তরুণী সোহানার সাথে তার মায়ের সম্পর্কটা ঠিক আর দশটা স্বাভাবিক সম্পর্কের মতো নয়। যে বয়সে মেয়েরা তার মায়ের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হয়, সেই বয়সে সোহানা তার মাকে এড়িয়ে চলে। অসাধারণ রূপসী মায়ের মেধাবী মেয়ে সোহানা। প্রজ্ঞায় সে অনন্যা। কিন্তু রূপের ব্যাপারে স্রষ্টা বড় কার্পণ্য করেছে তার সাথে। মা-মেয়ের সম্পর্কের নানা মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার গল্প ‘শ্যামবরণী কুসুম’। রেসলিং রিংয়ের অপরপাশে বসে পাঠক সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবে, কোন পক্ষে যাবে সে?
"টিন এজ মেয়েদের মা-দের জন্য অবশ্য পাঠ্য একটি বই। লেখিকা সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই,সবসময়ের মতই ইউনিক আইডিয়া, এবং বেশ সেন্সিটিভ টপিক কে পরিচ্ছন্ন ভাবে উপস্থাপন করার অনবদ্য মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন এই উপন্যাসেও।"
টিন এজ মেয়েদের মা-দের জন্য অবশ্য পাঠ্য একটি বই। লেখিকা সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই,সবসময়ের মতই ইউনিক আইডিয়া, এবং বেশ সেন্সিটিভ টপিক কে পরিচ্ছন্ন ভাবে উপস্থাপন করার অনবদ্য মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন এই উপন্যাসেও।
Read all reviews on the Boitoi app
Ma o Meye'r somporko niye darun ekta golpo...❤❤❤
"শ্যামবরণী কুসুম"নামটা একদম পারফেক্ট এই গল্পের সাথে।এই বইটা পড়তে পড়তে আমার মনে হয়েছে কোন গল্প নয়- বাস্তব কোন জীবনের এক দৃশ্য দেখছি।গায়ের রং নিয়ে যে এমন প্রতিদ্বন্দ্বী তৈরি হয় এই গল্প না পড়লে আমি জানতাম না। সোহানা হারালো তার চমৎকার একটা শৈশব। সিন্থিয়া রহমান যে এক ছাদের নিচে থেকেও মেয়েকে বুকে টেনে নিতে পারেন নি। অদৃশ্য এক দেয়াল ওদের মাঝে বাঁধা হয়ে ছিল। কিন্তু শেষ পর্যায়ে সিন্হিয়া আহমেদ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন।সিন্থিয়া আহমেদ কে কেন যেন আমি ঘৃনা করতে পারি নি। সোহানর জন্য খুব ভয় হচ্ছিল কখন না জানি মেয়েটা বড় ভুল করে বসে! এই গল্পটা শুধু একটা গল্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। এই গল্পটা ছিল একটা শিক্ষা। এতো সুন্দর একটা লেখা আসলে যতো বলবো ততোই কম মনে হবে। ভালোবাসা লেখিকা আপুকে।এরকম সামাজিক, বাস্তবধর্মী একটা লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।
উপন্যাসটা একদম বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি। সাদা কালোর দ্বন্দ্ব, আপন মানুষদের হিংসাত্মক রূপ,মা-মেয়ের মানসিক টানাপোড়ন খুব সুন্দরভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন।খুব ভালো লেগেছে।
মা মেয়ের মানসিক টানাপোড়েন আর সাদা কালোর চিরাচরিত দ্বন্দ্ব চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখিকা যার প্রশংসা না করলেই নয়। একটানা পড়ে শেষ করলাম। আমার পাঠক মনকে বেশ তৃপ্তি দিয়েছে লেখাটি, সাথে বহুদিন ছুঁয়ে থাকবে লেখাটি।
অনেক সুন্দর একটা গল্প। নারী পুরুষের রোমান্টিক গল্প পড়তে পড়তে তেতো লাগছিল। মা মেয়ের মনস্তত্ত্ব আর সম্পর্কের চড়াই উতরাই খুব মনে ধরলো। লেখিকার জন্য রইলো অনেক শুভকামনা।