...কিন্তু এই কবরগুলো কেমন বেশরম। আস্ত একেকটা মানুষ গিলে চুপ করে থাকে! হঠাৎ হঠাৎ একেকটা মুখ বের করে একেকজনকে টেনে নেয় বেমালুম, যেন আর জন্মের বন্দকী সম্পত্তি। বাবা ডাকে, ‘বাজান রে, কই গেলি রে বাজান।’ না, কোন সাড়া নাই। মা ডাকে, ‘কই গেলি রে কইলজার ধন, পরাণের পুতলি।’ তাও সাড়া নাই। ভাই ডাকে, ‘ও বুবুরে, কোথায় রইলি রে বুবু?’ জবাবই দেয় না। বোন ডাকে, ‘ও ভাইরে, একটু চোখ মেলে দেখরে ভাই, তোর জন্য সালুন বাড়ছি।’ নাহ্। কোন রা’ই কাড়ে না। যেন কতজন্ম ঘুমায় নাই এই মানুষগুলো! নাকি এত নিশ্চপতা - এসবই অভিমান বশত? এত ডাকাডাকি, এত কান্না-কাটির পরও তো- ঠিকই কবরে ফেলে দেয়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠে জীবিতরা। যেন মুর্দা আরেকটু সময় যদি ঘরে থাকে, কেয়ামত নাজিল হয়ে যাবে। এই তাড়াহুড়া করে, গোসল দিয়ে, মুখ দেখাদেখি শেষ হলে রেখে আসো গিয়ে আড়াই হাত মাটির নিচে