সকাল দশটা থেকে শায়লাকে সে ফোন করছে, টেক্সট পাঠাচ্ছে অথচ শায়লা কোনো উত্তর দিচ্ছে না। এখন বিকেল চারটা। কোনো সমস্যা হলো কি না, বুঝতে পারছে না। শায়লার স্বভাব রাতের বেলা ফোনের রিংটোন মিউট করে দেওয়া, কিন্তু সকালবেলা ফোনটা আনমিউট করতে ভুলে যায়। আজও হয়তো তা-ই ঘটেছে। কিন্তু শাহেদ বুঝতে পারে না, একটা মানুষ সারা দিনে একবারের জন্যও ফোন না চেক করে কী করে থাকতে পারে ? ফোনটা একবার হাতে নিলেই তো শায়লা দেখতে পেত শাহেদের মিসকল ও মেসেজ। শায়লার ফোন না ধরার সমস্যা আছে। এই বিষয়টি নিয়ে এর আগেও বেশ কয়েকবার শাহেদের ঝগড়া হয়েছে শায়লার সঙ্গে। একবার ব্যবসায়িক খুবই দরকারি একটা কাগজ বাসায় ফেলে কাজে চলে যায় শাহেদ। কাজ থেকে কল করে শায়লাকে, কিন্তু শায়লা ফোন ধরে না। একবার, দুবার, তিনবার এবং কাজের ফাঁকে ফাঁকে আরও বেশ কয়েকবার ফোন এবং টেক্সট পাঠায় শাহেদ। শায়লার কোনো উত্তর না পেয়ে অগত্যা সে বাসায় এসে দেখে শায়লা দিব্যি রান্নাঘরে রান্নায় ব্যস্ত এবং কিচেন কাউন্টারের ওপরে তার ফোন।