ডেস্কের উপর রাখা তিয়ানার ছবিটা হাতে নিয়ে গুঞ্জন বলে, - বাহ্, ভারী মিষ্টি তো মেয়েটা! কী নাম ওর? - তিয়ানা। শিল্পপতি ইশতিয়াক আহমেদের মেয়ে। গত সপ্তাহে এই কেস নিয়ে অনেক হইচই হয়েছিল, পেপারে পড়েছো বোধহয়। এই মেয়েটাকে তাদের স্কুল বাসের ড্রাইভার যৌননির্যাতনের পর খুন করেছে স্কুলের ভেতরেই। পুলিশ মাত্র বারো ঘণ্টার মধ্যে এই কেস সলভ করে সবাইকে চমকে দিয়েছে। - আরে হ্যাঁ, তাইতো! গুলশানের ঘটনা না? ওই যে সেই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ুয়া বাচ্চাটা, মাত্র পাঁচ বছর বয়স! ইস্, কী সুন্দর বাচ্চাটা! ড্রাইভারটা কিভাবে পারলো এমনটা করতে? এই বাচ্চাটাকে দেখে কারো মনে কামনার উদ্রেক হতে পারে বল? একটা পাঁচ বছরের বাচ্চার শরীরে মোলেস্ট করার মত আছেই বা কী? - যারা এই ধরনের কাজ করে, তারা মানসিকভাবে অসুস্থ হয় গুঞ্জন। তারা কি আর এসব বোঝে? পাঁচ বছরের একটা বাচ্চার মৃত্যুর রহস্যের পুনঃতদন্তের জন্য শিল্পপতি ইশতিয়াক আহমেদ আসেন গোয়েন্দা শোভনের কাছে। অনুরোধ করেন তার মেয়ের আসল খুনিকে খুঁজে বের করতে। প্রথমে সলভ হয়ে যাওয়া একটি মৃত কেসকে আবার পুনর্জীবিত করতে রাজি হয় না শোভন, কিন্তু শেষমেষ পিতার আকুতির কাছে হার মানে তার মন। তবে যেই কেস একবার সলভ করা হয়ে গেছে, তা পুনঃতদন্ত এতটা সহজ নয় জানে শোভন। তবু চেষ্টা করতে দোষ কোথায়? আপনাদের কি মনে হয়, ক্ষুরধার বুদ্ধির দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা শোভন কি পারবে মৃত তিয়ানার আসল খুনিকে খুঁজে বের করতে? জানতে হলে পড়তে হবে... নিষ্পেষিত সরলতা (একটি সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে)
তিয়ানাদের সাথে আর কোনো অন্যায় না হোক। তিয়ানারা বাঁচুক প্রাণভরে। গল্পটা ভীষণ ভালো লাগলো
Read all reviews on the Boitoi app
আপু আপনার সব গল্পের মত এটা ও দারুণ।
গোয়েন্দা শোভনের এই ছোট গল্পটিও তার বাকি গল্পের মতোই চমৎকার আর টুইস্টে ভরা ছিলো। পুরোটা সময় আমি বেশ উপভোগ করছিলাম শোভনের গোয়েন্দাগিরি। ছোট্ট পাখি তিয়ানার জন্য এতো খারাপ লেগেছে। তিয়ানার আকস্মিক মৃত্যু ও তার বাবার আর্তনাদ আমাকে বারবার ব্যথিত করছিলো। তবে গল্প শেষ হতে হতে লেখক আমাদেরকে একটা সুন্দর শিক্ষা দিয়ে যায়, অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয় সেটা বড় মানুষ হোক বা বাচ্চাদের জন্য। আমরা চাইলেই এই শিক্ষাটা আমাদের মাঝে ধারণ করতে পারি এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক থাকতে পারি। কারণ এসব ঘটনা আমাদের আশেপাশে অহরহ ঘটেই চলেছে। আপনারাও অসম্ভব সুন্দর এই ছোট গল্পটি পড়তে পারেন, কথা দিচ্ছি নিরাশ হবেন না।
অনেকদিন পর শোভনকে পড়তে পেরে খুব ভালো লেগেছে। শোভন আমার অনেক প্রিয়। ইবুক টা আগে কিনছি কিনছি কবন্তু সময় ছিলো না বলে না পড়ে রেখে দিছি। আজকে পড়তে এসে দেখে শেষ হয়ে গেছে এমন ছোট হবে জানলে আরো আগে পড়ে ফেলতাম। শোভনকে যত পড়ি তত ভালো লাগে তাই অল্পতে মন ভরেনি।
শোভন গোয়েন্দা সিরিজের এই ছোটোগল্পটি সত্যিই দারুণ পাঠ-অভিজ্ঞতা। পাঁচ বছরের নিষ্পাপ তিয়ানার আকস্মিক মৃত্যু পাঠককে চমকে দেয়, আবার ঘটনার জটিলতা ধীরে ধীরে উন্মোচন করার ভঙ্গি গল্পটিকে করে তোলে টানটান। খুনির পরিচয় প্রকাশের মুহূর্ত পর্যন্ত কৌতূহল একটুও কমে না। লেখকের ঝরঝরে ভাষা ও বর্ণনার ভঙ্গি পাঠককে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখে। সংক্ষিপ্ত হলেও গল্পে যে রহস্য, বেদনা আর শিহরণ মিলেমিশে আছে, সেটাই এর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।
শোভন কে অনেক মিস করেছি। বরাবরই শোভনের গল্প দারুন সন্তোষজনক !
আমার শোভন মানেই দারুন কিছু হবে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাও ৪ স্টার দিলাম কারন লেখিকা কিপ্টে, গল্প কম দিয়েছে। তবে গল্পটা খুব খুব খুব সুন্দর হয়েছে। লিখায় রুপকথা
বহুদিন পর শোভনকে পেলাম। আফসানা নীতু আপুর লেখা বলতে রহস্য গোয়েন্দা বুঝতে পারি। গল্পটাও খুব সুন্দর হয়েছে আপু। মলাট বইতে শোভনকে দেখতে চাই আপু❤️❤️
অনেকদিন পর গোয়েন্দা শোভনের গল্প! বেশ ভালো লাগলো। গল্পটা আরেকটু বড় হলে ভালো হতো।
আফসানা নীতু আপুর শোভন সিরিজের বইগুলো আমার বরাবরই ভীষণ প্রিয়। গোয়েন্দা শোভনের সমাধানকৃত জীবনঘনিষ্ঠ বিভিন্ন জটিল অভিযানকে সহজ ও সাবলীল বর্ণনার মাধ্যমে যেভাবে পাঠকের হৃদয়গ্রাহী করে তোলেন তা আসলেই প্রশংসাযোগ্য। এবারে "নিষ্পেষিত সরলতা" শিরোনামের এই ই-বুকেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। স্বল্প পরিসরের বইটিতেও চমৎকার কিছু মেসেজ রয়েছে। একদিকে সন্তানের শৈশব বিনষ্টকারী মানসিক অত্যাচার যে কি ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে তা যেমন বর্ণিত হয়েছে একইসাথে অন্যদিকে অপ্রাপ্ত বয়সে প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহারের কুফলের বিষয়টিও সন্তপর্ণে উঠে এসেছে। আর এই দুইয়ে মিলে ছোট এই বইটিকেও অনেক বেশি অর্থবহ করে তুলেছে। ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে এই স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে প্রত্যেকের ভাবনা আর সচেতনতা যে আসলেই অত্যাবশ্যকীয় তা পুনরায় উপলব্ধি করিয়েছে। নতুবা এভাবেই ক্রমাগত সরলতার নিষ্পেষণে আমরা হারাতে থাকবো নিজেদের সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল উত্তরাধিকার, যা কখনোই কাম্য নয়। পরিশেষে, সমসাময়িক এই উদ্বেগ সৃষ্টিকারী ব্যাপারগুলো এত চমৎকার ও সহজবোধ্য করে লেখনীতে তুলে এনে পাঠককে সচেতন করার প্রয়াসটুকুর জন্য নীতু আপুর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা রইলো! ~ সুমাইয়া তাসনিম হোসেন।