সে একটা বিয়ে ছিল বাধ্যবাধকতার—মায়ের জেদে গড়া, ভালোবাসাহীন। রিয়ানের মন ছিল অন্য কারো জন্য। বুকপকেটে ছিল অন্য একটা শখের নারী। আর যাকে সে বিয়ে করল, সেই মেয়েটার মন ছিল শুধুই রিয়ানের জন্য। অদ্ভুত এক অসম ভালোবাসা, যেখানে একপাশ ভালোবাসায় ভরপুর, আর অন্যপাশ আগুন। রিয়ান বারবার চেয়েছে মেয়েটা যেন নিজেই সরে যায়, দূরে চলে যায় তার জীবন থেকে। অবহেলা, অপমান—সব রকমভাবে কষ্ট দিয়ে চেষ্টা করেছে তাকে হারাতে। কিন্তু মেয়েটা ছিল এক অন্যরকম ভালোবাসার নাম, যে কোনো শর্তে ছেঁড়ে যায় না ভালোবাসার মানুষকে। তার মতে, কেবল ভালোবাসা দিয়ে সব জয় করা যায়, সব। যাকে ভালোবাসি, তার দেওয়া কষ্ট যন্ত্রণা সহ্য করে তার সাথে থাকতে না পারলে কীসের ভালোবাসা? দিন গড়িয়েছে, সম্পর্কের রঙ বদলেছে। অবহেলার মাঝে থেকেও মেয়েটার ভালোবাসা একদিন রিয়ানের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তাদের জীবনে আসে এক নতুন আলো—একটি সন্তান। কিন্তু সেই আলো দেখেই চিরতরে নিভে যায় মেয়েটা। আজ রিয়ান বুঝে, যে মানুষটা নিঃশব্দে তাকে ভালোবেসেছিল, তাকেই সে সবচেয়ে অবহেলা করেছে। এখন প্রতিদিন সেই স্মৃতির ভারে ভেঙে পড়ে সে। এখন সে প্রতিনিয়ত রিয়েলাইজ করে, যারা আমাদের নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে, তাদের অবহেলা কিংবা উপেক্ষা করা নয়, বরং ভালোবাসা ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। না হলে, যখন তারা চিরতরে চলে যায়, তখন কেবল শূন্যতা আর অপরাধবোধই সঙ্গী হয়ে থাকে... সারা জীবন।