বহ্নিশিখার অন্তর্ধানের পরে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেছে। সুদীর্ঘ এই সময়ে পৃথিবী এগিয়ে গেছে অনেকটা দূর। মহাকালের হিসেবে অতি স্বল্প সময়ের জন্য পৃথিবীতে আসা মানুষেরাও বদলে গেছে, যার যার মতো। জীবনে এসেছে অনেক পরিবর্তন। গল্পকথকের জীবনে বেড়েছে দায়িত্বের বোঝা। অল্প বয়সের সেই খুনসুটি, হাসি-কান্না আর আবেগ এখন বাস্তবতার চাপে অনেকটাই স্তিমিত। শরীরেও ছাপ বসিয়েছে নির্দয় সময়। তবু বহ্নিশিখার সাথে আরেকবার সাক্ষাতের প্রচণ্ড আবেগ শরীর-মনে আলোড়ন তুলেছে... সেই আগের মতোই! কোনো এক আশ্চর্য মন্ত্রবলে রহস্যময়ী এখনো সজীব, অটুট। রূপ তাকে ঘিরে রেখেছে আষ্টেপৃষ্ঠে। মধুমক্ষিকার মতো আজো আশেপাশেই আছে স্তাবকের দল। ঘিরে থাকা গুঞ্জনও তাকে ছেড়ে যায়নি। এই হয়ত শেষ সুযোগ! বহ্নিশিখার রহস্যটা কি এবারে ভেদ করা যাবে?
বহ্নি কে ডেকে আমার বলতে ইচ্ছে করে, এই মেয়ে তুমি বসো তো আমার পাশে নিশ্চিন্ত হয়ে । আমি তোমার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দেই।
Read all reviews on the Boitoi app
রিসাদ কি ফিরে এল বহ্নির জীবনে??
গল্পটা পড়তে পড়তে অনেক ধরণের ভাবাবেগ অন্তরে খেলে গেলো। আমরা তো লেখক না, কাজেই সে অনুভূতি লেখায় প্রকাশ করা কঠিন। তবে গল্পটা নিঃসন্দেহে খুবই সুন্দর।
ভালো লাগলো। আসলেই অতি বড় ঘরণী না পায় ঘর, অতি বড় সুন্দরী না পায় বর।
খুব ভাল লেগেছে, শেষের টুইস্টের জন্য একদমই রেডি ছিলাম না
অনেক ভালো লেগেছে।
অনেকদিনের পুষে রাখা কৌতুহল মিটল অবশেষে!!! ধন্যবাদ লেখক কে....
এক নি:শ্বাসে পড়লাম! চমৎকার!
একবসায় শেষ করলাম চমৎকার এই উপন্যাসটি। খুব ভালো লাগলো। একটা ছোট গল্পকে উপন্যাসে রূপ দেওয়া সহজ কথা নয়। সেই জিনিসটাই লেখক অসাধারণ ভাবে করেছে এই "বহ্নিশিখা ও দ্বিতীয় পুরুষ" উপন্যাসে। লেখক ফাহমিদা বারীর লেখার ভক্ত আমি অনেক আগে থেকেই। তার লেখা খুব সুন্দর, ঝরঝরে। গল্প/উপন্যাস কোন বাঁধা ছাড়াই পড়েছি সবসময়। উপন্যাসটির সব ভালোর মধ্যেও দুইটি বিষয়ে আমার মতামত হলো- বহ্নিশিখাকে তার অতীত ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়াটা বিমল বাবুর ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ সত্য কখনো চাপা থাকে না। পরবর্তীতে বহ্নিশিখার সাথে হওয়া ঘটনায় তা প্রমাণিত হয়েছে। আর গল্প কথকের সাথে ঘটা ঘটনাটি না দেখালেও কোন ক্ষতি ছিল না। এটাতে বরং অভিশাপ দেওয়া, নজর লাগা ইত্যাদি বিশ্বাসকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়।
কিনে ফেললাম আলহামদুলিল্লাহ। ই-বুক পড়ার ধৈর্য্য আমার হয় না। তবে গল্প হোক কিংবা বই‚ ফোনে পড়ার রেকর্ড আমার যথেষ্ট আছে। এই বহ্নিশিখাকে নিয়ে প্রথম বইয়ে পড়েছিলাম। এরপর তাকে জানার জন্য কী যে অস্থির লাগছিল। শুধু তাকে জানার জন্য হলেও এই ই-বুকটা ইন শা আল্লাহ শেষ করবো😌🫶🍂