এম্বুলেন্সের তীব্র সাইরেনের শব্দে ধরমর করে উঠে বসলো হিয়া। কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ একটা শোরগোল শুরু হয়ে গেলো। খুব ভিআইপি একজন পেশেন্ট এসেছেন ইমার্জেন্সিতে। অবস্থা সিরিয়াস। প্রফেসর স্যারকে ফোন করা হয়েছে কিন্তু উনাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। হিয়া দৌড়ে বের হয়ে পেশেন্টের কাছে গিয়ে দেখে আসলেই অবস্থা গুরুতর। বুকের বাম পাশে গুলি লেগেছে। অনেক রক্তক্ষরণও হচ্ছে। মফস্বলের সাধারণ জেনারেল হাসপাতাল, রাতের বেলা ডাক্তার থাকে অল্প কিছু, তাও আবার জুনিয়র ডাক্তার। ও ছাড়া আরও একজন পুরুষ ডাক্তার আছেন, কিন্তু রোগীর সিচুয়েশন দেখে উনিও কিছু করতে চাইলেন না। একেতো ভিআইপি, তার উপর গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এটা পুলিশ কেস। পুলিশ আসলে আমাকে ডাক দিও বলেই চলে গেলেন। কিন্তু হিয়া আর বসে থাকতে পারলো না, উঠে গেলো আবার দেখতে। রোগী অচেতন। কোনো মতে ড্রেসিং করে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। অপারেশন করে গুলি বের না করলে রক্ত পুরোপুরি বন্ধ হবে না। ব্লাডপ্রেসার আর হার্ট রেটও কমতে শুরু করেছে। হিয়ার খুব অস্থির লাগছে। একটা মানুষ হয়তো ওর সাহায্যে বেঁচে যেতে পারে কিন্তু ওর হাত-পা বাধা। কিছুই করতে পারছে না। পুলিশ এলো সকালে, তার কিছুক্ষণ বাদে বড় ডাক্তারও এলো। কারো অনুমতি না নিয়ে নিয়ম ভঙ্গ করে রাতেই রোগীর অপারেশন করার জন্য বরখাস্ত করা হলো হিয়াকে। টার্মিনেশন লেটার নিয়ে বের হয়ে আসার সময় হিয়া জানতেই পারলো না, যার জীবন বাঁচানোর জন্য চাকরিটা হারালো, সে আর কেউ নয়—এ সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সুপারস্টার সাদাত হোসেন।
অসাধারণ ভালো লেগেছে
Read all reviews on the Boitoi app
এই গল্পটা আমার অন্যতম প্রিয় একটা গল্প। হিয়া গুলজার আর সাদাত হোসেন ভীষণ চমৎকার দুটি চরিত্র। লেখিকার গল্প বুনন প্রক্রিয়া চমৎকার। গল্পটির লেখনি আর চরিত্রগুলোর কথপোকথন ঝরঝরে। অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করছে কিন্তু বললে স্পয়লার দেয়া হয়ে যাবে। যারা এই বইটি কিনবেন আশা করি তারা পড়ে আশাহত হবেন না। চমৎকার ও সুন্দর গল্প।