"যখন বৃষ্টি নামে, তখন শুধু আকাশ নয়, হৃদয়ের ভেতরটাও ধুয়ে-মুছে যায়। কিছু গল্প থাকে, যেগুলো ছাতার নিচে শুরু হয়, চোখের ভাষায় বলে ফেলে না বলা শব্দ, আর বৃষ্টির ফোঁটায় লুকিয়ে রাখে শত শত অনুভব। এমনই এক গল্প— 'বৃষ্টিঘ্রাণ'।" বাংলা প্রেমকাহিনির বিস্তৃত ভুবনে "বৃষ্টিঘ্রাণ" এক অভিনব সংযোজন। এটি শুধুই প্রেমের গল্প নয়— এটি তিন প্রজন্মের অনুভব, উত্তরাধিকারের আবেশ, এবং ছুঁয়ে থাকা বৃষ্টিমাখা আবেগের ধারাবাহিকতা। যেখানে প্রথম প্রেম শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে— টিএসসি, লেক, পলাশ ফুল আর একটি পুরোনো ছাতাকে ঘিরে। তারপর তা গড়িয়ে যায় প্রবাসে, আসে সন্তান, ফিরে আসে সেই একই ছাতার নিচে আরেকটি নতুন প্রেম নিয়ে। লেখক, যিনি নিজেই একজন গবেষক, প্রাবন্ধিক এবং সংবেদনশীল হৃদয়ের মানুষ— এই উপন্যাসে মিশিয়েছেন প্রকৃতি, প্রেম, এবং প্রজন্মের অনন্য এক মেলবন্ধন। তাঁর শব্দচয়ন এতটাই জীবন্ত, যে পাঠক প্রতিবার পাতায় পাতায় হাঁটবেন এক বর্ষাস্নিগ্ধ পথ ধরে। “প্রেমের মতো পবিত্র অনুভূতি পৃথিবীতে খুব কমই আছে, যা বৃষ্টি, ছায়া আর স্মৃতির মতো আমাদের চারপাশে নীরবে থেকেও গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়। এই উপন্যাস সেই নিঃশব্দ স্পর্শেরই অনুবাদ।” ‘বৃষ্টিঘ্রাণ’ উপন্যাসটি লেখার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল না। এটি যেন আপনাআপনিই গড়ে উঠেছে আমার ভেতরের জমে থাকা আবেগ, দেখা কিছু সম্পর্ক, আর না-বলা কিছু ভালোবাসার গল্প থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, লেকের ধারে বসে থাকা তরুণ-তরুণী, এক ছাতার নিচে দাঁড়িয়ে না বলা অনুভূতি— এসবই বারবার ফিরে এসেছে আমার লেখার পাতায়। তানিম-ঋদ্ধির প্রেম, তাদের ছায়ায় জন্ম নেওয়া শ্রাবণ-নীরা’র গল্প, এবং এক নতুন প্রাণ ‘রেন’ কিংবা ‘পলাশা’র আগমন— সব মিলিয়ে এটি শুধু একটি প্রেম উপন্যাস নয়, বরং প্রজন্মান্তরের সংযোগ, অনুভবের উত্তরাধিকার। প্রবাসেও যে দেশের বৃষ্টি আমাদের চোখ ভেজায়, সেটাও এই গল্পে আছে। আমি কৃতজ্ঞ সেই সকল পাঠকের প্রতি, যারা প্রেমে এখনও বিশ্বাস রাখেন, এবং সাহিত্যকে ভালোবাসেন হৃদয় দিয়ে।