শৈশবে প্রায় সবাই-ই কবি হতে চায়, কারণ কবিতাকে ছোটবেলায় বেশ সহজ মনে হয়, তখন আমরা ছড়া আর কবিতার মধ্যে পার্থক্য করতে পারি না। কিন্তু বড় হতে হতে যতই আমরা অভিজ্ঞ হই, জীবন ও জগৎ সম্পর্কে আরো ভালোভাবে উপলব্ধি করতে শিখি—ততই কবি হবার ভুত আমাদের ছেড়ে চলে যেতে থাকে। কিন্তু জীবনের সেই শৈশবটা, সেই কবি হবার বাসনাটুকু—এগুলো মোটেও খেলো কিছু নয়৷ এর প্রত্যেকটা মূহুর্তই মূল্যবান। সেই মূহুর্তগুলোকে আর্কাইভ করে রাখা দরকার, অন্তত নিজের এবং নিজের প্রিয় মানুষগুলোর জন্য। আমি কবি নই, কিন্তু মাঝেমধ্যে ভাব এলে কবিতা লিখি। আর এই প্রত্যেকটা কবিতাকেই আমি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি, কারণ এগুলো আমার মনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষণের অনুভূতিকে প্রকাশ করে। জীবন সায়াহ্নে যখন নিজের অতীত নিয়ে ভাববো, তখন হয়তো শৈশবের একটা ফটোগ্রাফ, কিম্বা একটা কাঁচাহাতের আদো-আদো কবিতা মুখে স্নিগ্ধ হাসি এনে দেবে, কিম্বা এনে দেবে এক পূর্ণতাযুক্ত চাপা দীর্ঘ:শ্বাস। এই নশ্বর জীবনের সায়াহ্নে এসে অনেক মানুষের একটা স্নিগ্ধ হাসি বা একটা চাপা দীর্ঘ:শ্বাসের জন্য কোনো কারণ থাকে না। সে কারণটুকু তৈরি করার দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই।