নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। শাখা প্রধানসহ প্রায় ৮০০ শত নদ নদী বিপুল জলরাশি নিয়ে ২৪,১৪০ কিলোমিটার জায়গা দখল করে দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি লঞ্চ, জাহাজ, স্টীমার চলাচল করে এই বরিশাল রুটে তাই নদীর দেশে নদী পথে যাওয়াই উত্তম। সবাই ঘুমের মধ্যে কম বেশি নাক ডাকে, আমিও ডাকি কিন্ত উনিতো রীতিমত ভয়ানক -রে ভাই। উনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভংগিতে, বিভিন্ন ফিকিউন্সিতে ডাকাডাকি করে। উনার বউ ঘুমায় কি ভাবে? ছোট ছোট নদী তাই ফেরিতে বেশি সময় লাগে না। তাড়াতাড়ি পার হওয়া যায়। ফেরি এপারে চলে এসেছে। সবাই গাড়িতে গিয়ে উঠলাম, সবাই আছে দেখি মুক্তার নেই। কি ব্যাপার মুক্তার কই? সাগর পাড়ে বিকেল বেলার আকাশ কি যে মায়াবী রুপ। সাগর পাড়ে আসতেই সব অবসাদ, ক্লান্তি, ক্রোধ দূর হয়ে গেলো। সবাই সিডরের আঘাতে লন্ড ভন্ড গাছের ধংসাবশের মধ্যে মোবাইলে ছবি তুলতে লাগলো। আরে ভাই এখানেওতো ভেজাল। মেয়াদবিহীন বার্মিজ আচার দিয়া দেয়।আর এইগুলি খাইয়া সবার ডাইরেকক্ট হইয়া যায়। মন্টু ভাই বলল-ভাই ভাল আচার থাকলে দেখান। লোকটি বলল-সবই ভালো ভাই, এইগুলিইতো বেইচা কুলাই না। চৌদ্দ পুরুষ এই কাম কইরা গেছে, তাই বাপ দাদার জাত ব্যবসা ছাড়তে পারি না। তা না হইলে কি বউ পোলা পাইন পালাই এইহ্যানে সন্ন্যাসির মতো থাকি। পৃথিবীর অনেক দেশ কৃত্রিমভাবে সৌন্দর্য্য সৃষ্টি করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে। আর আমাদের আল্লাহ নিজ হাতে প্রকৃতির ভান্ডার দিয়ে রেখেছেন যার সঠিক ব্যবহার আমরা করতে পারছি না। কি নেই আমাদের হাওর, বিল, নদী, সাগড়, চর, দ্বীপ, পাহাড়, বন, জংগল, পশু, পাখি সবইতো রয়েছে। -আরে ভাই আমরা যামু বাসে, তোমার কাছে কি প্লেনের টিকেট চামু। দাঁড়ান ভাই পকেটে হাত দিয়া দেখি মুক্তার পেন্টের পকেটে থেকে হাত বের করে বলল ভাই একটা সালসাবিলের টিকেট পাওয়া গেছে দুরু মিয়া, দাঁড়াও তুমি সবাই একেবারে চুপ হয়ে গেছে। পুরো গাড়িতে কোনো শব্দ নেই। একেবারে কোয়াইট সাইলেন্স। সব নিশ্চুপ। এমন সময় পিছন থেকে সজোরে নাক ডাকার শব্দ ভেসে এলো। বাকিটা না হয় কাহিনী পড়েই জানুন। দেশ ভ্রমণ করুন, দেশকে ভালোবাসুন, দেশের মানুষ কে ভালোবাসুন। আল্লাহ হাফেজ।