মানব হৃদয় আন্দোলিত হয়ে ওঠে – বিষাদ মেঘের ছায়া এসে গ্রাস করে ফেলে- অস্ফুট বিলাপের স্বরে ফুটে উঠে স্বরঙ্গম তোলে যে মর্মন্তুদ ইতিহাস- সে ইতিহাসের বিবরণেই রচনা- “কারবালা- এক অনাকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধ ডামাডোল”। ইতিহাসভিত্তিক যেকোনোকিছুরই লিখন বা নির্মাণে এক বিশেষরকম দায়বদ্ধতা থাকে। তবে মানুষ বলেই আমাদের সীমাবদ্ধতাও থাকবেই। “কারবালা- এক অনাকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধ ডামাডোল” রচনাটিকে পাঠক তাই একান্তই ইতিহাসের নিগড়ে আবদ্ধ না রেখে শুধুমাত্র সাহিত্য পাঠের অংশ বিবেচনা করে পাঠ করলেই লেখকের তৃপ্তি বেশি তাই। পুরো কারবালার ইতিহাসেরই সংক্ষেপিত এক রূপ প্রদানই লেখকের মূল লক্ষ্য ছিল পাঠকের সুবিধারথে, যাতে করে পাঠক সহজেই কারবালার এক পাঠ নিয়ে নিতে পারেন, এবং পাছে কিছু বাকি রয়ে গেছে এমনও মনে না হয়।