ছয় বছর বয়সী রুনি এডিসন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কেজি ওয়ানে পড়ে। তার একাকীত্ব দূর করতে তার মা বাবা তাকে কিনে দিলো একটা ক্যাণ্ডি পুতুল। আর তার পর থেকেই ঘটতে শুরু করলো অদ্ভুত সব ঘটনা।
গল্পটা শুরু করার আগে রিভিউ দেখে নিয়েছিলাম,একজন কমেন্ট করেছিল শেষের দিকে কেঁদে ফেলেছিল তাই আমি ভেবেছিলাম স্যাড এন্ডিং হবে।এই ধারণা মাথায় রেখেই পড়া শুরু করেছিলাম গল্পটা,পড়তে পড়তে রুনির দোলনায় বসা অবস্থায় ওই অসভ্যতামি আগে থেকে আন্দাজ করতে লেরেই ভীষণ কান্না চলে আসে..ভেবেছিলাম রুনির জীবনটা হয়তো ওখানেই শেষ হয়ে যাবে! তারপরও ধৈর্য সহকারে পড়া কন্টিনিউ করলাম আলহামদুলিল্লাহ রুনি এ যাত্রায় বেঁচে গেলো।তবু শেষের দিকটায় সায়মার ভয়ংকর পরিণতি শুনে ভীষণ খারাপ লেগেছে!!! এককথায় গল্পটা অসাধারণ এবং সমাজের বাস্তব ঘটনার রূপক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে🤍
Read all reviews on the Boitoi app
চমৎকার লেখা। গল্পটা স্পর্শকাতর, এরকম লিখতে লেখকের সাহস প্রয়োজন।
বাস্তবেও তো এমন হয়, ভালো ছিলো গল্প টা। পৃথিবীটা পরিবর্তন করা তো আর আমাদের হাতে নেই। আসলেই অভিভাবকদের সবসময় সতর্ক থাকা উচিত। সব মায়েদের উচিত ফিমেল টিচার দিয়ে পড়ানো, যতটুকু সম্ভব সাবধান থাকা।
মৌলী আপুর লেখা পছন্দ করার একটা দিক হচ্ছে সাবলীলতা। সাবলীলভাবে গল্প শুনিয়ে যান পাঠকদের। রূপকভাবে সমাজের যে নোংরা দিকটা গল্পচ্ছলে তুলে এনেছেন তা তো আমাদের আশেপাশেই কত হচ্ছে। ফেসবুক খুললে, খবরের পাতা খুললে, সংবাদে প্রতিনিয়ত এসব শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সবাই কি শাস্তি পায়? হাজারো নিকৃষ্ট অপরাধ করে বেঁচে যায় নরকের কীটগুলো। সবাইকে যদি ন্যায়বিচার পাওয়ানো যেতো যেমনটা সায়মা পেয়েছে। অভিভাবকদের জন্য সুন্দর একটা মেসেজ। ভীষণ ভালো লেগেছে। শেষটা একদিকে যেমন মন খারাপের অন্যদিকে প্রশান্তিরও।
বইটা এতো স্পর্শকাতর বিষয়ে,বাচ্চাদের নিয়ে আরো চিন্তা হয়।রুশার মতো যদি এমন পাপীলোকগুলোর আঙ্গুল মুচড়ে দেওয়া যেতো! গল্পটা সকলের জানা দরকার।না হলে কি করে সোনামনিদের খেয়াল রাখবে বড়োরা।ওদের কোন কথা যে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে নেই! ভাল থাকুক আমাদের সব সোনাবাচ্চারা।
পড়া শেষ করে মনটা খারাপ হয়ে গেল। মৌলী আপুর লেখায় একটা মেসেজ থাকে,কোন একটা সত্যি ঘটনার ছায়া থাকে।আর সে কারণেই মৌলী আপুর বই পড়তে আমার খুব ভালো লাগে।
মাস্টারপিস, বাস্তব একটা গল্প, শেষটায় কেঁদে ফেলেছি। শুভকামনা লেখিকার জন্য
চমৎকার একটি গল্প। রূপকের আড়ালে সমাজ সচেতনতামূলক গল্প। সব অভিভাবক যদি রুনির মায়ের মতো বিচক্ষণতার পরিচয় দেন আর হাজবেন্ড রা যদি তাদের ওয়াইফকে মূল্যায়ন করে তাহলে আমাদের দেশের মেয়েদের মলেস্ট হতে হয় না। ভয়ংকর শাস্তির আগে তো অপরাধীর বিবেক জেগে ওঠে না! এইসব শিক্ষিত চরিত্রহীনের মুখোশ উম্মোচন খুব কঠিন। আমাদের মায়েরা মেয়ে সন্তানের প্রতি কেয়ারফুল হন, এমনটাই প্রত্যাশা। মৌলীর কলমে আরেকবার মুগ্ধ হোলাম। এই সাত সকালে ঘুম ভেংগে এক টানে পড়ে শেষ করলাম। ভালো থেকো প্রিয় লেখিকা, দীর্ঘজীবী হও।
অনেক ভালো লেগেছে আপু 🥹 শেষটা পড়ে মনটা অনেক কষ্টে ভরে গেলো। আমারও তো একটা বুড়ি আছে... আমিও মেয়ের মা... আল্লাহ্ হেফাজতে রাখুন আমাদের সন্তানদের। শুরুতে খানিকটা ভয় পেয়েছি গো আপু; বুড়িও আজকাল ছোট বোন ছোট বোন করে মাথা খারাপ করে... এমন যদি রুশা ধরে নিয়ে আসে 😵💫🫥
Kharap lagce Sayema babu r jonno..as always khub sundor golpo..golpe r Villen gulo r besi kothin sasti hole valo hoto.