মানুষের জীবনের পথঘাট একরকম হয় না। কারও কারও জীবন হয় ঘুপচি গলির মতো, কখনো কখনো এতটাই অগম্য যে সেখানে কষ্টেসৃষ্টে শুধু দৃষ্টিটুকু হয়তো ফেলা যায়। আবার কখনো দৃষ্টিটুকুও ঝাপসা হয়ে আসে অন্ধকারে কিংবা কুয়াশায় নিমজ্জিত হয়ে। কিন্তু মানুষ, সত্যিকারের মানুষ যারা, তাঁদের এসব বাধা দাবিয়ে রাখতে পারে না। তাঁদের আত্মবিশ্বাস, আত্মশক্তি, মনোবল, কল্পনাশক্তির মতো এতটাই তীব্র ও প্রখর হয় যে তারা নিজেদেরকেই ছাড়িয়ে পৌঁছে যেতে চায় স্বপ্নের শিখরে। ঠিক এমনই একজন স্বপ্নবাজ, মানবিক ও শৌখিন মানুষ আজগর মিয়া। তিনি তাঁর আটপৌরে জীবনকে অতিক্রম করে নিজেকে নিয়ে গেছেন সাফল্যের দ্বারে। এভাবে এই ‘আজগর মিয়া’ই একদিন হয়ে ওঠেন ‘আজগর মেম্বার’। কিন্তু এই সাফল্যের গল্পটা অন্যদের থেকে অনেকটাই আলাদা এবং অনন্য। তবে মানুষের জীবনসংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব, মানবিকতা থেকে যেমন শেখার থাকে, তেমনি এসব আজগর মেম্বারদের মৃত্যু থেকেও শেখার থাকে অনেক কিছু। আজগর মেম্বারের আকস্মিক মৃত্যুও আমাদের শিক্ষা দেয়—মানুষের স্বপ্নরশ্মির শুরুর প্রান্ত থাকে, কিন্তু শেষবিন্দু থাকে না; যা তার মৃত্যুর রেখাকেও অতিক্রম করে যায়। আজ সকালে আপনি স্বপ্ন দেখলেন, আগামীকাল আপনার সাথে ভালো কিছু হবে। কিন্তু আপনার কাল হয়তো মহাকালের শুরু—আপনি তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। তবুও স্বপ্ন আঁকড়ে ধরেই পথ চলতে হয়। মৃত্যুর পেয়ালাও তখন অমৃতের মতো মনে হবে, যখন সুন্দরতম স্বপ্ন নিয়ে চলতে চলতে জীবনাবসান হবে। আজগর মিয়া পাঠকের মনে তেমন ইতিবাচক অনুভূতির দাগই কাটতে পারবে বলে আশাবাদী।
"আলহামদুলিল্লাহ্! লেখকের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে বলছি এরকম মানসম্মত লেখা সামসময়িক বাংলা সাহিত্যে মোটামুটি বিরল। কিছুকিছু অংশ পাঠকদের চিন্তারেখাকে প্রসারিত করবে। আবার কিছু অংশ শেখাবে বেঁচে থাকার প্রয়োজন। সর্বোপরি জীবনবোধকে তীব্র করবে এই গল্প। সবমিলিয়ে গল্পটি পাঠ করে খুবই তৃপ্তি পেয়েছি। একটা কথা খুবই প্রচলিত, বর্তমানে বাংলাদেশে পাঠকের চেয়ে লেখক বেশি। আমার প্রত্যাশা বাংলা সাহিত্যের চলমান সেই ধারায় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবেন মুহাম্মদ বেলাল। এরকম বৃহৎ পরিসরে এটাই লেখকের প্রথম প্রকাশিত গল্প। আমি বিশ্বাস করি এটাই একমাত্র নয়। আমি ভীষণরকম আশাবাদী লেখককে বাংলা সাহিত্যের সামসময়িকদের ভেতর উল্লেখযোগ্য একটি পর্যায়ে দেখবো। বইটইয়ের প্রতি অনুরোধ থাকবে এরকম নতুন ও সম্ভাবনাময় মেধাগুলো তুলে আনুন আপনারা। লেখকের বেশকিছু কবিতাও আমি পড়েছি। সেসবে মন্তব্য করার ধৃষ্টতা দেখাবো না। কিন্তু এতোটুকু আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি, মুহাম্মদ বেলালের গল্প ও কবিতা সমানতালে এগিয়ে যাবার সক্ষমতা রাখে। বেস্ট উইশেষ মাইডিয়ার ব্রাদার।"
আলহামদুলিল্লাহ্! লেখকের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে বলছি এরকম মানসম্মত লেখা সামসময়িক বাংলা সাহিত্যে মোটামুটি বিরল। কিছুকিছু অংশ পাঠকদের চিন্তারেখাকে প্রসারিত করবে। আবার কিছু অংশ শেখাবে বেঁচে থাকার প্রয়োজন। সর্বোপরি জীবনবোধকে তীব্র করবে এই গল্প। সবমিলিয়ে গল্পটি পাঠ করে খুবই তৃপ্তি পেয়েছি। একটা কথা খুবই প্রচলিত, বর্তমানে বাংলাদেশে পাঠকের চেয়ে লেখক বেশি। আমার প্রত্যাশা বাংলা সাহিত্যের চলমান সেই ধারায় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবেন মুহাম্মদ বেলাল। এরকম বৃহৎ পরিসরে এটাই লেখকের প্রথম প্রকাশিত গল্প। আমি বিশ্বাস করি এটাই একমাত্র নয়। আমি ভীষণরকম আশাবাদী লেখককে বাংলা সাহিত্যের সামসময়িকদের ভেতর উল্লেখযোগ্য একটি পর্যায়ে দেখবো। বইটইয়ের প্রতি অনুরোধ থাকবে এরকম নতুন ও সম্ভাবনাময় মেধাগুলো তুলে আনুন আপনারা। লেখকের বেশকিছু কবিতাও আমি পড়েছি। সেসবে মন্তব্য করার ধৃষ্টতা দেখাবো না। কিন্তু এতোটুকু আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি, মুহাম্মদ বেলালের গল্প ও কবিতা সমানতালে এগিয়ে যাবার সক্ষমতা রাখে। বেস্ট উইশেষ মাইডিয়ার ব্রাদার।
Read all reviews on the Boitoi app
সুন্দর
সাবলীল ভাষা। প্রথম থেকে শেষ অবধি পড়ে যেতে থাকলে মনে হয় সাদামাটা গল্প। কিন্তু গল্পের টুইস্ট একেবারে শেষে। লেখকের নতুন গল্প হিসেবে বেশ ভালো। শেষের টুইস্টটা চমৎকার। স্বপ্ন দেখে, তাদের যাত্রার সময়রেখা অতিক্রম করে। অথচ তারা জানেই না, ঘর থেকে বের হয়ে ঘরে ফেরার নিশ্চয়তাটুকুও তাদের হাতে নেই।’
খুবি সুন্দর একটি বই
বইটি অসাধারন🤍 “মানুষ স্বপ্ন দেখে, তাদের যাত্রার সময়রেখা অতিক্রম করে।” লাইনটি সত্যিই ভাবতে বাধ্য করে।
মাশা-আল্লাহ এই গল্পটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে আমরা এই লেখকের কাছ থেকে আরো ভালো ভালো সুন্দর গল্প চাই, আপনার পরবর্তী গল্পের জন্য অপেক্ষায় রইলাম❤️
অনেক সুন্দর হইছে গল্পটা, এমন আরো গল্প চাই, অতিশিগ্রই