ভাইয়ের বাসা থেকে বিতাড়িত শিমুলের স্থান হয়েছিল ছাদের ছোট্ট ঘরে। পাশের ঘরের প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া নীলা নামের এক অদ্ভুত মহিলার সাথে শিমুলের বন্ধুত্ব গড়ে উঠলো। নীলার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা অসাধারন। নীলা একদিন জানালো শিমুলদের বাসার সামনে নাকি একজন সন্দেহজনক ব্যক্তি ঘোরাফেরা করে। নীলার ধারণা, শিমুলের ভাবির সাথে ওই লোকের প্রেমের সম্পর্ক আছে, শিমুল যেন ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আসে। ভাবি শিমুলকে একেবারেই পছন্দ করতো না, তাই শিমুল ভাবলো, ভাবির কুকর্ম হাতেনাতে পাকড়াও করার এই হচ্ছে মোক্ষম সুযোগ। এক দুপুরে গোপনে ঢুকে পড়লো ভাইয়ের বাসায়। সেখানে ঘটে গেলো এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। শিমুল দেখলো ওর ভাবিকে কে যেন ছুরি দিয়ে আহত করেছে, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে মেঝেতে। শিমুলকে আচমকা দেখতে পেয়ে মহিলা বাঁচার আঁকুতি জানালো। কিন্তু শিমুল এখন কী করবে? যে ভাবি তাকে মোটেই পছন্দ করে না তাকে বাঁচাতে গিয়ে সে নিজেই যদি ফেঁসে যায়? পালিয়ে এলো সে। ভীত শিমুলকে তখন এক অদ্ভুত প্রস্তাব দিলো নীলা।
অসাধারণ একটা থ্রিলার গল্প। শেষে কী হবে তা একদম আনপ্রেডিক্টেবল ছিল, যা সালমা সিদ্দিকার লেখার ক্রাইটেরিয়া। এমন আরও অনেক লেখা পড়বার অপেক্ষা করছি 👏👏👏👏👏
Read all reviews on the Boitoi app
অষুধ আবিষ্কার করার বিষয়টায় আতিকের অবশ্যই স্যারের কথা উল্লেখ করা উচিত ছিল। কারন হামিদ স্যারের তৈরি করা ক্যামিকাল অথচ সম্মাননায় ওনার নামটাই নেই। আর কিছু কিছু শব্দ পরিস্থিতি অনুযায়ি উপযোগী মনে হয়নি। বাক্যের সাথে মানায়নি। ওভার অল মূল কাহিনীটা ভালো ছিলো।
একটানা পড়ে ফেলার মতো টানটান উত্তেজনার একটা থ্রিলার। যদিও মাঝামাঝি এসেই বুঝতে পারছিলাম পরবর্তীতে কী হবে... তারপরও পড়তে দারুণ লেগেছে। প্রতি পর্বে চমকের পর চমক রেখে চমৎকারভাবে সাজিয়েছেন লেখক। সেই সাথে কিছু কিছু জায়গায় রম্যের আবহ দিয়েছে ভিন্ন এক স্বাদ। সব মিলিয়ে সময় কাটানোর জন্য দুর্দান্ত একটা বই।
চমৎকার!