মহাকাশবিজ্ঞানীরা নেপচুনের কক্ষপথে এক অদ্ভুত বিচ্যুতি আবিষ্কার করেন—যা কোনো অজানা শক্তির ইঙ্গিত দেয়। হঠাৎ করে আবির্ভাব ঘটে এক রহস্যময় বস্তুর, যা নিজের কোনো আলো নেই, অথচ তার ভর বৃহস্পতির তেরো গুণ! বিজ্ঞানীরা একে প্রথমে ব্ল্যাকহোল মনে করলেও পরে আবিষ্কার করেন এটি একটি নতুন গ্রহ—এক কৃষ্ণকায়, ছায়ার মতো গ্রহ, যার টান ভয়ংকর। প্ল্যানেট এক্স নামক এই গ্রহ সূর্যের চারপাশে এক দীর্ঘ উপবৃত্তাকার পথে ঘুরতে ঘুরতে এবার ছুঁয়ে যাচ্ছে আমাদের সৌরজগতের ভেতরের গ্রহগুলো। এর ভরের প্রভাবে পৃথিবী নিজের কক্ষপথ থেকে সামান্য সরে গিয়ে সূর্য থেকে দূরে সরে যেতে শুরু করে। ফলাফল—এক অস্বাভাবিক, দীর্ঘ, আর হিমশীতল শীত, যা ঢেকে দেয় পুরো পৃথিবীকে। উপন্যাসটি বিজ্ঞান, আতঙ্ক ও মানুষের নীরব লড়াইয়ের এক অনন্য সংমিশ্রণ। যখন ঢাকায় প্রথমবার বরফ পড়ে, তখনো মানুষ জানে না তারা আসলে কীসের মুখোমুখি হচ্ছে। এ এক ভয়ংকর সৌন্দর্য, এক শীতল সর্বনাশ, যা ধেয়ে আসছে কৃষ্ণগহ্বরের ছায়া হয়ে।
হঠাৎ কক্ষপথ বিচ্যুতির কারনে পৃথিবীর জলবায়ুর বিরাট পরিবর্তন ঘটে। ফলে পরিবর্তন আসে সামাজিক জীবনব্যবস্থার ও।কিন্তু মানুষের পরস্পরের প্রতি ভালবাসাই এই বিপদের দিনে টিকিয়ে রাখে। পড়তে খুব ই ভাল লেগেছে।⭐⭐⭐⭐⭐
Read all reviews on the Boitoi app
খুবই সুন্দর। নতুন ধরনের। গল্পের টান আছে, শেষ না করে ওঠা কষ্টকর!
নেপচুনের কক্ষপথে বিচ্যুতি, বৃহস্পতি-তুল্য ভর, উপবৃত্তাকার কক্ষপথ, পৃথিবীর অক্ষচ্যুতি—এসব তথ্য বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য এবং কল্পবিজ্ঞান পাঠকের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করে। ঢাকায় বরফ পরার বিষয়টি এততাই বাস্তব লেগেছে মনে হয়েছে যে এখানে আমিই রয়েছি। স্নেহার চরিত্র আমার ভালো লেগেছে। পারিবারিক বন্ধন আর আবেগের এক অপূর্ব মিশ্রণ। গল্পের ভাষা সহজ আর প্রাঞ্জল। পড়তে শুরু করলে পড়তেই মন চায়।