উঠোনের পশ্চিম কোণে একটা আধ বুড়ো আম গাছ। পাতা ভেদ করে সূর্যের আলো পৌঁছতে পারে না গাছটির নিচে। শেওলা পড়ে তাই জায়গাটা নিলচে হয়ে গেছে। সেই স্যাঁত-স্যাঁতে ভেজা মাটিতে মাসুম বসে আছে। হাত জোড়া ছড়িয়ে, পা দু’টো বিছিয়ে। এখন বিকেল। সারাদিন কাঁদতে- কাঁদতে চোখের পানি ফুরিয়ে গেছে। অশ্রু ঝরতে ঝরতে দু’চোখের নিচে দাগ পড়ে গেছে। এখন আর সে কাঁদছে না। তাকিয়ে আছে অপলক সামনে পড়ে থাকা আব্বু,আম্মু, আপু এবং ছোট বোন মিরা’র দিকে। মাসুম, মাসুম, এই মাসুম ওঠ! ওঁদের দাফন করতে হবে তো। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে এলো। জলদি ওঠ। মাসুম এতোক্ষণ বসে-বসে নিঃশব্দে কাঁদছিলো। জাবেদ ভাইকে দেখে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললো। ‘জাবেদ ভাইয়া, ওরা আমার আব্বু-আম্মুকে মেরে ফেললো কেনো? ওরা আমার আপুকে ধরে নিয়ে গেলো কেনো? আমাার ছোট্টবোন মিরাকে কেনো মারলো ওরা? ওরও কি দোষ ছিলো’? আমার আপুকে ওরা কোথায় নিয়ে গোলো।