দুটো মানব মানবী কত স্বপ্ন নিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু বিয়ের পর সবাই কি তাদের স্বপ্নটা ছুঁতে পারে? কেউ পারে, কেউবা পারেনা। কেউবা এক আকাশ সমান অপ্রাপ্তি নিয়ে সারাজীবন এক ছাদের নিচে জীবনের সময় কাটিয়ে দেয়। দাম্পত্য মানে মানিয়ে নেওয়া শুধু নয়। দুটো মানুষের নিজেদের প্রতি সম্মানবোধ, ভালোবাসা, একজন আরেকজনের ভালো-মন্দের দিকে খেয়াল রাখা, তবেই না একটা সুন্দর স্বাস্থ্যবান বৈবাহিক জীবন পার করা যায়। অনেক সময় স্বপ্ন ভেঙে গেলে জীবন তো থেমে যায় না। জীবন তার আপন গতিতে বহমান। সেই গতির টানে মানুষের সহজাত প্রবৃত্তিতে আবারও স্বপ্ন দেখা শুরু করে। কারো কারো জীবনে প্রথম বাসরে সুখ না এলেও দ্বিতীয় বাসর তাকে পরিপূর্ণতা এনে দেয়। এই গল্পে জুলেখা আর ইউসুফের জীবনে তাই ঘটেছে।
বরাবরের মত তোমার এই বইটিও এক নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করলাম। নোংরামি, অতিকথন, অবাস্তবতা বিবর্জিত একটি চমৎকার বই।
Read all reviews on the Boitoi app
অসাধারণ গল্পের বুনন! লেখকের ভাষাশৈলী ও চরিত্রগুলোর গভীরতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। "দ্বিতীয় বাসরের" প্রতিটি পাতায় আবেগ এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। লেখক সত্যিই একজন গল্প বলার মাস্টার! চরিত্র, প্লট, টুইস্ট, সবই নিখুঁত এবং পরিশীলিত! লেখককে অভিনন্দন!"
গল্পের প্রথম পর্বটা আমার কাছে একদম "আরব্য রজনীর" মতো লেগেছে। বিয়ের পর প্রথম রাতে সারারাত স্বামী তার স্ত্রীর সাথে কথা বলে। দারুণ! এই সম্মানটা সবার ভাগ্যে হয় না। রাজন এবং তার মা র মতো মানুষ আমাদের এই সমাজে বহু আছেন। এরা নিজেদের স্বার্থ পূরণ করার জন্য সব করতে পারে। রাজনের মতো কাপুরুষরা বিয়ে না করে সারাজীবন মায়ের হাতের কাঠ পুতুল হয়ে থাকলেই ভালো হয়। ইউসুফ সাহেব ওনার নামের মর্যাদা রেখেছেন। জুলেখার জীবনে প্রথম বাসর কষ্টদায়ক হলেও দ্বিতীয় বাসর স্মরণীয় হয়ে থাকবে। জুলেখার সামনের জীবনের জন্য স্বাগতম জানাই। মাহবুবা আপু কে ধন্যবাদ দেওয়ার কোন ভাষা জানা নেই আমার। আপুর গল্প পড়তে বসলে একবারে শেষ না করে উঠতেই পারি না। এখনকার সময়ে এতো পরিছন্ন লেখা আমার চোখে পড়ে না। এমন টান টান উত্তেজনাময় গল্প লেখার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মণি। 💐💐💐
I really enjoyed after reading the story