নতুন লেখকদের মধ্যে রুকসাত জাহান অন্যরকম মানসিক পরিশ্রমী ও প্রতিশ্রুতিশীল লেখক হিসাবে নিজের পরিচয় ইতোমধ্যেই তুলে ধরেছেন। অনলাইনে তার লেখা প্রতিটি গল্পেই জীবনকে নিয়ে সুক্ষ্ম চিন্তাশীলতার ছাপ পাওয়া যায়। এরই মধ্যে তিনি যথেষ্ট পাঠকপ্রিয়তাও পেয়েছেন। "হৃদয়ে তার পায়ের ছাপ" রুকসাত জাহানের প্রথম উপন্যাস। উপন্যাসের কথক বেলাল তার বালকবেলা থেকে পূর্ণ বয়োঃপ্রাপ্তি পর্যন্ত ঘটনাবলীর বর্ণনা দেয়। সেই বর্ণনায় মিশে থাকে গ্রামের সরল-জটিল, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, হিংসা-ভালোবাসা, বিয়ে-তালাক ইত্যাদি দৈনন্দিন পরম্পরারই এক অনবদ্য বর্ণনা। পাঠক অবশ্যই এই সব বিষয়ের সঙ্গে জীবঘনিষ্ঠভাবেই পরিচিত। তবুও লেখকের লেখার এমনই এক সহজাত পারঙ্গমতা যে, পাঠককে কাহিনির সঙ্গে তিনি আষ্ট্রেপিষ্ঠে বেঁধে রাখতে পুরোপুরি সফল হয়েছেন। নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষার বোধগম্য সংলাপ পুরো উপন্যাসকে এক অন্যমাত্রা দিয়েছে। কথকের নিজস্ব বর্ণনার সঙ্গে তার পর্যায়ক্রমিক বয়সোচিত স্বাভাবিক পরিবর্তনেও লেখকের বিশেষ পাণ্ডিত্য লক্ষ্যনীয়। আমি নিজে লেখকের পরবর্তী বইয়ের অপেক্ষা নিয়ে ‘‘হৃদয়ে তার পায়ের ছাপ’’ এর সাফল্য আন্তরিকভাবে কামনা করছি। ফৌজিয়া খান তামান্না।
অবশেষে,এই ইবুক টি পড়ে আমি শেষ করলাম। নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় লেখা এই বইটা নিয়ে আসলে যত বলব ততোই কম মনে হবে। সামাজিক জনরার এই বইয়ে লেখিকা,সমাজের বাস্তব কিছু চিত্র তুলে ধরেছেন। এই বইয়ের বেলাল চরিত্র আমার খুব পছন্দের। বেলাল আসলে বুঝিয়ে দিয়েছে শিক্ষাই পারে জীবনকে পরিবর্তন করতে।বেলাল আবেগের থেকে বাস্তবতা নিয়ে বেশি চিন্তা করছে।আসলে বেলাল যে পরিবারের সদস্য, ওখানে আবেগের বশে থেকে স্বপ্ন দেখা শুধু ঘুমের ঘোরেই সম্ভব। শোভার কথা কি বলব ।এই মেয়েটা শেষ মুহূর্তে তার পাপ্য শাস্তি পেয়েছি।আমার মনে হয় ও যা করেছে তার থেকে কম কিছুই সে পেয়েছে। কেন যেন অন্যের ভালো কিছু এরা দেখতে পারে না।ওরা একাই সুখি হতে চায় পৃথিবীতে। আর নোভা ,ওর জন্য আমার মনটা বিষাদে ভরে গেল। পুরো গল্পে আমি ওর জন্য কেঁদেছি। ও তো কিছুই পেল না।না পেল বেলালকে আর না স্বামীর ভালোবাসা। দিনশেষে কেন যেন নোভারা খুব একলা হয়ে যায় জীবনে। এই গল্পে আরেকটা বিষয় হল ,বাবা মার শাসন। যা শোভার বাবা মার মাঝে ছিল না। সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দিতে পারেন নাই। কারণ ওনারা বড়লোকের এক অহংকার ধরে বসে ছিলেন। আমার কাছে এতো ভালো লাগছে গল্পটা,আমি আর পরে পড়বো বলে রেখে দিতে পারি নি। অসাধারণ একটা লেখা।
Read all reviews on the Boitoi app
গল্পের নাম সার্থক হইচে। আমার মনে হয় পাঠকের মনে ছাপ ফেলছে এ গল্প নোবার জন্য কষ্ট হচ্ছে।
আহহারে, এত্ত সুন্দর একটা গল্প শেষে কষ্ট পেলাম। আঞ্চলিক আবহে বাস্তবধর্মী গল্প। অনেক বছর ব্যাপী ঘটনা স্বল্প পরিসরে দেখানো হয়েছে। চরিত্র গুলোর বর্ণনা দিলে আরো বিস্তৃত আকারে লেখা সম্ভব এত দারুন পটভূমিতে। শুভ কামনা লেখকের জন্য।
বেশ অনেকদিন ধরে রিডিং ব্লকে আছি কোনো গল্পই পড়তে পারছিলাম না কিন্তু এটা পড়তে গিয়ে আমার অনুভূতি ভীষণ ভীষণ সুন্দর ছিল। কতগুলো দিন পরে তৃপ্তি পেয়েছি গল্প পড়তে গিয়ে। অসম্ভব সুন্দর প্লটের গ্রামীণ পটভূমির একটা গল্প যেটা সত্যি আমাকে ভীষণ রকমের তৃপ্তি দিয়েছে। লেখিকাকে অসংখ্য অসংখ্য শুকরিয়া এতো চমৎকার একটা গল্প উপহার দেওয়ার জন্য।
Shesh at oshombhob shundor.......❤❤❤❤
ই-বুক টা গ্রামীণ প্লটের ওপর লেখা। গ্রামীণ প্লটের গল্প আমার ভীষণ পছন্দের। গল্পটার মাঝে নানা ধরনের চরিত্র রয়েছে। রয়েছে বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে গ্রাম্য মানুষের জীবনযাত্রা। লেখিকা খুব সুন্দর ভাবে গল্পের প্রতি টা চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। গল্পের প্রিয় চরিত্র বেলাল। গল্পের প্রধান মূল চরিত্র। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি ছেলে। বাবা মা আর দুই বোন নিয়ে তার পরিবার। ওর স্বপ্ন বাবা মায়ের কষ্ট দূর করা। ভালো ভাবে পড়াশোনা শেষ করে একটা চাকরি নেয়া। বাবা মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলা। কিশোর বয়সে অল্প বয়সে অনেক কিছুর অভিজ্ঞতা হয় বেলাল। বড় চাচার আর্থিক অবস্থা অনেক ভালো হওয়ায় দাপটে চলে সবসময়। বেলালদের পরিবারকে সবসময় হেয় করে আসে। এমনকি তার স্ত্রী আর মেয়ে শোভা। শোভা এই মেয়েটা পাড়ার কুচোটি মহিলাদের মতন সবসময় এবাড়ি ওবাড়ি যেয়ে মানুষের নামে বদনাম করে কথা লাগায়। বানিয়ে বানিয়ে বলতেও এর দ্বিধা নেই। এর কারণে যে অপর মানুষটা কেমন পরিস্থিতিতে পড়তে পারে সেটা মেয়েটা বুঝতে চায় না। বাপ মায়ের আহ্লাদের মেয়ে কখনো শানসও করে না তাকে। গল্পের মাঝে আরও বেশকিছু চরিত্র রয়েছে। শোভার ছোট বোন নোভা যাকে কিশোর বয়স থেকেই বেলাল মনের গভীরে ভালোবেসে আসছে। নোভাও বেলালকে ভালোবাসে। কিন্তু বিভিন্ন পারিবারিক জোট ঝামেলা আর বেলালরা গরিব হওয়ার কারণে ওদের বিষয়ে জানার পর ওদের মানতে চায় না। নানা ভাবে ওদের অপমান করে। বেলালদের পরিবার সবসময় বড় চাচার পরিবার থেকে নানা ভাবে অনেক বার অপমানিত হয়। অপমানিত হওয়ার পর বেলাল চলে যায় নিজের স্বপ্ন পূরণ করার উদ্দেশ্যে। আর পণ করে নিজের পায়ে প্রতিষ্ঠিত না হওয়া অবধি গ্রামমুখি হবে না। বেলাল কি তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে? বাবা মায়ের দুঃখ পারবে কি ঘোচাতে? নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে কি নোভাকে নিজের নামে করতে পারবে নাকি পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে দুজনে আলাদা হয়ে যাবে? গল্প টা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। লেখিকার লেখা চমৎকার। ১০/১০।
বরাবরের মতোই আপুর লেখার ভক্ত আমি। বইটা হার্ড কভারে না পেয়ে ইবুক আকারেই পড়ে শেষ করলাম। আগের দুটো বইয়ের মতোই সেরা লেগেছে।
সুন্দর বাস্তবধর্মী একটি কাহিনী বেশ সাবলীলভাবে লেখা, পড়তে খুব ভালো লেগেছে।
আমি আপনার সকল লেখার ফ্যান.
লেখকের প্রথম উপন্যাস সাবলীল ভাষায় রচিত হাসি কান্নার আখ্যান।