ফজলে আলী খান, বংশগৌরব আর আভিজাত্যের গর্বের কাছে যিনি একসময় নিজের ছোটো ছেলেকেও কুরবান করে দিয়েছিলেন। আজ তারই সমর্থনে খান বাড়ির নাতবৌ হয়ে আসছে চৈতালী। যে খান বাড়ির কেয়ারটেকার রহিম তরফদারের কন্যা। পারিবারিক বা আর্থিক অবস্থান কোনো দিক থেকেই যারা খান বাড়ির বরাবর নয়। ফজলে আলী খানের নাতি চৌত্রিশ বছর বয়সী মাহিম আলী খান সুপুরুষ, যোগ্য একজন। একা হাতে যে পারিবারিক ব্যবসা দেখে। নেই চারিত্রিক সমস্যাও। তার জীবনে প্রথম স্ত্রী চন্দ্রিমা বিদ্যমান থাকতেও কেন চৈতালীকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে চলেছে? চন্দ্রিমা সুন্দরী, ধনী পরিবারের মেয়ে। তবু তার ইচ্ছেতেই এই বিয়ের আয়োজন। উনিশ বছর বয়সী চৈতালী চেষ্টা করেছিল এ বিয়ের আয়োজন থেকে পালাতে। মাহিম যতই ধনী হোক, ইতোমধ্যে বিবাহিত একজনের দ্বিতীয় স্ত্রী রূপে মধ্যবর্তিনী জীবন চৈতালীর কাম্য ছিল না। কিন্তু নিয়তি যা ঠিক করে রাখে, তা এড়ানোর সুযোগ কই। মাহিম আর চৈতালী ঠিকই বাঁধা পড়ে ধূসর কাবিনের বন্ধনে। এরপর? নাটকের চাইতেও নাটকীয় এক জীবনে আটকে যায় মাহিম, চন্দ্রিমা, চৈতালী। কে ভালো আর কে খারাপ? কে পরিস্থিতির শিকার আর কে ভাগ্য বিড়ম্বনার... সবকিছুর জট খুলতে খুলতে উন্মোচিত হয় চেহারার পেছনে আরেকটি চেহারার। চৈতালীকে কখনোই স্ত্রীর অধিকার দেবে না পণ করা মাহিম, মাহিমকে কখনোই ভাগ করবে না ঠিক করা চন্দ্রিমা, না নিজের অধিকারটুকু আদায় করে নেবে ভাবা চৈতালী... কার জন্য রঙিন প্রণয় অপেক্ষা করছে? ধূসর কাবিনে শুরু হওয়া বিচিত্র জীবন কি রঙিন প্রণয়ের দেখা পাবে?
"জমজমাট এই সামাজিক গল্প পারিবারিক আবহ নিয়ে শুরু হলেও প্লটটা খুবই ব্যতিক্রমী ছিল। আমাদের চেনা গণ্ডীর বাইরের প্লট। চন্দ্রিমার লিভার সিরোসিস, মাহিমের মানসিক দ্বন্দ্ব ও টানাপোড়েন, সব কিছু মিলিয়ে এই গল্পটি একেবারে ভিন্নধারার। সব মিলিয়ে 'ধূসর কাবিন রঙিন প্রণয়" গল্পটি রুকসাত জাহানের একটি সুখপাঠ্য ও শিক্ষণীয় গল্প। যারা সামাজিক প্রেক্ষাপটে লেখা গল্প পড়তে পছন্দ করেন, তাদের গল্পটি ভালো লাগবে বলেই আশা করি। জনরাঃ সামাজিক রেটিংঃ ৯.৫/১০"
ভালো লেগেছে
Read all reviews on the Boitoi app
চমৎকার একটা উপন্যাস। পড়তে শুরু করলে শেষ না করা পর্যন্ত থামতে ইচ্ছা করে না। লেখকের সাবলিল লেখা এবং টুইস্ট এই উপন্যাসে অভিনবত্ব এনেছে। রুকসাত জাহানের লেখা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। তিনি রোজ নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। লেখকের সাফল্য কামনা করছি ।
ভীষণ ভালো লেগেছে।
এই মাঝরাতে গল্পটা পড়ে শেষ করলাম এক নাগারে। গল্পটা শেষ অব্ধি পড়ে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রথমেই বলতে হয় গল্পের চরিত্রগুলো নিয়ে, যা একদম জীবন্ত মনে হয়েছে। দাম্পত্য, পারিবারিক আর সামাজিক সমস্যাগুলো এত সহজ ও বাস্তবধর্মীভাবে ফুটেছে গল্পে যে কখনো মনে হয়নি এটি কোনো গল্প। চন্দ্রিমা আর মাহিনের চরিত্রগুলো বিশেষ করে মন ছুঁয়ে গেছে আমার। চন্দ্রিমা আত্মবিশ্বাসী ও উজ্জ্বল। আর মাহিন মানুষের মন বুঝতে পারার দিকটা খুব বাস্তব লাগছে। ফেসবুকে যদিও এই গল্পের কয়েক পর্ব পড়ার সুযোগ হয়েছিল কিন্তু তখন থেকেই ভেবেছিলাম ইবুক ভার্সনটা পড়ব। লেখক রুকসাত জাহান বরাবরের মতোই দারুণ লিখেছেন। তার লেখায় এমন এক টান থাকে, যা একবার পড়া শুরু করলে থামা যায় না। আমি আগে ওনার আরও কিছু বই পড়েছি, প্রতিটিতেই ভিন্ন স্বাদ পেয়েছি। এই গল্পটাও তার ব্যতিক্রম নয়। চরিত্রগুলো বাস্তব মনে হয়েছে। আর প্লটটা একদম লা জবাব। শেষ পর্যন্ত পড়তে পড়তে মনে হলো গল্পটা যদি আরও দীর্ঘ হতো। সত্যি বলতে দারুণ একটা অভিজ্ঞতা হলো। এমন আরো অনেক অনেক লেখা প্রত্যাশা করি লেখকের থেকে।
এতো ভীষণ সুন্দর ছিল গল্পটা যে শেষ না করে উঠার উপায় ছিল না। সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা পটভূমি তৈরি করেছেন লেখিকা। আমাদের সমাজে দুই বিয়েতে যে ধরনের সমস্যা কিংবা ইতিবাচক ও নেতিবাচক ঘটনা স্বামী স্ত্রী থেকে শুরু করে পরিবার, আত্মীয় বা সমাজে সৃষ্টি হয় তার সকল দিকগুলো সুন্দর এবং সাবলীলভাবে লিখেছেন লেখিকা। যদিও এধরনের লেখার অনেক সমালোচনার সম্ভাবনা থাকে, তারপরও এমন একটা গল্প লেখার সাহসিকতার জন্য লেখিকা আমাদের মতো পাঠকদের থেকে সাধুবাদের দাবিদার। গল্পতে ভালো খারাপ দুই দিকই ছিল। কোনো চরিত্রকে নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণিতে ফেলা যায় না কেননা প্রতিটি চরিত্র লেখিকা খুব যুক্তিসঙ্গতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। আসলে গল্পের প্রশংসা করতে গিয়ে শুধু লেখিকার প্রশংসা হয়ে যাচ্ছে। ভালবাসা ও ধন্যবাদ রুকসাত জাহান আপুকে এতো সুন্দর গল্প উপহার দেওয়ার জন্য, এবং ভবিষ্যতের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা 💚
Ei golpo ta diye Rukhsat Jahan er lekhar sathe porichoy. Ek bosai raat jege 1st part shesh kore chhilam. Eto bhalo legechhilo je doa korchhilam jeno 2nd part shuru hoi. Luckily 2nd part er 2nd porbo peyechhilam. Bhishon bhalo ekta golpo. Must read book.....❤❤❤
ফেইসবুকে আপার পেইজে দুই খন্ডই পড়া হলেও এই বইটা কিনে শেল্ফে রাখা যেনো মাঝেমধ্যেই পড়া যায়। কিছু লেখা শুধু সাময়িক আনন্দের খোরাক হয় না বরং এর ভালোলাগার রেশ সবসময় জুড়ে থাকে; তেমনই একটি বই এটি। গল্পের মাঝে হারিয়ে যেতে হয়। তীব্র আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী চৈতালীর দু:খে আকূল হতে হয়,ওর সুখে সুখের ভেলায় হারাতে ইচ্ছে হয়। জীবন বড়ই বৈচিত্র্যময় আর তার চেয়েও বেশী বৈচিত্র্য হলো মানুষের মন। এই মনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে থাকে না অনেকসময় নিজেদেরই যার একটি উদাহরণ মাহিম। মানুষের পজেসিভনেস তাকে কতটা ভয়ংকর করে তুলে তার প্রমাণ চন্দ্রিমা। বাকী সকল চরিত্রই নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বমহিমায় আলোকিত। আপুর জন্য দোয়া ও ভালোবাসা।এমন লেখা আরো চাই। মলাটে কিংবা ইবুক আকারে কিংবা পেইজে। ভালো থাকুন শব্দের কারিগর। ---ইসরাত জাহান রিংকু
মাথা নষ্ট বই
ইবুক টা আমার কাছে বেশ সুন্দর লেগেছে। যত পর্ব পড়েছি তত অবাক হয়েছি। প্রতিটি পর্বে ছিল এক একটি রহস্য। আবার রহস্যের জটিল ধাঁধা টা যখন সরে গেছে তখন হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিলাম। এটাও কি সম্ভব। র"ক্তের টান কি এতোই মজবুত! গল্পটি থ্রিলার, রোমান্টিক, পারিবারিক জনরার ধরতে পারেন। তবে চৈতালী চরিত্র টি আমার মনে ভীষণ ভাবে গেঁথেছে। এ এক অনন্য চরিত্র গল্পের। যাকে ছাড়া মাহিম আর চন্দ্রিমা নিঃস্ব। ~ রেটিংঃ ১০/১০
ভীষণ সুন্দর