শিলা দাঁড়িয়ে আছে আদিত্যের সামনে। তার মায়ের অপূর্ণ ভালোবাসা। যারা একে অপরকে যুগের পর যুগ দেখেননি। মা চলে গেছে হুট করেই হার্ট অ্যাটাকে; একজন সুস্থ মানুষ কেন এভাবে চলে যাবেন? সেদিন মোবাইলে লাস্ট কলটা কার ছিল? আদিত্যের! কে উনি? কেন মা নিজের ১৮ বছরের কন্যাকে পৌঁছে দিতে বলেছেন, ওনার হাতেই এই কয়েক যুগের অজস্র চিঠি? তাঁদের অসমাপ্ত গল্পগুচ্ছ!
"শেষটা এত মন খারাপের🙃 ভীষণ সুন্দর গল্পটা।।পড়া শেষ হওয়ার পরও এখনও রেশ রয়ে গেছে৷ তবে সাজিয়ার অসমাপ্ত গল্পগুচ্ছটা শিলা সমাপ্ত করলে খুশি হতাম৷"
শেষটা এত মন খারাপের🙃 ভীষণ সুন্দর গল্পটা।।পড়া শেষ হওয়ার পরও এখনও রেশ রয়ে গেছে৷ তবে সাজিয়ার অসমাপ্ত গল্পগুচ্ছটা শিলা সমাপ্ত করলে খুশি হতাম৷
Read all reviews on the Boitoi app
গল্পটি অনেকদিন ধরেই পড়ছিলাম।। অপেক্ষায় থাকতাম পরের পর্বের জন্য।। ইবুকে আসার পরে, আজকে একবারে পড়ে শেষ করলাম।। অসাধারণ লেখা।। আমার কখনোই মনে হয়নি চরিত্রগুলো কাল্পনিক।। প্রত্যেকটা চরিত্রকে আমি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম।।। প্রতিটা চরিত্রের উপস্থাপন একেবারে নিখুত।। এখানে দুই জেনারেশন এর গল্পের উল্লেখ আছে। তাই সব বয়সের মানুষেরই খুবই ভালো লাগবে।। তবে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে হাসান সাহেবের চরিত্রটি।। আর একজন আরেকজনকে যেভাবে সম্মান করেছে তা সত্যিই অসাধারণ।।
এই বইটির প্রথম খণ্ড যখন পড়েছিলাম।তখন থেকেই গল্পটির প্রতি আগ্রহ ছিল অনেক। মাঝ পথে লেখক একবার অসমাপ্ত রেখেই গল্প লেখা বাদ দিয়েছিলেন।আমার ভীষণ রাগ হয়েছিল।(যদিও ন্যায়সঙ্গত নয়) বইটির দুটি খণ্ডই হৃদয়ছোঁয়া।আপনার কখনো কখনো পড়তে পড়তে ন হন্যতে উপন্যাসের কথা মনে পড়ে যেতে পারে।বইটি পড়তে পড়তে আপনি নিজেও চরিত্রের সঙ্গে মিশে যাবেন। এটি শুধু তারুণ্যের গল্প নয়।বরং মানুষ তার বাকি সময়টা তারুণ্যের সেই দিনগুলোকে নিয়েই বাঁচে। সম্পর্কের সততাকে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব। একজনকে ভালোবেসেও আরেকজনের সাথে সংসার। কিন্তু সম্পর্কে রয়েছে অসাধারণ সততা।সর্বোপরি বইটি সুখপাঠ্য।
সাজিয়া, আদিত্য, শিলা, সৌমিক, অমিত, প্রতিমা মাসী, শিলার বাবা, প্রতিটা চরিত্রই অসাধারণ! ফেসবুকে পড়েছি তারপরও ই-বুকে আসা মাত্র ১ম পর্ব কিনে আবার পড়েছি, তারপর থেকে অপেক্ষা আর অপেক্ষা! এই লেখা চলাকালীন লেখিকা কত বড় এক্সিডেন্ট থেকে বেঁচে ফিরলেন, শারীরিক কষ্ট সামলে সাজিয়া-আদিত্যকে আমাদের সামনে নিয়ে এলেন, আলহামদুলিল্লাহ। অসমাপ্ত গল্পগুচ্ছ এক অসাধারণ লেখা, কবিতায় মুগ্ধ হয়েও চোখে পানি টলমল করে মন কষ্ট আর ভালোবাসায় আপ্লুত হবার দারুণ এক লেখা!
অসমাপ্ত গল্পগুচ্ছ শেষ করলাম এইমাত্র। এক বসাতে শেষ করেছি। পড়তে পড়তে কেঁদেই গেছি শুধু। আমি কথা বলতে পারছিনা। এই বই নিয়ে কিছু বলার বা লেখার ক্ষমতা আমার নেই। আমার কোন শব্দ আসছে না। মাথা শূন্য মনে হচ্ছে।
Oneekdin por akta valo kichu porlam.....hridoy a theke jabe ai golpo.....
শারমিন আপুর সাম্প্রতিকতম বই "অসমাপ্ত গল্পগুচ্ছ" দুই খন্ডে, ৮২ টি পর্বে লেখা বিশাল এক উপন্যাস! উপন্যাসটি শুরু হয় সাজিয়ার মৃত্যু দিয়ে। সাজিয়ার হঠাৎ মৃত্যু তার ১৮ বছরের মেয়ে শিলার মনে অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে সে চলে আসে অস্ট্রেলিয়ায়, আদিত্যের কাছে। তারপর? গল্পটা খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন লেখিকা। অতীত-বর্তমান-অতীত, এই ছন্দে লেখাটা এগিয়েছে। অনেকটা কবিতার ছন্দে, শান্ত নদীর মতো লেখাটা চলেছে তার নিজের পথ ধরে।ঝরঝরে লেখা পড়তে কোন অসুবিধা হয় না। উপন্যাসটির মধ্যে বেশ অনেকগুলো কবিতা আছে, কিন্তু এর জন্যে গল্পের ধারাবাহিকতার বিন্দুমাত্রও ক্ষুণ্ন হয়নি। সাজিয়া-আদিত্যর পরস্পরের প্রতি প্রবল ভালোবাসাও তাদের এক করতে পারেনি, কারণ তারা দুইজন দুই ধর্মের। ধর্মীয় ও সামাজিক কারণে দুই পরিবারের কেউ তাদের সম্পর্ক মেনে নেয় না। ধর্ম ও সমাজ আমাদের জীবনকে কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে! দুইজন পূর্ণ বয়স্ক, স্বাবলম্বী মানব-মানবীর পছন্দের কোন মূল্য নেই এই সমাজের কাছে। এই সমাজ, এই ধর্ম বিশ্বাস যে বেড়া তৈরি করেছে, তা রক্ষা করতে তাদের প্রিয় মানুষকেও বলি দিতে দ্বিধা করে না। উপন্যাসের সাজিয়া যদি আদিত্যর মতো সাহসী হতে পারতো, তাহলে হয়তো তাদের জীবন অন্যরকম হতো। অনেক ভালো হতো। উপন্যাসের একটা গুরুত্বপূর্ন চরিত্র শিলা। সে সাজিয়া-হাসানের মেয়ে। শীলা অনেক দৃঢ় এবং স্বাধীনচেতা মেয়ে। যদিও মাত্র ১৮ বছরের একটা মেয়ের পক্ষে এধরণের কাজ করা সম্ভব কি না, সন্দেহ আছে। অমিত ভালো ছিল, যদিও একটা দুর্বল মুহূর্তে শিলার সাথে জড়িয়ে না পড়লেই খুশি হতাম। শিলার বন্ধু সুমিতের সাথে তার মায়ের পুনর্মিলনীটা ছিল এই উপন্যাসের অনেকগুলো আবেগময় অংশের একটা। সাজিয়ার স্বামী হাসান সাহেব একজন নিপাট ভদ্রলোক। উনি যেন নীলকন্ঠ! প্রতিমা মাসী, শুধু কষ্টই পেয়ে গেলেন। যাকে সারাজীবন ভালোবাসলেন, তাকে কখনোই নিজের করে পেলেন না। . কিছু বকাঝকা - - ইবুকের পেজ সেটিং ভালো হয়নি। - প্যারা গুলো বোঝা যায় না। - কবিতাগুলোর শুরু, শেষ বুঝতে কষ্ট হয়। এই জন্যে দারুণ ঝরঝরে লেখার পরেও বেশ কিছু জায়গায় গল্পটা পড়তে বিরক্ত লাগে। তবে বানান ভুল খুব কমই চোখে পড়েছে। . সবশেষে একটা কথা, এই উপন্যাসের জন্য ইবুক প্ল্যাটফর্ম উপযুক্ত না। অখন্ড "অসমাপ্ত গল্পগুচ্ছ" প্রিন্টেড বই হিসাবে আসা উচিত।