মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রধান শক্তিধর রাষ্ট্র। দেশ ও সভ্যতা হিসেবে খুব প্রাচীন না হলেও প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে দেশটি নিরবিচ্ছিন্নভাবে গণতন্ত্র এবং নির্বাচনী গণতন্ত্র চর্চা করে আসছে। ১৮৬০ সালের গৃহযুদ্ধের পর থেকে আজ পর্যন্ত দেশটিতে তেমন বড় ধরনের কোনো রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়নি। এর কারণ হলো দেশটির সুলিখিত ও সুচিন্তিত সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক, ব্যতিক্রমী ও স্বতন্ত্র সরকার ও নির্বাচনী ব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা পিতাগণ উন্নততর, জনগণতন্ত্র ও কিছুটা জটিল সরকার ও নির্বাচনী পদ্ধতি উদ্ভাবন করে। একইসঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিশ্চিত করে ক্ষমতার স্বতন্ত্রীকরণ ও ক্ষমতার বিভাজন নীতি। ‘ক্ষমতার বিভাজন নীতি’ কার্যকর থাকলেও দেশটির শাসন বিভাগ তথা প্রেসিডেন্টের হাতে রয়েছে ব্যাপক ক্ষমতা। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে ক্ষমতার প্রয়োগ ছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশ্ব রাজনীতি চালনা এবং এই ব্যবস্থার পরিবর্তনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখতে পারেন। স্বভাবতই চার বছর পর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন সেদিকে সবার দৃষ্টি থাকে। সঙ্গত কারণেই একটি পরাশক্তি হিসেবে দেশটির যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারব্যবস্থা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কেও আমরা জানতে চাই। কিন্তু দেশটির নির্বাচন ব্যবস্থা বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি কিছুটা জটিল এবং কিছুটা পরোক্ষ। বর্তমান গ্রন্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস, দেশটির সরকারব্যবস্থা, রাজনীতি ও নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে সহজ ভাষায় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, যা পড়ে ও জেনে পাঠক উপকৃত হবেন।