অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সির নিঃসীম অন্ধকার থেকে আসা একটি রহস্যময় সংকেত—“A TOYOTA’S A TOYOTA”—দশ বছর ধরে তাড়িয়ে বেড়ায় বিজ্ঞানী ইলোরা চৌধুরীকে। একটি ইংরেজি প্যালিনড্রোম, যা হয়তো কাকতাল নয়, বরং মহাবিশ্বের অন্য প্রান্ত থেকে পাঠানো এক মহাজাগতিক বার্তা! অথচ বাক্যটি একটি জাপানি গাড়ির বিজ্ঞাপন—তার মাঝেই কি লুকিয়ে আছে প্রাণের অস্তিত্বের সংকেত? ‘কাইমেরার প্যালিনড্রোম’ এমন এক সায়েন্স ফিকশন, যেখানে বিজ্ঞানের কাঁধে ভর করে উঠে আসে কল্পনার বিস্ময়। এলিয়েন প্রযুক্তি, শব্দের গঠনভিত্তিক নকশা, সময়ের চতুর্থ মাত্রা আর এক অজানা সভ্যতার উপহার—সব মিলিয়ে এই উপন্যাস আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে মানব-চেতনার সীমানা ছাড়িয়ে। ইলোরা যখন আবিষ্কার করেন, এই বার্তা শুধু একটি বাক্য নয়—এটি একটি ত্রিমাত্রিক মহাকাশযানের ব্লুপ্রিন্ট, তখন প্রশ্ন জাগে—এটি বন্ধুত্বের বার্তা, না সর্বনাশের? আপনি কি সাহসী? আপনি কি প্রস্তুত সেই বোতামটি চাপতে? পাঠকের হৃদয়-মন কাঁপিয়ে দেওয়ার মতো এক গল্প, যা শেষ হওয়ার পরও মাথায় গুঞ্জন তোলে—আমরা কি সত্যিই একা?