'যমজ' একটি হৃদয়গ্রাহী উপন্যাস, যা দুটি যমজ পরিবারের জীবন ও সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে রচিত। নোমান ও ইতিশা, দীর্ঘ পাঁচ বছর সন্তানহীন থাকার পর আইভিএফ পদ্ধতিতে যমজ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তবে, তাদের সন্তানের একে অপরের সঙ্গে অদ্ভুত মিল থাকায় পরিচয়ের সমস্যা তৈরি হয়, যা পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব এবং শিক্ষকদের বিভ্রান্তিতে ফেলে। ডিএনএ একরকম হওয়ায় সন্তানেরা শারীরিক অক্ষমতা বা বংশগত রোগ নিয়ে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। এই বিষয়টি নোমান ও ইতিশাকে উদ্বিগ্ন করে তোলে। চিকিৎসকদের পরামর্শে তারা বুঝতে পারেন যে ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং উপযুক্ত পরিবেশ তাদের সন্তানদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। সন্তানেরা যখন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, তখন তাদের পরিচয় নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি পরিষ্কার হয়ে ওঠে। উপন্যাসের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হল, যমজ ছেলেরা যমজ দুই বোনকে বিয়ে করে, যা সম্পর্কের এক অভিনব বাঁক সৃষ্টি করে। এটি জীবনের জটিলতা, সম্পর্কের গভীরতা এবং মানুষের মধ্যে সহানুভূতি ও ভালোবাসার গুরুত্বকে ফুটিয়ে তোলে। 'যমজ' উপন্যাসটি একটি শক্তিশালী বার্তা প্রদান করে—ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং আস্থার ভিত্তিতে কোনো সমস্যাই সম্পর্ককে ভাঙতে পারে না। এটি পাঠকদের জীবনের কঠিন মুহূর্তগুলোতে একে অপরকে ভালোবাসা ও সহানুভূতির মাধ্যমে জয় করার প্রেরণা দেয়।