ভার্সিটি পড়ুয়া সোহানা, বয়স আর সময়ের আবেগে সমাজ সংস্কার ভুলে ভালোবেসে ফেলে ভিন্নধর্মাবলম্বী একজনকে। কিন্তু সমাজ ও পরিবার বিরুদ্ধ এই ভালোবাসা আলোর মুখ দেখার আগেই খবর পৌঁছে যায় সোহানার পরিবারে। বাবা অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ার খবর শুনে ঘোর ভাঙে সোহানার। পরিবারের কথা ভেবে এই সম্পর্ক থেকে ফিরে আসারও সিদ্ধান্তও নিয়ে নেয়। তবুও পরিবারকে আশ্বস্ত করতে পারে না সোহানা। পাত্রী দেখতে আসা রাকিবকে অনেকটা জোর করে আটকে সোহানার বিয়ে দেয় সোহানার পরিবার। এ যেন বিয়ে নামক এক ছেলেখেলারই নামান্তর। এভাবে শুরু হওয়া সোহানা আর রাকিবের নতুন জীবন কেমন হয়? তাড়াহুড়োর সিদ্ধান্ত কি ভালো কিছু বয়ে আনে? না বিয়েটাই ছেলেখেলা হয়ে যায়?
বইটি লেখিকা আপু গিফট করেছেন।প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো তেমন একটা ভাল না।কিন্তু গল্পের শেষের দিকটা আমার সত্যি খুন ভালো লেগেছে।শেষে সোহানার প্রতিবাদ জাস্ট অসাধারণ। প্রতিটি নারীর জীবনে একটা শিক্ষা
Read all reviews on the Boitoi app
খুব সুন্দর হয়েছে গল্পটা। অল্প বয়সের একটা ভুলের শাস্তি এমন কি হওয়া উচিত?সোহানার পরিবারের উপর বেশি রাগ লেগেছে আমার।তারা আগে বুঝতে পারলে এমন হতো না।আর রাকিবের মতো এমন পুরুষ আমাদের চারপাশে অসংখ্য আছে। তাদের থেকে কিছুই আশা করা যায় না। তবে শেষে সোহানার দৃঢ়তা আমার অনেক ভালো লেগেছে। এমন আরো ইবুক এর অপেক্ষায় 💙।
বইটি পড়ে ভালো লেগেছে 🤍 কাহিনি, লেখা সবই সুন্দর। লেখকের আরো বই পড়ার ইচ্ছে আছে।
বইটা পড়ে অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়া উচিত
দারুণ একটা আটপৌরে সামাজিক গল্প। আমাদের চারপাশ ঘিরে এ ধরনের চিত্র এখনো বিদ্যমান।
পড়লাম রুকসাত জাহানের “বিয়ে নামক ছেলেখেলা ” বইটই এ্যাপে। বিয়ে মানুষের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভুল মানুষ কিংবা ভুল সময়ে ঠিক মানুষের সাথে বিয়ে হলে জীবনে নেমে আসতে পারে নরকের দুর্ভোগ। মেধাবী মেয়ে সোহানা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। ভিন্ন ধর্মাবলম্বী এক সিনিয়র সুব্রতের সাথে মন দেয়া নেয়ার ফলাফল স্বরূপ বন্দী হয় নিজ বাড়িতেই। বাবা মা সন্তানের মঙ্গল চাইলেও সবসময় দূরদর্শী আচরণ করেন না। আবার অনেক সময় আত্মীয়স্বজনের কথায় প্রভাবিত হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেন। রাকিবকে পাত্রী দেখানোর উসিলায় বাড়িতে ডেকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় সোহানার সাথে। সোহানার বিবাহিত জীবন কেমন ছিলো? রাকিব কি সোহানার পাশে ছিল নাকি বাকিদের মতো সেও আঘাতে আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করেছে সোহানাকে। কি হয়েছিলো বাসর রাতে জোর করে রাকিবকে আটকে রাখার ফলাফল? জানতে হলে, পড়ুন “বিয়ে নামক ছেলেখেলা” রুকসাতের লেখনী আপনাকে বারবার মুগ্ধ করবে।
একবসায় পড়ার মতো সামাজিক গল্প। একই অপরাধের! (ভালবাসা আদৌ অপরাধ নয়) দুই লিঙ্গের মানুষের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির কি অদ্ভুত বৈসাদৃশ মনোভাব। মেয়েটিকে পুরো জীবন পাল্টে সবার চোখে হেয় হয়ে কত বাঁকা পথ যে চলতে হোলো। বিয়েও হোলো জোরজবরদস্তির এক কাপুরুষের সাথে। ভীষণ সুন্দর লিখেছেন লেখক।
রুকসাত আপুর লেখায় নারীদের সুন্দর একটা ব্যক্তিতত থাকে যা সত্যি প্রশংসনীয়. লেখিকা একজন নারী বিপদে কতটুকু শক্ত থাকে তাও বুঝিয়েছেন পাশাপাশি একটু আবেগ তার অবস্থান পরিবারে বুঝিয়ে দিয়েছে. মেয়েদের মানিয়ে নিতে নিতে নিজের সব বিসর্জন দিতে হয়. এমনকি আত্তসম্মানবোধ ও.
মেইন ক্যারেক্টার ডেভলপম্যান্ট ভাল, ট্রান্সফর্মেশন স্মুথ। এন্ডিং আরেকটু পরে হলে ভাল হতো, ক্লিপহ্যাংগিংটা অনেকটা চাপিয়ে দেওয়ার মত লেগেছে। বই এর শুরুটা ঘটনাবহুল। বাট এমন বিয়ে নিজের চোখে দেখেছি, খেয়েছিও। জানি না আমি দ্রুত পড়েছি নাকি ঘটনার ডেভলপম্যান্ট খুব দ্রুত হয়েছে, শেষ হওয়ার পর মনে হইছে গল্পটা আরেকটু বড় হতে পারতো। বাট পরে ভেবে দেখলাম ঘটনার কোন ইভেন্ট লেখক গ্যাপ রাখেন নাই। গুড জব রুখসাত। নেক্সট বই এর জন্য অগ্রীম শুভকামনা। রিভিউ এখানেই শেষ। নিচেরটুকু ক্যাচাল। অন্যদের মন্তব্য পড়লাম। দুইটা জিনিস দারুন লেগেছে। - পাঠক ও রাইটার দুইজনই "রাকিব" ক্যারেক্টার এর কাছে থেকে ট্রেডিশনাল মেইল জেন্ডার রোল আশা করেছে। এজইউজুয়াল। "কাপুরুষ" রাকিবের উচিত ছিল তার "মা" ও "মামী"র বাক্যবান থেকে "অবলা ভাগ্যবিরম্বিত" নারী সোহানাকে প্রোটেক্ট করা। রাকিব "কাপুরুষ" তাতে কোন সন্দেহ নাই। বাট ট্রেডিশনাল জেন্ডার রোল দাবী করা সোহানা নিজেকে ট্রেডিশনাল ফিমেল জেন্ডার রোল ফলো করতে ব্যর্থ ছিল এতো কিছু ঘটনা ঘটার আগেই। - গল্প ১০০% বাস্তব। নো ম্যাটার হোয়াট, ছেলেরা বিয়ের আগের মেয়েদের রিলেশনশীপ কোনভাবেই মেনে নিতে পারে না। যারা মানে তারা কোন না কোন ওয়েতে "কাপুরুষ" টাইটেল পায়। বায়োলজি। এটাকে সোহানার সাইড থেকে "ছোট ভুল" হিসাবে দেখার কোন লজিক নাই। এতো কিছু ঘটছে ওই ছোট ভুলের জন্য, তাহলে ভুলটা ছোট না, বড়ই।
একটা সামান্য ভুলের শাস্তি কী কঠিন! আর সেই শাস্তিতে জীবন কীভাবে বদলে যায় তার কাহিনী লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে। ঝরঝরে লেখনশৈলীর কারণে এক বসায় পড়ে ফেলেছি। শেষে সোহানার দৃঢ়তা খুবই ভালো লেগেছে। তবে শেষটা আরও একটু বড়ো হলে পড়ে মন তৃপ্ত হতো।