মধ্যবিত্ত সংসারে বেড়ে ওঠা পারমিতা পারু মেধাবী, রুচিশীল। নিজেকে পরিপাটি, গুছিয়ে রাখতে পছন্দ করে। বন্ধুদের অনেকেই পারুকে পছন্দ করলেও তেমন পাত্তা দেয় না। ব্যাংকার বাবা আমিনুল ইসলাম বেশ কড়া স্বভাবের। তিনি যা বলবেন, সেভাবেই সব হবে। সহজ, সরল স্কুলশিক্ষিকা মা পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সংসারের সবাইকে পরম মমতায় আগলে রাখায় ব্যস্ত। দাদিকে পারু সবচেয়ে বেশি পছন্দ করলেও বিয়ে নিয়ে বাবার কানে বুদ্ধি দেওয়া পারুর খুবই অপছন্দ। একদিন ঠিকানাহীন চিঠি এসে পারুর সব এলোমেলো করে দিল। না দেখেই ধীরে ধীরে চিঠির মানুষটির প্রতি ভালো লাগা শুরু হয়। হঠাৎ তারামন খুব অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তাঁর মনে হচ্ছে তিনি খুব তাড়াতাড়ি মারা যাবেন। ছেলেকে বললেন, পারুকে বিয়ে দিতে। একদিকে শুরু হয় পারুর অমতে বিয়ের প্রস্তুতি, অন্যদিকে ঠিকানাহীন চিঠির মানুষটিকে খুঁজে পাওয়ার অদম্য চেষ্টা। পারুর অদৃশ্য প্রেম কি পূর্ণতা পেয়েছিল??