ছাদে দাঁড়িয়ে আছে আরমান। হাতে গোল্ড লিফ। পরনে অফ হোয়াইট কালারের ধূপিয়ান সিল্ক পাঞ্জাবি। ঘরে বসে আছে তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী, চৈতালী। ফয়সাল ভাই প্রায়ই বলতো, জীবনের মোড় ঘুরতে সময় লাগে না। এই ভরা পূর্ণিমার নিচে একা দাঁড়িয়ে সেই কথা ভীষণভাবে উপলব্ধি করতে পারছে আরমান। তনিমার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর মাথাটা এক্কেবারে এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। উপলব্ধি করার ক্ষমতাটুকু হারিয়ে গিয়েছিল যেন! আজ এতগুলো মাস পর নতুন করে জীবনের প্রতিটা টুইস্ট, প্রতিটা সারপ্রাইজ মনে পড়ছে। কেমন করে, ঠিক কবে কবে জীবন পাল্টে যাওয়া সব ঘটনা ঘটেছিল। আজ তার সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে চৈতালীর সঙ্গে বিয়ের ঘটনা। আজকের এই দিনটা হবার কথা ছিল তনিমার সঙ্গে। কথা ছিল কোনো এক বর্ষার রাতে তাদের বাসর হবে। বাইরে চলবে ঝুম বৃষ্টি আর চারদেয়ালের মাঝে উঠবে ভালোবাসার ঝড়। গুনে গুনে সাত বছরের প্রতীক্ষা, প্রেম আর বহু স্বপ্ন! সমস্ত মিশে গেছে শূন্যে। যেন কখনো তারা একসঙ্গে ছিল না, তাদের স্বপ্নগুলো ছিল না, প্রেমটাও ছিল না। কে জানতো একদিন তার এত ভালোবাসার মৃত্যু হবে, তনিমা অন্য কারো বুকে মুখ গুঁজে রাত পার করবে আর সে তিন কবুল বলে কোনো এক অপরিচিতাকে নিজের জীবনের সর্ব অধিকার দিয়ে দেবে! আপন মনেই হাসলো আরমান। আকাশের দিকে চেয়ে উপরওয়ালাকে নিঃশব্দ প্রার্থনা জানালো, যথেষ্ট হয়েছে মাবুদ! এই জীবনে আর কোনো টুইস্ট চাই না। একটা সাদাসিধে জীবন দিও। যার দায়িত্ব নিলাম তাকে ভালো রাখার তৌফিক দিও, আমাকে সৎ রেখো।
ওফফ্ এত্তো অসাধারণ করে লিখেছেন আপু। মুগ্ধ হয়ে পড়ে শেষ করলাম সবটা। পড়া শেষে যে সুন্দর অনুভূতিটা নিজের মাঝে টের পাচ্ছি তার জন্য কৃতজ্ঞ আপনার কাছে।
Read all reviews on the Boitoi app
ভীষণ সুন্দর আর সাবলীল লেখায় মোড়ানো একটি গল্প। আরমান, সুতোপা,আশুতোষ, চরিত্রগুলো চমৎকার লেগেছে। সমাপ্তিটা সুন্দর ছিলো। চৈতালির পরিবারের, বিশেষ করে ওর বাবার একটা শাস্তি হলে আরও ভালো লাগত। অনেকদিন পর মিম আপুর পুরোনো লেখার ধাচঁ ফিরে পেলাম। ভীষণ ভালো লাগলো এই কারণে
Awesome as always...
অনেক সুন্দর হয়েছে
মানুষের জীবন কত ভাবেই না এলোমেলো হয়। এই এলোমেলো জীবন সবার সুন্দর হয় না। চৈতী ভাগ্য করে পেয়েছে আরমানকে, জীবনকে সুন্দর করে উপভোগ করার জন্য। ওদের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল 💞