গালিব ভোরের হাতটা ছাড়ে না। জীবনে একটা প্রেম করা দূর, কারো হাত অব্দি ধরা হয়নি তার। এখন বিবাহিত, সে চাইলেও বউকে ছাড়তে পারবে না। ছাড়বেও না। এখন তো মন চাইছে পিএইচডিতেও ভোরটাকে নিয়ে যেতে। একে ছাড়া থাকাটা তো মুশকিল হয়ে যাবে তার কাছে। গালিব হঠাৎ প্রশ্ন করে, -- আমাকে ছাড়া থাকতে পারবি ভোর? -- কোথায় যাবে তুমি? -- এই ধর, যখন আমি বাইরে যাব, তখন তুই থাকতে পারবি? -- কেন যাবে? -- পিএইচডি করতে যাচ্ছি। আর মাত্র কিছুদিন আছে। -- আমি যাব না তোমার সাথে? গালিবের মনটা ছোট্ট হয়ে এলো। তার সহজ সরল বউ। পিএইচডির অর্থও বোধহয় বুঝে না সে, অথচ প্রশ্ন করছে সাথে যাবে কি না। এদিকে ভোর ভাবছে ভিন্ন কিছু। গালিব যদি তাকে রেখে চলে যায়, তাহলে ভোরের কি হবে? তাকে তো গ্রামে পাঠিয়ে দিবে। আবার পড়াশোনা। আবার সেই জ্বালা। ভোর মানে না। কিছুতেই না। গালিবের গলা জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে উঠে বলতে লাগলো, -- যেখানেই যাও, আমাকে নিয়ে যাবে। আমি তোমার সাথেই থাকব। গালিবের মনটা আবার নরম হয়ে এলো। মুহূর্তেই গলে কাদা হলো সে, কিন্তু এই শেষ সময়ে তার কি করার আছে? হঠাৎ করে কিভাবে ভোরকে নিয়ে যাবে? সবচাইতে বড় কথা, ভোরকে তার বউয়ের পরিচয়ে নিতে চাইলেই ধরাটা খাবে। তখন পিএইচডি ডিগ্রী তাকে বিদেশ না, বরং জেলখানা থেকে নিতে হবে।
"লেখিকার লেখার ধরন দিনদিন প্রচুর মানসম্মত হচ্ছে। লেখার ধরন গল্পের কাহিনী বর্তমান যুগের তুলনায় অনেক ব্যতিক্রমি। গালেবান বইটির কাহিনী ব্যাক্তিগত ভাবে আমার অনেক অনেক পচ্ছন্দ হয়েছে। নেতিবাচক সমালোচনা পিছনে ফেলে অনেক এগিয়ে যাও। অনেক অনেক ভালোবাসা ও দোয়া রইল। আরো ভালো ভালো গল্প উপহার হিসেবে চাই💜"
অনেক অনেক ভালো লেগেছে।
Read all reviews on the Boitoi app
লেখিকার লেখার ধরন দিনদিন প্রচুর মানসম্মত হচ্ছে। লেখার ধরন গল্পের কাহিনী বর্তমান যুগের তুলনায় অনেক ব্যতিক্রমি। গালেবান বইটির কাহিনী ব্যাক্তিগত ভাবে আমার অনেক অনেক পচ্ছন্দ হয়েছে। নেতিবাচক সমালোচনা পিছনে ফেলে অনেক এগিয়ে যাও। অনেক অনেক ভালোবাসা ও দোয়া রইল। আরো ভালো ভালো গল্প উপহার হিসেবে চাই💜
একদম মনে গেঁথে যাওয়ার মত একটা গল্প।খুব সুন্দর❤️
গল্প নিয়ে কি বলা যায় বলুন ত! এত সুন্দর, অসম্ভব ভালো লাগে আপনার লেখা। ছোট্ট একটা অনুরোধ : গালেবান কে ফেসবুকে আনুন আরো বড় করে। আপনার লেখাতে যে নেশা মাখানো, চুম্বকের মত টেনে নিয়ে আসে। ধন্যবাদ
অসম্ভব সুন্দর হয়েছে আপু গল্প টা।পুরোটা গল্প পড়েছি একটা ঘোরের মধ্যে। গ্রামের সহজ সরল স্বভাবের একটা মেয়ের নিজেকে সব কিছু তে মানিয়ে নিয়ে সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ গড়া চারটি খানিক কথা না।তবে এই গল্পের মাঝে তা সুন্দর ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে গালিবের মা বাবা কে। ভোর মা বাবাও যথেষ্ট ভালো ছিল।তবে ভোরকে সাপোর্ট করার পিছনে সব চেয়ে ভূমিকা ছিল গালিবের মা বাবার।আর গালিবের ভোরে প্রতি ভালোবাসা দেখে বরাবরই মুগ্ধ হয়েছি।আর অবুঝ মেয়েটাও যে গালিব কে এতটা ভালোবেসে ফেলবে ধারণায় ছিল না। গল্প টা পড়ে মাঝে মাঝে হেঁসেছি।আবার কিছু কিছু সময় পুলকিত হয়েছি।আর সবচেয়ে বেশি অপ্রত্যাশিত ছিল গল্পের টুইস্ট টা। এত এত ভালো লাগছে বলে অনুভূতি টা বোঝাতে পারব না। পুরো গল্পটাই খুব এনজয় করেছি।তবে গল্প টা এত ছোট দেখে মন টা খারাপ হয়ে গেছে। আরো বড় হলে আরো বেশি খুশি হতাম। তাই সাইয়্যারা আপুর কাছে রিকুয়েষ্ট গালেবান দের নিয়ে আরেকটা বড় গল্প লিখো প্লিজ প্লিজ। সব শেষে অসম্ভব সুন্দর সুন্দর হয়েছে গল্প টা। ভালোবাসা নিও পাখি 🥰🫶❤️।
কেন জানি না, তোমার লেখা যত পড়ি, তত তৃষ্ণা বেড়ে যায়। এই অল্পতেই মন ভরে না। এতো আদুরে কেন গালিব আর তার গালেবান! প্রতিটি অক্ষরে এতো ভালোবাসা মিশে আছে! কোনো আহ্বান ছাড়াই তারা আমার প্রিয়ের খাতায় নাম লিখিয়ে নিলো। আমি তেমন মন খুলে প্রকাশ করতে পারি না।তোমার জন্য অনেক ভালোবাসা আর শুভকামনা রইলো। ❤️
এত সুন্দর গল্প এত ছোট ইবুকে পড়ে মন ভরে না ☹️ এত সুন্দর আদুরে একটা জুটি লিখেছেন যা বার বার পড়তে ইচ্ছে করছে।
কি বলবো বুঝতে পারছি না,এতো সুন্দর গল্প টা, অনুভূতি প্রকাশ করার মতো ভাষা আমি খুঁজে পাচ্ছি না,যাই বলি কম পড়ে যাবে ।
নতুন করে বলার মত ভাষা নেই তোমার গল্প মানেই অসাধারণ ভালোলাগা.... যেমন ফেসবুকের গল্পগুলোও নজর করা তেমনি তোমার ইবুক গুলোও ফ্যান্টাস্টিক... আর গালেবানতো পুরাই অন্যরকম প্লট , ভোর আর গালিবের ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি.... থ্যাংক ইউ আপু এত সুন্দর একটি গল্প উপহার দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা তোমাকে ❤️❤️❤️
অসম্ভব সুন্দর একটি গল্প। পুরো গল্প পড়ার সময় একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। কখনও কখনও দম ফেটে হেসেছি, আবার কখনো নিজে নিজে ব্লাস করেছি। গল্পের সবচেয়ে সুন্দর চরিত্র ছিল গালিব এর আম্মু আব্বু চরিত্র। গালিব এর নিজের বউ এর প্রতি ভালোবাসা দায়িত্ব খুবি মুগ্ধ করেছে। কিছু কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত টুইস্ট খুবই সুন্দর ছিল। পুরো গল্পটা এখনো মাথায় ঘুরাঘুরি করছে। একটাই আক্ষেপ গল্পটা আরো একটু বড়ো হলে ভালো হতো। লেখিকার কাছে পাঠক হিসেবে একটাই আবদার ওদের নিয়ে যেন আরো একটা গল্প আমাদের উপহার দেন।