সারাহ্ পেশায় নামকরা গাইনোকোলজিস্ট। এমবিবিএস পাশ করে ভালবেসে সহপাঠি পলাশকে বিয়ে করে। ওদের অনেক গভীর প্রেম ছিলো। দুজন,দুজনকে চোখে হারাতো। কিন্তু বিয়ের পর সারাহ্ লক্ষ্য করে ওর প্রতি পলাশের প্রেমটা যেন ফিকে হয়ে আসে। এর মধ্যে সারাহ্ র জরায়ুতে টিউমার ধরা পড়ে। যার ফলশ্রুতিতে সারাহ্ র জরায়ু ফেলে দিতে হয়। পলাশ এই বিষয়টা মেনে নিতে পারেনি। এতে সারাহ্ মনে খুব কষ্ট পায়। কারণ সারাহ্ জীবনের থেকে পলাশের কাছে সারাহ্ র জরায়ুর মুল্য বেশী। সারাহ্ মা হতে পারবে না এটা যেন পলাশের কাছে অপরাধ হিসাবে গন্য হয়। যার কারণে ওদের ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর শিক্ষিত হোক আর অশিক্ষিত হোক এই সমাজে একজন ডিভোর্সি নারী টিকে থাকতে লড়াই করতে হয়। সারাহ্ র জীবনও এর ব্যাতিক্রম নয়। তবুও আত্মবিশ্বাসী সারাহ্ লড়াই করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে। এরপর ও আবার দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসে। এতে সারাহ্ অনেক সুখী হয়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে পলাশকে আবার সারাহ্ র মুখোমুখি হতে হয়। এরপরের কাহিনী জানতে আপনাদেরকে বইটি পড়তে হবে।
"আল্লাহ পাক মানুষ কে পরীক্ষা করেন, কিন্তু যখন পুরস্কৃত করেন তখন পূর্ণতায় ভরিয়ে দেন।" কথাটি চরম সত্য এবং দারুণ একটি বক্তব্য। সারাহ - এর জীবনে নিজের মতেই চলাটা আমার খুব ভালো লেগেছে। খারাপ হলেও নিজের, ভালো হলেও নিজের। নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকা মেয়েদের জন্য অনেক কঠিন বিষয়, কিন্তু সারাহ্ এক্ষেত্রে সফল। তার লড়াই টা প্রশংসা করার মতো। জাহিদের মতো বন্ধু + স্বামী পাওয়া সব মেয়েদের কাম্য। কিন্তু সবার ভাগ্যে তা থাকে না। মাহবুবা আপু কে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর মোটিভেশনাল গল্পের জন্য। মোসাঃ শামীমা খান।
Read all reviews on the Boitoi app
খুব সুন্দর গল্প, পড়ে ভালো লাগলো।
❤️❤️❤️
খুব দারুন একটা গল্প। একজন শিক্ষিত ডিভোর্সী নারীর লড়াইয়ের কাহিনী।