ভুলে যায়।এই বইটা পড়তে গিয়ে আমার বারংবার মনে পড়েছে স্বর্ণলতার কথা।পরাশ্রয়ী এই উদ্ভিদটিকে যে পোষক ধারণ করে, আস্তে আস্তে সে রস, রূপ আহরণ করে তাকেই ছিবড়ে করে দেয়।সংসার নামক ভেলায় আমরা নিজেদের স্বার্থে এতটাই মশগুল অপরের নি:স্বার্থে ভালোবাসাটাকে কুঁচলে দিতেই ব্যস্ত।গল্পের শেষটা যেন এক আশার বাণী শোনায়,এক বার হেরে গিয়েও জীবনটাকে জিতে নেয়া যায়। দারুণ দুটি গল্প লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ইতি আপনার গুণমুগ্ধ পাঠিকা
ভীষণ ভালো লেগেছে। কিনেছি সেই প্রথম দিন কিন্তু সময় পাচ্ছি না বলে পড়া হয়নি আজকে সময় পেয়ে পড়ে শেষ করেছি। খুব সাবলীল লেখা একদম বাস্তবধর্মী। আমাদের সমাজের বাস্তবতা যেন গল্পটা ফুটে ওঠেছে। পারিবারিক টানাপোড়েন দিকগুলো অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছে। বরাবরের মতো খুব ভালো লেগেছে। এককথাই খুব সুন্দর একটা গল্প।
চমৎকার একটা গল্প। আতিয়া আর মেজবাহর মতো সন্তান আমাদের চারপাশেই আছে। কিন্তু সবাই হয়ত জীবনটা শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে নিতে পারে না, নিজ নিজ পরিবারের খাতিরে। আবার কেউ কেউ গোছাতে চাইলেও হয়ত পরিবার ছাড়তে বাধ্য হয়। পারিবারিক এইসব টানাপোড়েনের ছোটো ছোটো দিকগুলো লেখক খুবই নিপুণভাবে তুলে ধরেছেন। শেষটা বেশি ভালো লেগেছে কারণ অবাস্তব কিছু হুট করে মিলিয়ে দেয়ার জন্য দেখানো হয়নি। সবমিলিয়ে ভালো লাগলো।
২জন ম্যাচিউর মানুষকে নিয়ে অসম্ভব সুন্দর সামাজিক,রোমান্টিক গল্প। ছেলে-মেয়েদের প্রতি মায়েদের এই ভালবাসার ভেদাভেদ যেনো আমাদের সমাজের প্রতিটা ঘরের বাস্তবতা আপু ভীষণ সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। আপু লেখা বরাবর আমার ভীষণ পছন্দ বাস্তবতার ছোয়া থাকে,কোন প্যাচ নাই,পড়তেও শান্তি লাগে।
অসাধারণ একটি গল্প ম্যাচিওরড দুজন লোকের কাহিনী ভীষণ ভালো লেগেছে
জীবনের মোড়ে একটা সময় নিজেকে ভীষণ একা মনে হয়। পরিবারের যে মানুষগুলো একান্ত আপন ছিলো তারাও যেন দূরে সরে যায়। স্বার্থের বেড়াজালে বন্দী হয় সমস্ত সম্পর্কগুলো, তখন মনে হয় একটা মানুষ চাই যাকে পাশে পাওয়া যাবে, যাকে দিন যাপনের সব কথা বলা যাবে নিশ্চিন্তে। লেখিকা খুব চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন বিষয়টা। ফেসবুকে পড়েছি লেখাটা। আবার পড়ার জন্য কিনে রাখলাম। শুভকামনা।
এই গল্পটি আমার খুব প্রিয়. প্রত্যেকটি বিষয় সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে. আমার ধারণা লেখিকার বেস্ট ক্রিয়েশন এই বই. আমি ফেইসবুক এ পড়েছি. এখন আবার কিনে পড়লাম. কিনলাম যাতে মাঝে মাঝে পড়তে পারি কোন এক মন খারাপের বিকেলে.