অনন্য বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজন যুবক। বাবা মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান। বন্ধুবান্ধব নিয়েই তার উচ্ছল প্রাণবন্ত ক্যাম্পাস জীবন বেশ কেটে যাচ্ছিল। কিন্তু সেই জীবনে বাঁধ সাধল বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কে বা কারা অনন্যর কাছে উড়োচিঠি, বেনামী উপহার ইত্যাদি পাঠিয়ে তার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের অভিনয় করে চলেছে। প্রায় দেড় বছর ধরে চলা এই নাটকে অনন্যর জীবন অতিষ্ঠপ্রায়। কখনো ক্যাম্পাসের সিনিয়র ভাইয়ারা তাকে এসমস্ত বিশৃঙ্খলার জন্য হুমকি দিচ্ছে, বাড়িতে মা তাকে অবিশ্বাস করছে আর সেই সাথে বন্ধুবান্ধবদের একরাশ উপহাস বিদ্রুপ তো আছেই। অনন্য সেই গোপন প্রেমবার্তাবাহককে খুঁজে বের করতে মরিয়া। কিন্তু কিছুতেই কিছু উপায় হচ্ছে না। সে তার বন্ধুদের কাছেও সাহায্য চাইতে পারছে না। কারণ তার বদ্ধমূল ধারণা, যে এই কাজ করছে সে তার খুব কাছের বন্ধুদের মধ্যেই একজন। একা একা এই রহস্য উম্মেচনের পথ পেরোতে গিয়ে অনন্য অনেক অপ্রত্যাশিত, গোলমেলে ঘটনার সম্মুখীন হয়। তবু সে হাল ছাড়ে না। শেষকালে সে সাহায্য চায় একজন বিশ্বস্ত বন্ধুর কাছে। অনন্য কি শেষমেশ পেরেছিল সেই মানুষটাকে খুঁজে বের করতে যে কিনা এতগুলো দিন ধরে নাম পরিচয় গোপন করে অনন্যর কাছে প্রেমের বহিঃপ্রকাশ করে গেল? সে কি আসলেই অনন্যকে ভালোবাসে? নাকি এটা নিছক কোনো ঠাট্টাতামাশার উদ্দেশ্যে? জানতে হলে পড়তে হবে এই রম্য-প্রেমমূলক উপন্যাস “অনুরাগ সন্দেহপ্রবণ”। প্রচ্ছদের সারাংশ: খুব ছোট্ট একটা চিরকুট। কিন্তু একটু বেশিই তথ্যবহুল। সেই সাথে বেশিরভাগ তথ্যই ক্লাসের ছেলে মেয়েদের পক্ষে হজম করার মতো নয়। সুমন্ত চিরকুটটা পুরোটা জোরে জোরে পড়ে শেষ করার পর পরিবেশটাই অন্যরকম হয়ে উঠল। ক্লাসের সবাই সবার দিকে মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগল। তানিয়া হতবিহ্বল হয়ে একবার জাভেদের দিকে তাকায় তো একবার অনন্যর দিকে তাকায়। জাভেদ হতচকিত হয়ে একবার তানিয়ার দিকে তাকায় আরেকবার অনন্যর দিকে তাকায়। আর অনন্য একবার কিংকর্তব্যবিমূঢ় মুখভঙ্গিতে তানিয়ার দিকে তাকায় তো আরেকবার জাভেদের দিকে তাকায়। সবশেষে অনন্য তাকাল আহনাফের দিকে! এবং যথারীতি রাগান্বিত মুখভঙ্গিতে! আহনাফ অনন্যর দিকে তাকিয়ে কী করবে বুঝতে না পেরে খানিকটা দাঁত বের করে একটা বিব্রতকর বিটকেল হাসি দিল। অনন্যর মুখভঙ্গি ছিল, শালা! তোর জন্য আজকে আমার এই অবস্থা! আহনাফের কথা বিশ্বাস করে আজকে অনন্যর এভাবে ক্লাসে সবার সামনে ইজ্জতের ফালুদা হয়ে গেল। ক্লাসের সবার সামনে এর চেয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি আর কী হতে পারে! সব দোষ আহনাফের এই একটা ভুল ধারণার! কথায় আছে, লাভের গুড় পিঁপড়ায় খায়। অনন্যর এই লসের গুড়ে মাঝখান দিয়ে তানিয়া আর জাভেদের প্রেমটা হয়ে গেল। কিন্তু অনন্য যেই লাউয়ে ছিল সেই কদুতেই আটকা পড়ে রইল। সন্দেহের তালিকা ক্রমশ ঘোলাটে আর খাপছাড়া হয়ে যাচ্ছে। অনন্যর মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে কাকে রেখে কাকে সন্দেহ করবে এই চিন্তায়। একদিক দিয়ে একটা জট খুলছে তো আরেক দিক দিয়ে অন্য জট পাকিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জট পাকিয়ে যাচ্ছে বলে বসে থাকলে চলবে না। অভিযান চালিয়ে যেতেই হবে। যে করে হোক, তাকে খুঁজে পেতেই হবে!
বইটি চমকে ভরপুর। এক কথায় অসাধারণ। লেখিকার রচনায় আধুনিকতার ছোঁয়া তো আছেই, সেই সাথে গল্পের প্রতিটি পাতায় আছে থ্রিলারের মিশ্রণ। গল্পের প্রধান চরিত্র অনন্যর তার নায়িকাকে খুঁজতে খুঁজতে অনেকগুলো চরিত্রের সাথে জড়িয়ে যাওয়া, পদে পদে ব্যর্থতা সত্তেও হার না মানা, আড়ালে থেকে গল্পের নায়িকার পুরো ঘটনার কলকাঠি নাড়ানো, সবকিছু মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি বই 'অনুরাগ সন্দেহপ্রবণ'।
Read all reviews on the Boitoi app
বইটি একই সাথে রোমান্টিক এবং থ্রিলার। অনন্য তার নিজের জুটিই যে খুজেছে তাই নয়,এই সার্চ মিশনে আরো অনেক জুটি সে তৈরীও করেছে তার অজানা প্রেমিকার সহায়তায়। বইটিতে আমার সবচেয়ে প্রিয় চরিত্র আবদুল হাকিম, এমন ছোটভাই পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার