যুদ্ধজয়ের গৌরবে নূরজাহান মহলে ফিরে আসে সেনাপতি রাফসান ইমতিয়াজ। রাজসভা উল্লাসে মুখর। আর ঝরোকায় দাঁড়িয়ে থাকা রাজ্যের উত্তরাধিকারী শেহজাদি প্রিয়া প্রথমবারের মতো তাকায় এই বীরের চোখে। সে চাহনিতেই জন্ম নেয় এক নিঃশব্দ অনুভব, যা ধীরে ধীরে রূপ নেয় গভীর ভালোবাসায়। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে দুটি হৃদয়ের অদৃশ্য সেতুবন্ধন। একসময় প্রেম স্বীকার করে তারা একে অপরের সামনে। তবে সে প্রেমের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় রাজনীতি, রাজপরিবারের দায়িত্ব আর বাদশাহের কঠোর সিদ্ধান্ত। যুদ্ধে জয়ী সেনাপতি পায় না তার ভালোবাসাকে। কারণ বাদশাহ ঠিক করেছেন, শেহজাদির বিয়ে হবে প্রতিবেশী রাজ্যের এক শেহজাদের সঙ্গে। এ খবর শুনে সেনাপতি আর শেহজাদি নেয় এক সাহসী সিদ্ধান্ত। সবকিছু ছেড়ে পালিয়ে যাবে। তারা পালায়, বিয়ে করে, ভেবেছিল এভাবে রক্ষা পাবে প্রেম। কিন্তু বাদশাহর কাছে তাদের প্রেমের দাম নেই। বাদশাহর লোকজন তাদের খোঁজ পায় এবং ধরা পড়ে যায় তারা। বাদশাহ রোষে সেনাপতির গর্দান নেয়, লাশ ফেলে দেন নূরজাহান মহলের পাশের নদীতে। প্রেমিকহারা শেহজাদি পরদিন সেই নদীতেই বিষ পান করে ডুবে যায়। শেষ হয়ে যায় দুজনের গভীর ভালোবাসা। কিন্তু থেকে যায় একটি প্রজ্বলিত প্রেমকথা, যা যুগ যুগ ধরে ধ্বনিত হয় নদীর জলে, মহলের ঝরোকায়, আর নিঃশব্দ আকাশে। নূরজাহান মহলের প্রতিটা বাতাসে যেন আজও সেনাপতি আর শেহজাদির করুণ ভালোবাসা মিশে আছে।