কাহিনির শুরুতে জানা যায় এলিনার অফিসে একটা প্রোডাক্ট শিপমেন্টের সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে এলিনা। এদিকে, তার সাথে তুমুল প্রেমে মগ্ন হয়ে রয়েছে রাইয়ান। অফিসের কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এলিনা ও রাইয়ান দম্পতি। এই দম্পতিকে কেন্দ্র করে এগিয়ে চলে গল্প। ঘটনার পরিক্রমায় উন্মোচিত হয়ে পড়ে নির্মম এক সত্য। জীবন নিয়ত প্রবহমান। ভালোবাসাও তাই। কখনো কখনো জীবনের স্রোতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ভালোবাসা। কখনো কখনো ভালোবাসাকে পরাস্ত করে ফেলে জীবনে নেমে আসা কোনো চরম দুর্যোগ। সেই দুর্যোগের কারণে হেরে যায় ভালোবাসা। কী এমন দুর্যোগ ঘটেছিল তাদের জীবনে? শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল তাদের? সব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে “তোমায় আমি দেখেছিলেম বলে”।
"পড়ার শুরুতে ভেবেছিলাম রোমান্টিক গল্প, কিন্তু পরে থ্রিলার দেখে সারপ্রাইজ হয়েছি। এক বসায় শেষ করলাম। খুব ভালো লেগেছে। লেখকের জন্য শুভকামনা রইল ❤️"
পড়ার শুরুতে ভেবেছিলাম রোমান্টিক গল্প, কিন্তু পরে থ্রিলার দেখে সারপ্রাইজ হয়েছি। এক বসায় শেষ করলাম। খুব ভালো লেগেছে। লেখকের জন্য শুভকামনা রইল ❤️
Read all reviews on the Boitoi app
টুইস্ট টা ভালোলাগছে। পুরো গল্পটাই অসাধারণ ছিল।
অনেক দিন হয়ে গেছে বই পড়তে পারতেসি না, গতকাল ছিলো বইটই মেলার শেষ দিন,যদি আজ থেকে সময় বাড়ছে, শেষ দিনেই বইটা কিনে এক বসায় পড়ে শেষ করেছি, এই রকম গল্প গুলোই মাঝেমধ্যে মনের স্বস্তি দেয় আমার, আরাম পেয়েছি গল্পটা পড়ে। ধন্যবাদ আপু।
আমি যখন আম্মুর পেটে ছিলাম,আম্মু প্রচুর ওয়েস্টার্ন বই পড়তো,যেই বইগুলোর গল্প পড়লেই মনে হতো এক দুর্দমনীয় রহস্যের হাঁতছানি আর ভয়ংকর একশন লুকায়িত।গল্পের শুরু দুটি প্রেমিক যুগলের মাঝের ভালোবাসার এক দুষ্ট মিষ্টি সম্পর্কের মাঝে বাঁধা হচ্ছে কোম্পানির নতুন আবিষ্কৃত নতুন পণ্যের মধ্যেকার সমস্যায়।একদিকে অফিসের ডেডলাইন আরেকদিকে দুটি তৃষিত আত্বার একে অপরের মধ্যে বিলীন হতে চাবার তীব্র বাসনা।গাটঁছড়া বাধলেও ভালোবাসা কি পাবে পূর্ণতা? গল্প নিয়ে কিছু বলব না কারণ দারুণ এক রহস্যে আবৃত আর মারকাট জবরদস্ত এক গল্প।আজকে বলতে চাই Broken Family এর শিশুদের মানসিক যাতনা নিয়ে।সুস্থ পরিবেশে, ভালোবাসাপূর্ণ দাম্পত্যে যেই সন্তানরা বেড়ে ওঠে তারা হয় একজন মানসিকভাবে মুক্ত চিন্তা সম্পন্ন মানুষ। কিন্তু যেই সন্তানরা পরিবারে ভাঙণ দেখে বড় হয়,পরিবারের সদেস্যদের মধ্যেই ষড়রিপুর দাপট দেখতে পায়,কাম আর লালসার লেলিহান শিখায় বলি হয় শিশুটির বিশ্বাস,মুখের হাসি আর পবিত্রতা। কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডের এক দারুণ কনসেপ্ট হচ্ছে কর্পোরেট স্পাইং।সেই কর্পোরেট স্পাইং কি পালটে দেবে দুটি জীবন? জানতে হলে পড়তে হবে মৌলি আপুর দারুণ এই বইটি।
দুর্দান্ত একটি গল্প। আগেও পড়েছিলাম, অনেক দিন পর আবার এই চমকপ্রদ গল্পটি পড়ে একইরকম ভালো লাগা কাজ করেছে। লেখিকার জন্য রইল আন্তরিক শুভকামনা।
★পাঠ সংক্ষেপ: গল্পটা শুরু হয় এলিনার অফিসের প্রোজেক্ট নিয়ে। সেই সূত্রে আস্তে আস্তে হাজির হয় রাইহান, আর ওদের মধ্যে গড়ে ওঠে এক অদ্ভুত টান। শুরুতে বোঝাই যায় না এটা আসলেই প্রেম, নাকি বন্ধুত্ব। কিন্তু ধীরে ধীরে সম্পর্কটা গভীর হয়, আর একটা সময় তারা গোপনে বিয়েও করে ফেলে। সবকিছু খুব মসৃণভাবেই চলছিল৷ ঠিক তখনই ঘটে যায় কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা। আর এখান থেকেই গল্পে আসে থ্রিল আর রহস্যের মোড়। কখনো মনে হবে সব ঠিক আছে আবার হঠাৎ করেই সবকিছু পাল্টে যাবে। এটা শুধু ভালোবাসার গল্পই নয় বরং এই ভালোবাসার ভেতর লুকিয়ে আছে টানটান উত্তেজনা আর চমক। এমন এক চমক যার জন্য কেউ মোটেও প্রস্তুত থাকেনা। শেষটা ভয়ানক কষ্টদায়ক। ★পাঠ_অনুভূতি: লেখক মৌলী আখন্দের লেখা আগেও পড়েছি। তাই, নতুন কিছু শুরু করার আগেই ভরসা ছিল। এই ই-বুকটি পড়তে গিয়েও সেটাই পেলাম, একদম হালকা আর সাবলীল লেখা। পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিল আমি যেন নিজের চোখের সামনে সবকিছু ঘটতে দেখছি। এলিনা আর রাইহানের সম্পর্কটা কখনো মিষ্টি আবার কখনো বেশ জটিল লেগেছে। আর এই মিলেমিশে যাওয়া আবেগ আর রহস্যই পড়াটা জমিয়ে দিয়েছে। গল্পটা যতটা এগিয়েছে কৌতূহলও ততটা বেড়েছে। মাঝপথে থেমে থাকা যায়নি, একবারে টেনে নিয়েছে। আর শেষে গিয়ে এমন একটা টুইস্ট পেলাম যেটা একদমই ভাবিনি! মনে হলো হ্যাঁ এইজন্যই তো মৌলী আপুর লেখা পড়তে ভালো লাগে। সবসময়ই কিছু চমক থেকে যায়। এই আকস্মিক চমকগুলো পাঠককে জায়গায় থ" মেরে বসিয়ে রাখতে সক্ষম। হয়তো আমার মতোই অন্যান্য পাঠকের মুখ থেকেও অজান্তে এই একটা শব্দই বের হয়েছে কেন? এটা হবার ছিলোনা একদমই। যারা প্রেমের গল্প পড়তে ভালোবাসেন কিন্তু একই সাথে চান একটু টুইস্ট আর সাসপেন্স, তাদের জন্য এই বইটা একেবারে জমজমাট। শুরুতে মিষ্টি রোমান্স, তারপর ধীরে ধীরে রহস্যের জাল। পড়তে পড়তে মনে হবে প্রেম আর থ্রিলারের মিশেল কত সুন্দর হতে পারে! আর শেষটা কতোটা নির্মম। জনরা হিসেবে একে বলা যায় রোমান্টিক থ্রিলার। সহজ ভাষা, টানটান প্লট আর অপ্রত্যাশিত মোড়, সব মিলিয়ে বইটা এক বসায় শেষ হয়ে যাবে। তাই যারা রোমান্স বা থ্রিলার আলাদা আলাদা পছন্দ করেন, তারা এখানে দুটোই একসাথে পাবেন।
"রাস্না, ও রাস্না ছেড়ে তুই যাস না।" কী দারুণ! রোমান্টিকতার আদলে মোড়ানো একটা সাসপেন্স পূর্ণ থ্রিলার! শেষের টুইস্টটা চমৎকার ছিল। জ্বর নিয়ে শুয়ে শুয়ে গল্পে যেন আরও সতেজ করে দিয়েছে। এভাবেই আমাদের এত সুন্দর রোমাঞ্চকর লেখা উপহার দিয়ে যান আপু।
আরও একটি চমৎকার গল্প পড়লাম। গল্পের শেষের এই টুইস্টের জন্য মোটেই প্রিপারেশন ছিলো না! চমৎকার প্লট আর কাহিনি টা ছুটির দিনের এই সন্ধ্যায় এক বসায় পড়ে ফেললাম।
Bhishon bhalo ekta informative lekha. Shes er twist ta darun chhilo, sei sathe kichhu ta Mon karap o holo......
এক বসায় শেষ করার মতো। টুইস্ট এবং গল্পে দারুণ নতুনত্ব। এগিয়ে যান, মৌলি। অঢেল শুভকামনা আপনার জন্য।