"মাছ" উপন্যাসিকার প্রেক্ষাপট নব্বই দশকের সময়কাল। সবসময় লক্ষ্মী মেয়ে বলে পরিচিত শারমিন নামের মেয়েটি একদিন আচমকাই কাঁচা মাছ তুলে নিয়ে খেতে শুরু করে। একসময় তরুণ চিকিৎসক সোহেল বিয়ে করে শারমিনকে। বিয়ের পরেও শারমিনের এই সমস্যা চলতে থাকলে তার এই পরিবর্তনের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য জন্য সোহেল শরণাপন্ন হয় নিয়ে আসে রহস্য সন্ধানী মনোবিজ্ঞানী ডঃ ইরফান নওরোজ নূরের। কিন্তু এক পর্যায়ে মনে হয় ডঃ ইরফানও ব্যর্থ হতে চলেছেন শারমিনের চিকিৎসা করতে। শারমিনের এমন পরিবর্তনের নেপথ্যে কী রয়েছে? অতিপ্রাকৃতিক কারণ নাকি মনস্তাত্ত্বিক? শারমিন ও সোহেলের কি মুক্তি মিলেছিল এই দুর্যোগ থেকে? শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল তাদের? এই বিপর্যয়ের অবসান কি ঘটবে? আচ্ছা, পৃথিবীর সবকিছু কি যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নাকি সম্ভব নয়? সব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে “মাছ” নামক রহস্য উপন্যাসিকা।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি,, "মাছ" ভৌতিক গল্প মনে করে কিনলাম। ভৌতিক আওয়াজে গল্প টা আগালেও শেষের দিকে বেশ টুইস্ট আছে!!সমাজের কিছু চিরাচরিত রুপ দেখানো হয়েছে গল্প টা।।
Read all reviews on the Boitoi app
প্রথমে ঘটনাগুলো পড়ে হরর গল্পই মনে হচ্ছিলো,পরে সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে গল্পের রহস্যগুলো।ভালো লেগেছে।
প্রথমে পড়ে মনে হচ্ছিল অদ্ভুত ঘটনাগুলোর কারণ ভৌতিক ছাড়া আর কিইবা হতে পারে। কিন্তু শেষে লেখক সুন্দর যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আর লেখকের চমৎকার লেখনী সব সময়ই আমাকে মুগ্ধ করে।পরিশেষে সুন্দর সমাপ্তি ভালো লেগেছে।
ই বুক প্লাটফর্ম বইটই এপে পড়ে ফেললাম মৌলী আখন্দ এর সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার গল্প 'মাছ'। শারমিন নামের ১৬/১৭ বছরের মেয়েটি নৌকা বাইচ দেখতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এই ঘটনার কিছুদিন পর অদ্ভুত এক অসুখ হয় মেয়েটির। মাঝে মাঝে কাঁচা মাছ খেতে শুরু করে। এক অশুভ আত্মা ভর করে শারমিনের শরীরে। ওঝা, হুজুর ডেকে ঝাড়ফুঁক করে ও কাজ হয় না। এরপর এই অসুখের কথা গোপন রেখেই বিয়ে দেয়া হয় শারমিনের। বিয়ের পর বেশ কিছুদিন সুস্থ থাকলেও একদিন পুরোনো রোগ আবার মাথাচাড়া দেয়। সোহেল এর পরিবার জেনে যায় ওর এই অদ্ভুত অসুখের কথা। সামাজিক ও রোমান্টিক ঘরানার লেখিকা মৌলি আখন্দ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার লেখাতেও যে সমান পারদর্শী এই লেখায় তার স্পষ্ট ছাপ পাওয়া যায়। খুব সুন্দর করে সেই সময়ের প্রেক্ষাপট সাবলীল ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে লেখায়। প্রতি পর্বে রয়েছে টানটান উত্তেজনা। আর শেষটায় রয়েছে বিশেষ চমক। খুব সুন্দর একটা মেসেজ আছে শেষ অংশে। সব মিলিয়ে লেখাটি পড়ে মনে হয়েছে। সুদক্ষ কোনো সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার লেখকের লেখা পড়লাম। শুভ কামনা রইল মৌলি আখন্দ এর জন্য। সেইসাথে এমন লেখা আরও লেখার অনুরোধ রইল।
খুবই ভাল লেগেছে। যারা সাসপেন্স পছন্দ করেন,পড়তে পারেন।
প্রতিটি ঘটনার পেছনেই কোন না কোন কাহিনি থাকে। আর সমাজের ভয়ে আমাদের মায়েরা অনেক উচিৎ বিষয়কেও প্রাধান্য না দেয়ায় সন্তানের মনে বিরুপ প্রভাব পড়ে। শেষ পর্যন্ত স্বামী, শাশুড়ি যে পাশে ছিলো এ বিষয়টি আশাব্যঞ্জক। বেশ ভালো লাগলো,মৌলী। লিখে যাও অবিরাম।