পার্কারের সাথে বলরুমে এলিসা প্রায়শই নৃত্যের ঝড় তোলে। জোনাথন হুইলে বসে ওদের দুটিকে যেনো চোখ ভরে দেখে। আমি রাগে অন্ধ হয়ে উঠি। ক্রোধের সীমানা ডিঙিয়ে খুনে চিন্তা মাথায় চেপে বসে। এলিসা বক্র দৃষ্টি হেনে বুকের উপরিভাগ পার্কারের থুতনির কাছে উঠিয়ে দেয়। বুড়োটা কি দেখতে পায় না নাকি? আমি চোখ কচলে নিতেই আবার সব ঠিকঠাক। পার্কারকে কোন দিন না বিষ খাইয়ে দেই। বুড়োর বাগানে হরেক রকম ভেষজ উদ্ভিদ রয়েছে। বিশাল লাইব্রেরিতে বিষ বানাবার বই থাকবে। এলিসা আমায় কিছু আজব জিনিষ আনতে বলেছে। বুড়োকে বলতে গেলাম। বুড়ো সেই শ্যাঞ্জির গল্প শুরু করলো। 'সেদিন যেনো কত খানি বলেছি তোমায়। আচ্ছা, শ্যাঞ্জি যে প্রকান্ড দেহের মাথা মোটা অহংকারী মহিলা ছিলো তা বলেছি? ও খুব খেতো। সেদ্ধ ভুট্টা, চর্বি ওয়ালা গোশত, গরুর পায়ের নলি সব খেতো সব। রাধুনী বেটি ওর জন্য রাঁধতে রাঁধতে বেহুশ। একদিন হলো কি, আমি মিটিংয়ে ব্যস্ত। শ্যাঞ্জি এক গভর্নরের সাথে নায়িকার কেচ্ছা নিয়ে গল্প লিখতে বসে রাধুনিকে হুকুম করেছে ছাগলের মাথার স্টু খাবে। রাধুনী তখন স্রেফ না করে দিলো। শ্যাঞ্জি বেদম চটে আমার কাছে বিচার চাইলো। আমি পাত্তা দিলাম না। ওর ওজন তখন চুরাশি কেজি, পেট মোটা থলথলে এক মা গী। বিয়ের সময়ের তন্বী নারীর স্বাদ পাই না। শ্যাঞ্জি কি করলো জানো? রাধুনীর মাথা চুলোয় চেপে ধরলো। পটপট শব্দ করে মাথা ফুটে কিচেনে ছড়িয়ে একাকার। শ্যাঞ্জি নাকি বিখ্যাত মানুষ। তার ওপরে ধনকুবের জোনাথনের স্ত্রী।' ইস, কি খারাপ আপনার স্ত্রী ভাগ্য। আমি হলে জীবনে বিয়ে করতাম না।'শ্যাঞ্জি মারা গেলো খেতে খেতে পেট ফেটে। আমি ওকে খেতে বসাতাম। বাধ্যতামূলক ভাবে চিজ পাস্তা, মাফিন, পেস্ট্রি, কেক, হ্যাম স্টেক খাওয়াতাম। খেতে খেতে একদিন শ্যাঞ্জি চোখ উল্টে পরলো খাবারের স্তুপের ওপর। আমি বুঝলাম ওর ভবলীলা সাঙ্গ হয়েছে।' রাত গভীর হয়ে গেলে আজকাল একত্রে অনেকগুলো কাক ডেকে ওঠে। আমার খুব ভয় হয় আবার। মায়ের মূর্তিটি দেখলাম চলাচল করতে পারে। আমার ঘুম না হলে, এগিয়ে এসে প্রিয় গান গায়।'ল্যাভেন্ডার ব্লু ডিলি ডিলি ল্যাভেন্ডার গ্রীণ, হোয়েন আই'ম আ কিং ডিলি ডিলি ইউ শ্যাল বি মাই কুইন।
একদমই ভিন্নধর্মী গল্প। মনোযোগ দিয়ে পড়তে হয়। অভিনন্দন প্রিয় লেখককে
Read all reviews on the Boitoi app
অনেক কিছুই মেটাফরিক,এবং আমাদের সংস্কৃতির বাইরে বলে বুঝতে বেশ সময় লাগে। বাংলাদেশী বেশীরভাগ পাঠকের গল্পটি বুঝতে শক্ত হবে।
গোছান প্লট। লেখকের চিন্তাশক্তি অকল্পনীয়। সমসাময়িক হরর থেকে ভিন্ন ছিলো। লেখকের সামাজিক বই পড়ে কেউ ভাবতে পারবে না এ হরর এত ভাল লিখবে। ভার্সেটাইল লেখক বলা যায়।
লেখনী শক্তিশালী এবং প্লট ভিন্ন। সবচেয়ে ভালো লেগেছে থিমটা। তবে আরো কিছু সম্পাদনা করা গেলে ভালো হত। লেখকের জন্যে সবসময় শুভকামনা...