এই শহরে বিকেল ফুরিয়ে সন্ধ্যা নামছে। অফিস শেষের ভিড়ে ব্যস্ত হয়ে গেছে চেনা জনপদ। রাস্তার পাশে পিঠাবিক্রেতাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে কেউ কেউ। এই ধুলো মাখা সূর্যের শেষ আলো লেগে এই মলিন শহরে চেনা বিষণ্নতা আরও গাঢ় হতে থাকে। বুকের ভেতর কোথায় যেন একটা অজানা কষ্ট হচ্ছে। সাদমান এই কষ্টের উৎস জানে না। এই শহর থেকে বের হয়ে দূরে বহু দূরে কোথাও চলে যেতে মন চাইছে। বহু দূরে কোথাও নিরিবিলি মেঠোপথের পাশে কোনো চায়ের দোকানে বসে কেবল একটি মেয়ের স্বপ্নমাখা চোখের দিকে তাকিয়ে কতো কিছু বলতে ইচ্ছে করছে। -আলোকের এই ঝরনাধারায়
আমরা মা বাবা হয়ে যাই প্যারেন্টিং সম্পর্কে একেবারেই কিছু না জেনে। প্রায়শ্চিত্ত গল্পটা সবার পড়া উচিৎ অন্তত প্যারেন্টিং এর একটা দিক সম্পর্কে ধারনা নেবার জন্য। শুধু আফসোস থাকবে রুনুর জন্য, এশা কি পারবে বড় হয়ে রুনুর অবলম্বন হতে? গল্পটা প্রেমের নয় নামের মতই থেকে গেছে। জীবনে যে আমরা কি চাই আর কি পাই!
Read all reviews on the Boitoi app
প্রায়শ্চিত্ত গল্পের শুরুতে আটকে গেছিলাম। রুনুর প্রতি এশার রুক্ষ আচরণ কিছুতেই মানতে পারছিলাম না। কিন্তু ধীরে ধীরে এশার সমস্যা গুলো যখন একজন সমবয়সী হয়ে ভাবতে শুরু করলাম তখন একরাশ কষ্ট অনুভব করলাম এশার জন্য। মুনমুন চরিত্রটা চমৎকার লেগেছে। গল্পের সমাপ্তিটা আর মুনমুনের প্রায়শ্চিত্ত করার ধরনটা খুব ভালো লেগেছে। গল্পটা প্রেমের নয় এর শুরুটা ছিলো লিমার একবুক হাহাকার দিয়ে কিন্তু শেষটা ছিলো একবুক তৃপ্তি দিয়ে। লিমার আত্নবিশ্বাস, মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার অঙ্গীকার এবং সাদমানের সিদ্ধান্ত সবকিছুই সময়ের আবেদন ছিলো যেন। লিমার স্যারের শেষ কথাগুলো দারুণ লেগছে। আর সবচেয়ে ভালো লেগেছে গল্পের মাঝে কবিতাগুলো। প্রতিটা কবিতা দারুণ ছিলো। মৌলী আখন্দের সুন্দর সাবলীল, ঝরঝরে লেখা গল্প পড়ার সময় অন্যরকম প্রশান্তি দান করেছে। সব মিলিয়ে দারুণ লাগলো বইটা।
সবাই পড়তে পারেন আশা করছি খুব ভালো লাগবে।অনেক শিক্ষনীয় একটা বই মৌলী আপুকে ধন্যবাদ। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আরো লেখা চাই।