মা মারা গেছেন আজ সাতদিন। আত্মীয়-স্বজন সবাই চলে গেছেন এর মধ্যেই। কাল ভাইও চলে যাবে রাজশাহীতে। আমি আর বাবা এবার একা হয়ে যাব। পরিবারের যে প্রাণ হয়ে থাকে, সে হঠাৎ এভাবে চলে গেলে বাকি সদস্যদের প্রাণ থাকাটা শুধুই সৌজন্য হয়ে যায়? আমার মা সাজিয়া হক, ৫৫ বছর বয়সেই চলে গেলেন। হার্ট অ্যাটাকে। পুরো সুস্থ একজন মানুষ। আমাদের মানসিকভাবে তৈরি করেও গেলেন না। আগের দিনও বাবার সাথে খুনসুটি করছিলেন! আমার বাবা হাসানুজ্জামান, বয়স ৫৯। এই মুহূর্তে ছাদে দাঁড়িয়ে আছেন। কারো সাথে কথা বলছেন না। আমি? আমি রাফিয়া জামান শিলা, বয়স ১৮। এই মুহূর্তে আমি মায়ের আলমিরা খুলে সামনে বসে আছি। এই আলমিরাতে একটা চোরাকুঠুরি আছে। জানতাম। মা হাত দিতে বারণ করতেন। দেইনি কখনো। মা যাবার আগে আমাকে বলে গেছেন, খুলে দেখতে। এত কিছু থাকতে যাবার আগে এটাই কেন বললেন? একটা ছোট্ট বক্স। পুরোনো অনেক। ধুলো জমেনি... ঠিক চিঠিগুলোর মতো... মায়ের লেখা... শত শত চিরকুট... প্রতি ঋতুতে, প্রতি বছরে... একজনের জন্যে... সেই একজন, আমার বাবা নন! আমায় সেই একজনকে খুঁজে বের করতে হবে... আদিত্য... তাঁর কাছে আমায় পৌঁছে দিতে হবে এই অসমাপ্ত গল্পগুচ্ছ... মায়ের শেষ ইচ্ছে!
এমন এক জায়গায় শেষ হইছে! দৌড়ায় যাচ্ছি ২য় খন্ড পড়তে। দারুণ,দারুণ,দারুণ❤️
Read all reviews on the Boitoi app
'অসমাপ্ত গল্পগুচ্ছ ' বইয়ের নামটা মনে আসলেই কেমন জানি একটা ঘোরের মধ্যে চলে যাই আমি। এ বইয়ের প্রথম খন্ড আমি তিন বার পড়েছি। প্রতিবারই অনুভূতি ছিল একই রকম। একবারের জন্যও একটু কমে নি। এরপর দ্বিতীয় খন্ডের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষা। যাক আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে অবশেষে ১৬ ই আগস্ট বইটির দ্বিতীয় খন্ড ই বুক হিসেবে পেলাম। সেই দিনই বইটি কেনা হয়ে গেলেও পারিবারিক ব্যস্ততার জন্য সাথে সাথে পড়তে পারিনি। চাইলে হয়ত এটকু আধটু করে পড়তে পারতাম কিন্তু এ বইটি আমি অন্য সব বইয়ের মতো পড়তে পারি না। বইটা পড়তে আমার একান্ত নিজের মত পরিবেশ লাগে। লেখিকা কতটা আবেগ নিয়ে বইটি লিখেছেন সেটা যেমন আমি যথার্থ পরিমাপ করতে পারবো না ঠিক কতটা আবেগ নিয়ে বইটা পড়েছি তা ও বোঝাতে পারবো না। শুধু এটুকুই বলবো বইটি পড়ে আমি ঝর ঝর করে কেঁদেছি। এ বইয়ের প্রথম খন্ড পড়ে আমি টানা একবছর বা তার ও বেশি সময় ধরে বইটি থেকে বের হতে পারিনি। দ্বিতীয় খন্ড পড়ে ও একই অবস্থা। কয়েকদিন ধরে বইটি সম্পর্কে লিখবো লিখবো করেও লিখতে পারি নি। ভাবতে গেলেই শুধু চোখ দিয়ে পানি পড়ে, বুকটা ভেঙে চুর চুর হয়ে যায়। আসলে আমি বইটি থেকে বের ই হতে পারছি না। আদিত্য-সাজিয়া রয়ে যাবে আমার হৃদয়ে দীর্ঘদিন।
বেশ গুছানো সাবলীল একটা লেখা। শুরুটা অনেক সুন্দর আর শেষটা ততটাই অনাকাঙ্ক্ষিত, কারণ এটার পুরোটা জানতে আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। তবে শিলা আর সুমিতের রসায়ন। শিলার মা-বাবার বন্ধন এবং আদিত্যের আগমন সব মিলিয়ে গল্প জমে গেছে। পরবর্তী অংশ জলদি চাই...
ভিন্নধর্মী একটা ভালোবাসার গল্প! প্রথম পর্ব (খন্ড) খুব ভালো লেগেছে। শেষটা জানার জন্যে উদগ্রীব হয়ে আছি। আশাকরি পরের পর্ব (খন্ড) তাড়াতাড়ি পাবো।
খুবই সুন্দর একটা উপন্যাস।। লেখিকা এত সুন্দর করে জীবন্ত করে তুলেছেন পড়তে পড়তে হারিয়ে যাই লেখার মাঝে।। পরর্বতী পার্টের অপেক্ষায়।।