মাহফুজ আর ফারাহ নিজেদের পছন্দে বিয়ে করে। অবশ্য দুই পরিবারকে ম্যানেজ করেই ওরা বিয়েটা করে। ফারাহ'র শ্বশুর বাড়ি সম্পর্কে একটা ভীতি কাজ করতো। কারণ ও ছিলো যৌথ পরিবারে বেড়ে উঠা মানুষ। সেই পরিবারে দাদী ছিলো পরিবারের নেত্রী। ওর বাবা মাকে দেখেছে ওর দাদীর অনুমতি ছাড়া কোনো কাজ করতে পারতো না। এই বিষয়টা ফারাহ'র খুব বিরক্ত লাগতো। কারণ সংসারে প্রতিটি মানুষ আলাদা তাদের চিন্তা চেতনাও আলাদা। সেক্ষেত্রে ওর শাশুড়ী অনেকটাই উদারমনা। বেশ বন্ধুবৎসল। এমনকি উনি উনার বিবাহিত জীবনের অনেক কথাই ফারাহ'র সাথে শেয়ার করেছেন। এমনকি নতুন বিয়ে হলে স্বামীরা স্ত্রীকে অনেক কেয়ার করে। এতে অনেক স্ত্রী স্বামীর প্রেমে গদগদ হয়ে পড়ে। এতে স্ত্রীদের অনেক সময় ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বরং স্বামীর প্রেমে গদগদ না হয়ে সারাজীবন স্বামী বেচারা কেয়ার করবে কিনা এই বিষয়টার দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। এই বিষয়গুলো ফারাহ'র অনেক ভালো লাগে। মাহফুজকে নিয়ে ওর অনেক টেনশন ছিলো। বিয়ের পর কিভাবে মাহফুজের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিবে? মাহফুজের সাথে সম্পর্ক থাকলেও মায়ের কড়া শাসনের জন্য বিয়ের আগে লুকিয়ে দেখা করতে হয়েছে। সে কারনে চুটিয়ে প্রেম করা হয়নি। বিয়ের পর জমিয়ে প্রেম করবে বলে ভেবে রেখেছে। মাহফুজ আর ফারাহ'র বিয়ে পরবর্তী টক মিষ্টি দাম্পত্যের গল্প খুব সুন্দরভাবে এই উপন্যাসে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পাঠকবৃন্দদের পড়ার আমন্ত্রণ রইলো।