মৌরির বাবার আজ বিয়ে। অবশ্য মৌরি কিছুই জানে না, সকালেই তাকে দুঃসম্পর্কের এর মামার বাসায় রেখে আসা হয়েছে। সারাদিন বাবার জন্য অপেক্ষা আর উৎকণ্ঠায় কাটায় মৌরি। গভীর রাতে বাবা লাজুক মুখে নতুন বৌ নিয়ে হাজির হলেন। মামা মামী নতুন বর বৌকে বরণ করে নিলেন, মামী হাসি মুখে বললেন, "মৌরি, এটা তোমার নতুন মা। যাও, কোলে বসো, মায়ের গলা জড়িয়ে ধরো।" পাঁচ বছর বয়সী ছোট্ট মৌরি ইতস্তত করে, হঠাৎ দেখা অচেনা নারীকে কি এক মুহূর্তে মা বলে মেনে নেয়া যায়? আর সদ্য বিবাহিতা নারীটিও পারে না মৌরিকে কাছে টেনে নিতে। এই দূরত্ব একসময় এত বেড়ে যায় যে মৌরিকে ঘর ছাড়তে হয়, ওর স্থান হয় গ্রামে, দাদির কাছে, যাকে মৌরি ডাকতো 'শোলক-বলা কাজলা দাদি' বলে।কারণ মুখে মুখে ছড়া বানিয়ে নাতনির মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারতেন দাদি। গল্পটা মৌরি আর তার দাদির নিরেট ভালোবাসার, মায়ার। যে দাদি সারাজীবন মৌরিকে ছায়াবৃক্ষের মতো খর তাপ থেকে আগলে রেখেছেন। অনেকদিন পেরিয়ে যায়, অনেক ঘটন-অঘটনের মাঝে বেড়ে ওঠে মৌরি। একসময় বিদেশে পাড়ি জমায়। বিদেশের ব্যস্ত জীবনে হঠাৎ একদিন জানতে পারে, তার কাজলা দাদি পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিয়েছেন। দাদির কবর শেষবারের মতো দেখতে দেশে ফিরলো মৌরি। কিন্তু তার পরিবারের সবার মাঝে কেমন এক চাপা ক্ষোভ। দাদির হাতের সোনার বালা কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। সবার মনে একই প্রশ্ন, সোনার বালা কোথায় গেলো?
খুব খুব ভালো লেগেছে। এরকম প্লটেও যে এত চমৎকার গল্প হতে পারে তা এই গল্পটা না পড়লে জানা হতো না। কয়েক জায়াগায় অনেক বেশি ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলাম। একদম হৃদয় ছোঁয়া গল্প।
Read all reviews on the Boitoi app
খুব সুন্দর একটি গল্প। গল্পটা আপনজনদের কাছে অবহেলিত মৌরির আর মৌরিকে ভালোবাসায় আগলে রাখা দাদির। মৌরির কষ্টে যেমন খারাপ লেগেছে, তেমনি মৌরির সংগ্রাম করে সামনে এগিয়ে যাওয়া খুব ভালো লেগেছে। বাবা আর শাহেদার জন্য মাঝে একটু খারাপ লাগলেও এরা রুনুর মতই অপছন্দের চরিত্র। সব মিলিয়ে চমৎকার একটি সামাজিক উপন্যাস। অনেক শুভকামনা লেখিকার জন্য। ❤️
সামাজিক গল্প হিসেবে খুব ভালো লেগেছে। মৌরির বেড়ে ওঠা, প্রতি পদে পদে সংগ্রাম করার মানসিকতা মনে দাগ কেটে গিয়েছে। দাদি-নাতনীর ভালোবাসার এমন চিত্র সচরাচর বইতে পড়া হয়নি। শেষের রহস্যটুকুও ভালো ছিল৷ সব মিলিয়ে চমৎকার।