Authors
Explore our collection of books across different authors
হারুকি মুরাকামি
5
Books
33
Followers
হারুকি মুরাকামি একজন তুমুল জনপ্রিয় জাপানি লেখক। জন্ম ১৯৪৯ সালের ১২ই জানুয়ারি। তার সব কয়টি বই জাপান এবং সারা বিশ্ব জুড়ে বেস্টসেলারের মর্যাদা পেয়েছে। পঞ্চাশটিরও বেশি ভাষায় তার লেখাগুলো অনূদিত হয়েছে। অথচ লেখালেখি করার পরিকল্পনা তার কখনোই ছিল না। তিনি ভালবাসতেন মিউজিক, এখনো ভালবাসেন। জ্যাজ এবং ক্লাসিক্যাল মিউজিক এর ১০ হাজার রেকর্ডস এর বিশাল সংগ্রহ ছিল তার। মুরাকামি পড়াশুনা করেছেন টোকিওর ওয়েসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে। সেখানেই তার দেখা হয় ইয়োকোর সাথে, পরে তারা বিয়ে করেন। পড়াশুনার পাট চুকানোর পর তিনি আর তার স্ত্রী মিলে টোকিওতে একটা কফি এবং জ্যাজ বার খুলেন। মুরাকামির বয়স যখন ২৯, তখন একদিন বেজবল খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। খেলা দেখতে দেখতে হটাৎ তার মাথায় একটা গল্পের প্লট এল এবং তার মনে হল তিনি চাইলেই গল্পটা লিখে ফেলতে পারবেন। সে রাতেই বাসায় ফিরে তিনি লিখতে বসলেন। নিজের জ্যাজ বারে কাজের ফাঁকে ফাঁকে যেটুকু সময় পাওয়া যায় তার মধ্যে লিখে শেষ করলেন তার প্রথম উপন্যাস "হিয়ার দ্যা উইন্ড সিং"। লেখা শেষের পর তিনি সেটাকে একটা রাইটিং কম্পিটিসনে পাঠালে "হিয়ার দ্যা উইন্ড সিং" প্রথম পুরষ্কার পেল। এরপর একে একে লিখে গেলেন "পিনবল ১৯৭৩", "আ ওয়াইল্ড শিপ চেইজ", ইত্যাদি। "আ ওয়াইল্ড শিপ চেইজ" কিছুটা পরিচিতি এনে দিলেও জনপ্রিয়তার স্বাদ পাওয়া শুরু করলেন "হার্ড বয়েল্ড ওয়ান্ডারল্যান্ড অ্যান্ড দ্যা এন্ড অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড" থেকে। এর পর বের হল "নরওয়েজিয়ান উড"। মুরাকামির চলার পথের সব বাধা গুঁড়িয়ে দিল এই একটি বই। মিলিয়ন কপির বেশি বিক্রি হল শুধু জাপানেই। ফ্যানরা সব জায়গায় তার পিছু নিতে শুরু করল। অবস্থা এতটাই বেগতিক হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে দেশ ছাড়তে বাধ্য হলেন তিনি। প্রথমে ইউরোপ তারপর আমেরিকায় গিয়ে থাকলেন। এরপর একে একে লিখে গেলেন সব বেষ্ট সেলার- "ড্যান্স ড্যান্স ড্যান্স", "সাউথ অফ দ্যা বর্ডার ওয়েস্ট অফ দ্যা সান", "ওয়াইন্ডআপ বার্ড ক্রনিকল", "স্পুটনিক সুইটহার্ট", "কাফকা অন দ্যা শোর", "আফটার ডার্ক", "১কিউ৮৪", "কালারলেস সুকুরু তাযাকি অ্যান্ড হিজ ইয়ার্স অফ পিলগ্রিমেজ", "কিলিং কমেন্ডেটরে", ইত্যাদি। উপন্যাস লেখার মাঝে লিখেছেন কয়েক ডজন ছোট গল্পও। পাশাপাশি ১০০ এরও বেশি বিদেশী উপন্যাস অনুবাদ করেছেন জাপানী ভাষায়। লেখালেখির জন্য পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ওয়ার্ল্ড ফ্যান্টাসি অ্যাওয়ার্ড, জেরুজালেম অ্যাওয়ার্ড, ফ্রাঙ্ক ও কনর শর্ট স্টোরি অ্যাওয়ার্ড, ফ্রানয কাফকা অ্যাওয়ার্ড, হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন লিটারেচার অ্যাওয়ার্ড, ইত্যাদি। অনেক বছর ধরেই সাহিত্যে নোবেল প্রাইজের জন্য তার নাম শোনা যাচ্ছে কিন্তু এখনো শিকে ছেড়েনি। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধি প্রদান করেছে। ২০১৫ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ জন ব্যক্তিত্বের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ২০১৮ সালে টোকিওর ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয় তার সমস্ত রেকর্ড কালেকশন, পান্ডুলিপি এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস নিয়ে একটি আর্কাইভ গঠন করে যা গবেষকদের জন্য উন্মুক্ত। বাংলাদেশেও হারুকি মুরাকামির জনপ্রিয়তা কম নয়। তার প্রায় সব বইই বাংলায় অনূদিত হয়েছে।