মানুষের চিন্তার ধারাবাহিকতার সাথে সাথে বদলে যায় নিয়তিও; আমাদের প্রাত্যহিক ভাবনা যখন মনোবাসনার সাথে সংগতিপূর্ণ হবে, ঠিক তখনই আমরা যা হতে চাই তা-ই হতে পারব, যা করতে চাই তা-ই করতে পারব। জনসম্মুখে কথা বলার দক্ষতা ও ক্ষমতা আপনার সফলতার জন্য অপরিহার্য। আর এর সঙ্গে বাগ্মিতা বাড়িয়ে দিতে পারে সম্মান ও শ্রদ্ধা। কেবল তা-ই নয়, বাক্পটু হলে সমাজে আপনার গুরুত্ব বেড়ে যাবে; সেই সাথে মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারবেন সেসব মানুষের, যারা আপনাকে জীবনের পরতে পরতে নানাভাবে সাহায্য করতে সক্ষম। যারা কম কথা বলে কিংবা স্বভাবে একটু গম্ভীর, তাদের তুলনায় মানুষ আপনাকে বুদ্ধিমান ও সচেতন বলে মনে করবে। আপনার সব থেকে মূল্যবান সম্পদ কী? উত্তর হলো—আপনার মন। মানবজীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হচ্ছে সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করা এবং কোনো জড়তা ছাড়াই নিজেকে প্রকাশ করা। উপার্জন বাড়ানো এবং কোনো কাজের প্রমোশন পাওয়ার জন্যও এই ক্ষমতাটি খুবই সহায়ক। যেকোনো বিষয়ে নিজের পাণ্ডিত্য দেখানোর সব থেকে মোক্ষম উপায়ই হলো নিজের চিন্তা-পরিকল্পনাকে সুচারুভাবে মৌখিক ও লিখিত আকারে প্রকাশ করা। যখন সঠিক সময়ে, সঠিক কথা, সঠিক উপায়ে বলতে পারবেন, তখন মানুষজন এমনিতেই বলাবলি করবে—‘নাহ, লোকটার আত্মপ্রজ্ঞা ভালো, সে জানে সে কী নিয়ে কথা বলছে!’ আপনার মন হচ্ছে পেশির মতো। যত ব্যবহার করবেন তত শক্তপোক্ত ও কর্মক্ষম হয়ে উঠবে। নিজের চিন্তাভাবনা ও বলার ভাষা আগে থেকেই গুছিয়ে রাখলে কথা বলার সময় বেশ সুবিধা হবে। ফলে কী বলছেন, কীভাবে বলছেন, কোন কোন বিষয়ে আলোকপাত করছেন সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা তৈরি হয়ে থাকবে। বক্তৃতা বা প্রেজেন্টেশন দেওয়ার পূর্বে পরিকল্পনা মোতাবেক প্রস্তুতি নিলে আপনার মনোজগৎ হয়ে উঠবে উন্নত থেকে উন্নততর এবং শাণিত। কী! চিন্তায় পড়ে গেলেন, কীভাবে এতোকিছু করবেন? একদম চিন্তা করবেন না। এই বই এসবের সমাধান নিয়েই লেখা হয়েছে। সবকিছুর আলোচনা আছে। চলুন শুরু করা যাক।