ঢাকার ওসমানী উদ্যানের গেটের সামনে একটি বড় ধরনের কামান দেখা যায়। এ কামানটি মোগল শাসনামলে নির্মাণ করা হয়েছিল। মোগল নথিপত্র থেকে জানা যায়, এ কামানটির নাম বিবি মরিয়ম, ঢাকায় আরো একটি কামান ছিল। যেটির নাম কালে খাঁ। এ কামান দুটি নির্মানের উদ্দেশ্য ছিল দুটি। প্রথম কারণ হলো মীর জুমলার আসাম অভিযান। অন্য কারণ হেলা আরকান জলদস্যুদের হাত থেকে ঢাকাকে রক্ষা করা। ইতিহাস হতে যতটুকু জানা যায়, মীর জুমলা এই বিবি মরিয়ম কামানটি স্থাপন করেছিলেন। সোয়ারিঘাটের বড় কাটরার সামনে। সোয়ারিঘাট ছিল মোগল প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। সৈয়দ মোহাম্মদ তাইফুর বলেন, মীর জুমলা ১৬৬৩ সালে যখন আসাম অভিযান করেন, তখন তিনি বিবি মরিয়ম কামানটি ব্যবহার করেছিলেন। আসাম বিজয়ের স্মারক হিসেবে মীর জুমলা ঢাকার বড় কাটরায় স্থাপন করেছিলেন। ১৮৪০ সালে কর্ণেল ডেভিডসন ঢাকায় এসেছিলেন। তখন ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন ওয়েলটার। তিনি কামানটি সোয়ারিঘাট থেকে কামানটি চকবাজার নিয়ে বসিয়ে ছিলেন। চকবাজারে যখন এ কামানটি রাখা ছিল তখন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা এটির পূজা আর্চনা করতো। ড. নলিকান্ত ভট্টশালী ১৯১৭ সালে কামানটিকে চকবাজার হতে সদরঘাটে নিয়ে আসেন। পরবর্তী ডি.আই.টি'র চেয়ারম্যান জি.এ.মাদানী বিবি মরিয়ম কামানটিকে সদরঘাট থেকে গুলিস্থানে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে কামানটি ঢাকার ওসমানী উদ্যানে রক্ষিত আছে। একটি ৪ফুট উচু প্লাটফর্মের উপর স্থাপন করা হয়েছে বিবি মরিয়ম কামানটি।